ETV Bharat / state

ভাইপো-বউদিকে খুনে ফাঁসির সাজা

2008 সালের 14 ডিসেম্বরের ঘটনা । খালের মধ্যে একটা নাইলনের শপিং ব্যাগ পড়েছিল । সেখান থেকে দেখা যাচ্ছিল ছোটো দুটো পা । নজরে পড়েছিল বদ্রুদ্দিন শহিদ নামে এক ব্যক্তির । তখন সকাল 9টা 35 মিনিট । লক্ষ্য করে দেখা গেল, ব্যাগের পাশে একটা আকাশি রঙের বেডশিট । সেই ব্যক্তি খবর দেন উলটোডাঙা থানায় খবর দেন । উদ্ধার হয় এক বছর বয়সের এক শিশুর দেহ । ভাইপো ও বউদিকে খুনের ঘটনায় ব্যক্তিকে আজ ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদা আদালত ৷ যাবজ্জীবনের রায় দোষীসাব্যস্তর স্ত্রীকে ৷

sealdah
শিয়ালদহ
author img

By

Published : Feb 7, 2020, 9:13 PM IST

Updated : Feb 7, 2020, 10:32 PM IST

কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি : ভাইপো ও বউদিকে খুনের অভিযোগ উঠছিল সত্য ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । দীর্ঘ 12 বছর আগে সেই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহরে । আজ সত্যের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে শিয়ালদা আদালত । সঙ্গে তার স্ত্রী নন্দিতার যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।

খালের মধ্যে একটা নাইলনের শপিং ব্যাগ পড়েছিল । সেখান থেকে দেখা যাচ্ছিল ছোটো দুটো পা । নজরে পড়েছিল বদ্রুদ্দিন শহিদ নামে এক ব্যক্তির । তখন সকাল 9টা 35 মিনিট । লক্ষ্য করে দেখা গেল, ব্যাগের পাশে একটা আকাশি রঙের বেডশিট । সেই ব্যক্তি খবর দেন উলটোডাঙা থানায় খবর দেন । ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে আর জি কর হাসপাতালের কাছে চার নম্বর ক্যানাল ইস্ট রোড চত্বরে । ঘটনাস্থানে আসেন উলটোডাঙা থানার পুলিশকর্মীরা । উদ্ধার হয় এক বছর বয়সের এক শিশুর দেহ । তার মুখে গামছা গোঁজা । সে হলুদ রঙের ফুল সোয়েটার পরেছিল । তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে কলকাতায় । 2008 সালের 14 ডিসেম্বরের ঘটনা ।

deadbody
উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহ

2008 সালে সেই ঘটনার পর দিন জানা যায় সেই মৃত শিশুর পরিচয় । ইন্দ্রজিৎ সাহা ওরফে নয়ন । বেলেঘাটার বাসিন্দা । বাবা বিদ্যুৎ সাহা । মা বুলু সাহা । জানা যায় 28 বছরের বুলুও নিখোঁজ । এদিকে ওইদিনই দুপুরে হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পাশে প্রিয়াঙ্কা প্লাইউড ফ্যাক্টরির সামনে উত্তরায় বস্তাবন্দী এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয় । গলায় মোটা দাগ । গলার পাশে আঘাতের চিহ্ন । ঘটনায় চণ্ডীতলা থানা অজ্ঞাত পরিচয় আর মহিলার মৃতদেহ হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করে । 16 ডিসেম্বর তাঁকে শনাক্ত করেন বিদ্যুৎ । জানা যায়, উনি বুলু সাহা । তদন্তকারীদের বুঝতে বাকি থাকেনি মা-ছেলেকে একসঙ্গেই খুন করা হয়েছে ।

ভিডিয়োয় দেখুন

চণ্ডীতলা থানার কেস উলটোডাঙা থানার সঙ্গে ট‍্যাগ হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা । জানা যায়, সুরেন সরকার রোডের বাড়িতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে একসঙ্গেই থাকতেন বিদ্যুৎ সাহা এবং সত্য সাহা । সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল লেগেছিল । বিদ্যুৎবাবু স্ত্রী এবং দুই সন্তান ইন্দ্রজিৎ, শুভজিৎকে নিয়ে থাকতেন । ঘটনার একদিন পর অফিস থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সত্য । তখনই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের । পরে জানা যায়, সম্পত্তি দিয়ে ভাগ বাঁটোয়ারার জেরে সত্য এবং তার স্ত্রী নন্দিতা ওরফে মৌ ঘটিয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড । জেরায় সত্য স্বীকার করে দেয় পুরো ঘটনা । ওইদিন সে প্রথমে ব্যাগটি ফেলে আসে আর জি করের পাশে খালে । তার মধ্যে ছিল শিশুর মৃতদেহ । তারপর পরিবারের সকলকে দিয়ে আসে আত্মীয়র বাড়িতে । নিজে গাড়ি চালিয়ে বুলুর দেহ নিয়ে যায় ডানকুনির কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে । সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় আত্মীয়র বাড়িতে অনুষ্ঠানে। পরদিন অফিসে যায় । সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সত্য । নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে 90 দিনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ । কাস্টডি ট্রায়াল হয় । দীর্ঘ 12 বছর ধরে 46 জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়ার পর গতকাল সত্য এবং নন্দিতাকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত । আজ সত্যকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল শিয়ালদা আদালত । সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা । নন্দিতাকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।

কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি : ভাইপো ও বউদিকে খুনের অভিযোগ উঠছিল সত্য ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । দীর্ঘ 12 বছর আগে সেই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহরে । আজ সত্যের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে শিয়ালদা আদালত । সঙ্গে তার স্ত্রী নন্দিতার যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।

খালের মধ্যে একটা নাইলনের শপিং ব্যাগ পড়েছিল । সেখান থেকে দেখা যাচ্ছিল ছোটো দুটো পা । নজরে পড়েছিল বদ্রুদ্দিন শহিদ নামে এক ব্যক্তির । তখন সকাল 9টা 35 মিনিট । লক্ষ্য করে দেখা গেল, ব্যাগের পাশে একটা আকাশি রঙের বেডশিট । সেই ব্যক্তি খবর দেন উলটোডাঙা থানায় খবর দেন । ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে আর জি কর হাসপাতালের কাছে চার নম্বর ক্যানাল ইস্ট রোড চত্বরে । ঘটনাস্থানে আসেন উলটোডাঙা থানার পুলিশকর্মীরা । উদ্ধার হয় এক বছর বয়সের এক শিশুর দেহ । তার মুখে গামছা গোঁজা । সে হলুদ রঙের ফুল সোয়েটার পরেছিল । তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে কলকাতায় । 2008 সালের 14 ডিসেম্বরের ঘটনা ।

deadbody
উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহ

2008 সালে সেই ঘটনার পর দিন জানা যায় সেই মৃত শিশুর পরিচয় । ইন্দ্রজিৎ সাহা ওরফে নয়ন । বেলেঘাটার বাসিন্দা । বাবা বিদ্যুৎ সাহা । মা বুলু সাহা । জানা যায় 28 বছরের বুলুও নিখোঁজ । এদিকে ওইদিনই দুপুরে হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পাশে প্রিয়াঙ্কা প্লাইউড ফ্যাক্টরির সামনে উত্তরায় বস্তাবন্দী এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয় । গলায় মোটা দাগ । গলার পাশে আঘাতের চিহ্ন । ঘটনায় চণ্ডীতলা থানা অজ্ঞাত পরিচয় আর মহিলার মৃতদেহ হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করে । 16 ডিসেম্বর তাঁকে শনাক্ত করেন বিদ্যুৎ । জানা যায়, উনি বুলু সাহা । তদন্তকারীদের বুঝতে বাকি থাকেনি মা-ছেলেকে একসঙ্গেই খুন করা হয়েছে ।

ভিডিয়োয় দেখুন

চণ্ডীতলা থানার কেস উলটোডাঙা থানার সঙ্গে ট‍্যাগ হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা । জানা যায়, সুরেন সরকার রোডের বাড়িতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে একসঙ্গেই থাকতেন বিদ্যুৎ সাহা এবং সত্য সাহা । সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল লেগেছিল । বিদ্যুৎবাবু স্ত্রী এবং দুই সন্তান ইন্দ্রজিৎ, শুভজিৎকে নিয়ে থাকতেন । ঘটনার একদিন পর অফিস থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সত্য । তখনই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের । পরে জানা যায়, সম্পত্তি দিয়ে ভাগ বাঁটোয়ারার জেরে সত্য এবং তার স্ত্রী নন্দিতা ওরফে মৌ ঘটিয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড । জেরায় সত্য স্বীকার করে দেয় পুরো ঘটনা । ওইদিন সে প্রথমে ব্যাগটি ফেলে আসে আর জি করের পাশে খালে । তার মধ্যে ছিল শিশুর মৃতদেহ । তারপর পরিবারের সকলকে দিয়ে আসে আত্মীয়র বাড়িতে । নিজে গাড়ি চালিয়ে বুলুর দেহ নিয়ে যায় ডানকুনির কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে । সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় আত্মীয়র বাড়িতে অনুষ্ঠানে। পরদিন অফিসে যায় । সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সত্য । নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে 90 দিনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ । কাস্টডি ট্রায়াল হয় । দীর্ঘ 12 বছর ধরে 46 জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়ার পর গতকাল সত্য এবং নন্দিতাকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত । আজ সত্যকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল শিয়ালদা আদালত । সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা । নন্দিতাকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।

Intro:কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি: খালের মধ্যে পড়েছিল একটা নাইলনের শপিং ব্যাগ। কিছুটা কাদার মধ্যে ঢুকে। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট দুটো পা। বিষয়টি হঠাৎ নজরে পড়ে বদ্রুদ্দিন শহিদ নামে এক ব্যক্তির। তখন সকাল ন'টা পয়ত্রিশ। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ব‍্যাগের পাশেই একটা আকাশী রঙের বেডশিট। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন করেন উল্টোডাঙা থানায়। ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে আরজিকর হাসপাতালের কাছে চার নম্বর ক‍্যানাল ইস্ট রোড চত্বরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন উল্টোডাঙ্গা থানার পুলিশ কর্মীরা। উদ্ধার হয় এক বছর বয়সের শিশুর দেহ। তার মুখে গামছা গোঁজা। পড়নে হলুদ রঙের ফুল সোয়েটার। তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় কলকাতায়। সেটা 2008 সালের 14 ডিসেম্বর।



Body:পরেরদিন জানা যায় শিশুর পরিচয়। ইন্দ্রজিৎ সাহা ওরফে নয়ন। বাড়ি বেলেঘাটার 63 নম্বর সুরেন সরকার রোড। বাবা বিদ্যুৎ সাহা। মায়ের নাম বুলু সাহা। জানা যায় 28 বছরের বুলুও নিখোঁজ। এদিকে ওইদিনই দুপুরে হুগলির চন্ডীতলা থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পাশে প্রিয়াঙ্কা প্লাইউড ফ্যাক্টরির সামনে উত্তরায় বস্তাবন্দি এক মহিলার দেহ। গলায় মোটা দাগ। গলার পাশে আঘাতের চিহ্ন। ঘটনায় চন্ডীতলা থানা অজ্ঞাত পরিচয় আর মহিলার মৃতদেহ হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করে। 16 ডিসেম্বর তাঁকে শনাক্ত করেন বিদ্যুৎ। জানা যায়, উনি বুলু সাহা। তদন্তকারীদের বুঝতে বাকি থাকেনি মা ছেলেকে একসঙ্গেই খুন করা হয়েছে।

চন্ডীতলা থানার কেস উল্টোডাঙ্গা থানার সঙ্গে ট‍্যাগ হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। জানা যায়, সুরেন সরকার রোডের বাড়িতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে একসঙ্গেই থাকতেন বিদ্যুৎ সাহা এবং সত্য সাহা। সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল লেগেছিল। বিদ্যুৎবাবু স্ত্রী এবং দুই সন্তান ইন্দ্রজিৎ এবং শুভজিৎকে নিয়ে থাকতেন। ঘটনার একদিন পর অফিসকে বেপাত্তা হয়ে যান সত্য। তখনই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পরে জানা যায়, সম্পত্তি দিয়ে ভাগবাটোয়ারার জেরে সত্য এবং তার স্ত্রী নন্দিতা ওরফে মৌ ঘটিয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। জেলায় সত্য স্বীকার করে দেয় পুরো ঘটনা। ঐদিন সে প্রথমে ব্যাগটি ফেলে আসে আরজি করের পাশে খালে। তার মধ্যে ছিল শিশুর মৃতদেহ। তারপর পরিবারের সকলকে দিয়ে আসে আত্মীয়র বাড়িতে। নিজে আমাজনের গাড়ি চালিয়ে বুলুর দেহ নিয়ে যায় ডানকুনির কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে। সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় আত্মীয়র বাড়িতে অনুষ্ঠানে। পরদিন অফিসে যায়। সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সত্য।


Conclusion:নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে 90 দিনের মধ্যেই চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। হয় কাস্টডি ট্রায়াল'। দীর্ঘ 12 বছর ধরে 46 জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়ার পর গতকাল সত্য এবং নন্দিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ সত্যকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল শিয়ালদা আদালত। সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা ফাইন। নন্দিতাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারো কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Last Updated : Feb 7, 2020, 10:32 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.