কলকাতা, 13 অক্টোবর: বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেউ নন তিনি, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচালক । তিনি মুন বলে পরিচিত । মনুকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় ৷ সেখান থেকেই তাঁদের অনুমান, তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain) ৷ সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ।
কারণ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি মাসে 20 হাজার টাকা পেতেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে রয়েছে 46 লক্ষ টাকা। গোয়েন্দাদের অভিযোগ গরুপাচারের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া এবং বিভিন্ন ব্যবসায় খাটানোর জন্যই সেভ অডিটর হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচালক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।
শুধু যে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল তেমনটা নয় বরং সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির অন্যান্য পরিচালক-পরিচালিকাদের নামেও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। বর্তমানে গরুপাচার-কাণ্ডের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টটি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে প্রায় 6 বার বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ট্রানজাকশন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার 'সম্পত্তির মালিক' কেষ্ট, রইল বিস্তারিত বিবরণ
তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কোনও ব্যাংক ট্রানজাকশন করেননি। ব্যাংক হোল্ডারও নিজের ব্যাংকের কোনও ট্রানজাকশন সম্পর্কে জানেন না ৷ তাহলে কে অন্যের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রানজাকশনের কাজ করত? সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ এই কাণ্ডে শুধুমাত্র যে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীরা যুক্ত রয়েছে তেমনটা নয়। বরং যুক্ত রয়েছে একাধিক ব্যাংক আধিকারিকরাও।