কলকাতা, 19 জুলাই: সহযোগীদের মধ্যে বিরোধিতা থাকলেও জোট প্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়বে না । এ বার এমনটাই জানালেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায় ।
'জোটে ক্ষোভের প্রভাব পড়বে না': গতকাল বেঙ্গালুরুতে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরিদের । মূলত তা নিয়ে গেরুয়া শিবির তো তাদের মতো করে আক্রমণ শানিয়েছেই । একইভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই জোটের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রবীণ সাংসদ মনে করছেন, 'ইন্ডিয়া' জোটের মধ্যে থাকা সহযোগীদের এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ জোট প্রক্রিয়ার প্রভাব ফেলবে না ।
'মানুষের চাপেই জোট': এ দিন তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে নরেন্দ্র মোদিকে হারিয়ে দেওয়ার একটা ইচ্ছা আছে । সেই চাপ কমবেশি সব রাজনৈতিক দলের উপরে রয়েছে । মূলত সে কারণেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এতদূর এগিয়েছে । 26টি দল এক ছাতার তলায় এসেছে । এতজন মুখ্যমন্ত্রীর এক জায়গায় আসার ঘটনা তো সহজ কথা নয় । তিনি মনে করছেন, মানুষের চাপেই এই জোট তৈরি হয়েছে । আর এই চাপের কারণেই এই জোট থাকবে ।
আরও পড়ুন: 'বিরোধী জোট ক্ষমতালোভী, এনডিএ রামধনু'; এনডিএ বৈঠকে মন্তব্য মোদির
'বৈপরীত্য নিয়েই জোট': তাঁর মতে, সম্ভাব্যের খেলাটাই আসলে রাজনীতি । সৌগত রায় বলেন, বিরোধীদের মধ্যে অনেক বৈপরীত্য আছে । আগেও এই বৈপরীত্য নিয়েই জোট হয়েছে । 2004 থেকে 2009 সালে সেখানেও কোথাও কোথাও ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল । তবে তার কারণে এই জোট প্রক্রিয়া আটকায়নি । এ বারও এর কোনও প্রভাব পড়বে না ।
'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না': সৌগত রায় বলেন, যখন কোনও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয়, তখন নিচু তলার কর্মী বা নেতাদের তা মেনে নিতেই হয় । অধীর চৌধুরীর বার্তা কি রাহুল গান্ধির বার্তার থেকে কখনও বড় হতে পারে ? অথবা সুজন চক্রবর্তীর বার্তা কি সীতারাম ইয়েচুরির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকে বলছেন যে, রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী, তাদের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে । এ ক্ষেত্রে শক্তি বিবেচনা করে আসন বণ্টন হবে নিশ্চয় । তবে এ সব ক্ষোভ-বিক্ষোভে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না ।