কলকাতা, 19 এপ্রিল: তৃণমূলের চিঠির সময়মতো জবাব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ অমিত শাহ ও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে শাসক দলের আইনি পদক্ষেপ করার হুমকিতে বিচলিত না হয়ে এ কথাই বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ৷
গতকাল সিঙ্গুরের এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারাবার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও তৃণমূল নেত্রী সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, অমিত শাহকে তিনি ফোন করেছেন এই কথা প্রমাণ করতে পারলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন । এরপর পালটা টুইট করে শুভেন্দু দাবি করেন যে, মমতা একটি ল্যান্ডলাইন নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে । সেই ল্যান্ডলাইন নম্বরটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷
তবে শুভেন্দু তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাঁর ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আবার চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই চিঠির সময়মতো উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ৷
এই বিষয়ে তিনি বলেন যে, রাজ্যে কেউ দণ্ডী কাটুক কেউ নাকে খত দিক এটা বিজেপি চায় না । আর একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নাকে খতদিচ্ছেন এটা সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ চায় না ৷ বিজেপিও চায় না । সিঙ্গুরে বিরোধী দলনেতা যখন কথা বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই নিজ দায়িত্বেই বলেছেন । নিশ্চয়ই তাঁর কাছে কোনও খবর থাকবে তাই তিনি কথাটা বলেছেন । সব সময়ই বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ৷ আবার চ্যালেঞ্জ দিতে ভালোবাসেন এবং বহু ক্ষেত্রে তিনি সাফল্য লাভ করেন । তাই এই বিষয়ে যা বলার শুভেন্দু অধিকারী বলবেন ।
মুকুল রায়ের অবস্থান ঠিক কী ? এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "মুকুল রায়ের একমাত্র সন্তান শুভ্রাংশু রায়ের থেকে আমরা শুনেছি যে তাঁর ডিমেনশিয়া, হাই সুগার ও হাই প্রেশার ৷ তাঁকে ডায়পার পরতে হয় ৷ তিনি বর্তমানে মনে করছেন যে তিনি 2010 বা 11 সালে রয়েছেন ৷ তিনি কখন কোথায় আছেন সেটা ঠিক বুঝতে পারছেন না । ক্যাবিনেট মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন যে, 'আমি যে মুকুলকে চিনতাম এই মুকুল সেই মুকুল নয় ।' এ রকম একজন মানসিক রোগগ্রস্ত মানুষ যিনি এত কঠিন রোগে আক্রান্ত, সেই রকম একজন মানুষকে নিয়ে এই ধরনের নোংরা ছেলেখেলা ও অপহরণের নাটক করা ঠিক নয় । এই ধরনের একজন ব্যক্তিকে যখন পিএসসির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল, এর উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে পারবেন ।"
তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা হারানো নিয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, 2026 পর্যন্ত তৃণমূলের জাতীয় তকমা রাখা উচিত ছিল । অন্তত 2024 সাল পর্যন্ত রাখা তো অবশ্যই উচিত ছিল । এই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করেন সেইভাবে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনকে যদি কখনও করতে পরেন তাহলে নিশ্চয়ই সেই তকমা ফিরে পাবেন ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু ও শাহের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের