কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: ব্যস্ত সময়ে পাক্কা 30 মিনিট অবরুদ্ধ কলেজ স্ট্রিট । সৌজন্যে এসএফআই-এর কলকাতা জেলা কমিটি ৷ শনিবার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট-এমজি রোড ক্রসিংয়ের চৌমাথা অবরুদ্ধ থাকে প্রায় আধঘণ্টা । থমকে যায় যানবাহনের গতি ৷ এই সময়ে কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের (SFI protest in Kolkata) ৷
একাধিক দাবিতে আগামী 20 ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই । সেই অভিযান সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্যাম্পাসে পোস্টারিং, স্লোগানিং ও পথসভা চলছে বাম সংগঠনটির তরফে। কিন্তু অভিযোগ, শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসে এই অভিযানের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের আক্রমণের শিকার হন কয়েকজন এসএফআই কর্মী ৷
আক্রান্তদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানেও তৃণমূল মদতপুষ্ট লোকজন ফের এসএফআই কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনারই প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় শনিবার কলেজ স্ট্রিট অবরুদ্ধ করে এসএফআই । তাদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু নির্বাচিত ছাত্র সংসদ হলে তৃণমূল ছাত্র সংসদ নিজেদের কাটমানির কারবার চালাতে পারবে না । তাই এসএফআইয়ের অভিযান ভণ্ডুল করতে হামলা চালানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: 'বিচারপতিরা মাঝেমধ্যেই সানগ্লাস পরে থাকেন !' ফের তোপ কুণালের
এদিনের অবরোধ থেকে এসএফআই কর্মী সমর্থকদের হুঁশিয়ারি,"আজকের এই অবরোধ ট্রেলার । 20 ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের মাধ্যমে গোটা সিনেমাটা দেখান হবে । তৃণমূল যদি কোনওভাবে আক্রমণ করতে আসে এসএফআই পালটা আক্রমণের পথ বেছে নেবে ।" এসএফআই এর কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, "তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে । এসএফআই সাধারণ গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দিয়েছে । তাতেই ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ।"