কলকাতা, 2 অগস্ট: নুসরত জাহান মিথ্যে কথা বলছেন বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ৷ তৃণমূলের বসিরহাটের সাংসদকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি ৷ শঙ্কুদেবের আরও দাবি, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত নুসরত জাহানের ৷
অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি নুসরতের: তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করে ইডি-র কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ৷ তারই প্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বুধবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বসিরহাটের সাংসদ ৷ তিনি দাবি করেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যে ৷ তিনি কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন নুসরত ৷ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কিছু তথ্য পেশ করে তিনি বলেন, যাবতীয় নথি তাঁর কাছে রয়েছে যা প্রমাণ করে যে তিনি কোনও প্রতারণা করেননি ৷
ফের অভিযোগ শঙ্কুদেবের: নুসরতের সাংবাদিক সম্মেলনের অব্যবহিত পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডা ফের নুসরতের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বৃহত্তর আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷
তিনি বলেন, "আমরা ইডিতে অভিযোগ করেছি । এ বার আমরা অপেক্ষা করছি । প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হব । নুসরত জাহান আসলে অপেক্ষা করছেন, কবে এই প্রবীণরা মারা যাবেন ৷ তাহলে তো আর টাকা ফেরত দিতে হবে না । তবে প্রতারণার টাকা উদ্ধার করেই ছাড়ব । অতীতে এক অপরাধীকে সাহায্য করারও ঘটনা রয়েছে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ।"
আরও পড়ুন: কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নই, ফ্ল্যাট দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাফাই নুসরতের
শঙ্কুদেবের প্রশ্ন: শঙ্কুদেব আরও বলেন যে, নুসরত জাহানের নামে 420-র মামলা রয়েছে । বিজেপি নেতার কথায়, "সবে তো সন্ধ্যে । তাঁর পেছনে বড় মাথা রয়েছে । কে রয়েছে তাঁর পেছনে ? অপেক্ষা করুন । তদন্ত হোক, তারপর জানতে পারবেন । সব খবর আমাদের কাছে রয়েছে ।" যে সংস্থার কোনও প্রকল্পের কোনও কাজ হয়নি, সেই সংস্থার থেকে অভিনেত্রী-সাংসদ কীভাবে ঋণ নিলেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন শঙ্কুদেব ।
নুসরত জাহান জানিয়েছেন যে, তিনি নাকি এক কোটি আটানব্বই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ওই সংস্থার থেকে । এরই প্রেক্ষিতে শঙ্কুদেব প্রশ্ন তোলেন যে, "তাহলে তিনি কী করে সুদসমেত মাত্র এক কোটি 16 লক্ষ টাকা ফেরত দেন ?"
প্রসঙ্গত, এক সংস্থায় সহ অধিকর্তা থাকাকালীন নুসরত জাহান ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে 429 জনের কাছ থেকে 5 লক্ষ 55 হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ইডি দফতরে শঙ্কুদেব পাণ্ডা