কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: নবান্ন বা লালবাজারের মতোই এ বার নিরাপত্তার কঠোর বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনকে (KMC Security Tightened)। সূত্রের খবর, ভবনের মূল দ্বারে বসছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র ও আধুনিক ক্যামেরা ৷
পৌরনিগমে নিরাপত্তার কড়াকড়ি: রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন বা পুলিশের ভবানী ভবন, লালবাজারে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো রয়েছে । যে কেউ ইচ্ছে করলেই যখন তখন এই ভবনগুলিতে ঢুকতে পারেন না । নির্দিষ্ট কারণ জানিয়ে একাধিক নিরাপত্তা বলয় টপকে তারপর সেখানে যেতে হয় । তার আগে জানাতে হয় কোন আধিকারিকের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেতে চান । করতে হয় স্লিপ । ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিতে হয় । দিতে হয় হাতের ছাপ । ফলে এমন গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে অপরিচিত কোনও ব্যক্তির প্রবেশ যেমন ঠেকানো যায়, তেমনই কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনাও অনেকটা আটকানো সম্ভব হয়েছে ।
অচেনা মুখের আনাগোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা: কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে খবর, এ বার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে পৌর কর্তৃপক্ষ । তবে এই পদক্ষেপ করলে আমজনতার সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা একাংশের । কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে মেয়র ছাড়াও বিভিন্ন সময় আসেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি । আছে প্রচুর অমূল্য নথি । তবে প্রতিদিন নানা সমস্যায় কেন্দ্রীয় ভবনে আনাগোনা থাকে বহু অচেনা মুখের । ফলে কোনও দিন কোনও ঘটনা ঘটলে সেটা ঠেকানোর অবকাশ থাকে না ।
অনলাইন পরিষেবার কমেছে ভিড়: নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল । সম্পত্তি কর মূল্যায়ণ, লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র-সহ বিভিন্ন পরিষেবা ইতিমধ্যে অনলাইন শুরু হয়েছে । ফলে বিপুল সংখ্যক ভিড় অনেকটাই ফাঁকা হয়েছে । হোয়াটসঅ্যাপ বট-এর মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার মতো পরিষেবা বাড়ছে । এর পরেও কিছু কারণবশত নাগরিক আনাগোনা হবে কেন্দ্রীয় ভবনে ।
আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক কলকাতা পৌরনিগমে
প্রবেশদ্বারে কড়াকড়ি: এ বার যাঁরা আসবেন, তাঁদের নানা নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে আসতে হবে । প্রতি গেটে হবে এনক্লোজার । সেখানে আধুনিক ক্যামেরায় ছবি তোলা হবে । দিতে হবে হাতের ছাপ । ভিজিটর স্লিপ থাকবে । কার কাছে যাবেন তা লিখতে হবে । পাশাপশি হোয়াটসঅ্যাপ বটে স্লট বুক করতে পারবেন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ।
লাগানো হয়েছে সিসিটিভি: ইতিমধ্যেই ভিতরে সিসিটিভি আনাচে কানাচে লাগানো হয়েছে । ফলে পরিচয়বিহীন লোকজনের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ হতে চলেছে । শুধু আধিকারিক নয়, হোয়াটসঅ্যাপ বটে পৌর কমিশনার, বিশেষ কমিশনার, পৌরসচিব, চিফ মিউনিসিপ্যাল ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার-সহ বিভিন্ন শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করা যাবে ।
কড়া নিরাপত্তায় কী সুবিধে ? এই প্রসঙ্গে পৌরনিগমের আধিকারিক জানান, মূলত অপরিচিত ব্যক্তিদের প্রবেশ আটকানো সম্ভব হবে । দালাল চক্র আটকানো সম্ভব হবে । পাশাপশি যেভাবে চাকরি নিয়ে প্রতরণার অভিযোগ আসে, এমন বিষয়ও আটকানো যাবে । পৌর আধিকারিক, মেয়র-সহ যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকেন, তাঁদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা যাবে ৷