ETV Bharat / state

Calcutta Medical College: 40 মিনিটে শ্বাসনালী থেকে বের সেফটিপিন! 5 মাসের শিশুর প্রাণ রক্ষা কলকাতা মেডিক্যালে

ফের সরকারি হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার ৷ প্রাণে বাঁচল শিশু ৷ শ্বাসনালীতে সেফটিপিন আটকে গিয়েছিল 5 মাসের খুদের ৷ 40 মিনিটের অস্ত্রোপচারে সেই সেফটিপিনটি বের করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা ৷

Calcutta Medical College
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 14, 2023, 5:33 PM IST

কলকাতা, 14 অক্টোবর: আবারও অসাধ্য সাধন করল কলকাতার সরকারি হাসপাতাল । পাঁচ মাসের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া সেফটিপিন বের করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা । মাত্র 40 মিনিটের অস্ত্রোপচারের জেরে প্রাণে রক্ষা পেল হুগলির পাঁচ মাসের শিশুর ।

Calcutta Medical College
পাঁচ মাসের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে ছিল সেফটিপিন

জানা গিয়েছে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা এই খুঁদে । দিন পাঁচেক আগে খাটে শুয়েছিল সে । তার পাশেই খেলায় মেতেছিল অন্যান্য ভাইবোনেরা । তখন অসতর্কভাবে পাঁচ মাসের ওই ছেলে গিলে ফেলে এক ইঞ্চির একটি সেফটিপিন । এরপর আচকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার ৷ তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী এক চিকিৎসকের কাছে । তার ঠান্ডা লেগেছে বলে প্রথমে অনুমান করেন ওই চিকিৎসক । শুরু হয় চিকিৎসা । কিন্তু অনবরত মুখ দিয়ে লালাক্ষরণ হতে থাকে শিশুটির ৷ খেতে অনীহা বোধ করে সে ৷ এর ফলে পরিবারের চিন্তা বেড়ে চলে।

তারপরেই বৃহস্পতিবার প্রায় বিকেলে পাঁচ মাস বয়সিকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজে । সেখানে ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ দাসের অধীনে ভরতি করা হয় শিশুটিকে । চিকিৎসক এক্সরে করে দেখেন শিশুটির শ্বাসনালীর মুখে আটকে রয়েছে একটি লম্বা সেফটিপিন, যার আবার মুখ খোলা । শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার । টানা 40 মিনিটের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে সফলভাবে বের করা হয় সেফটিপিনটি । বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে ওই খুঁদে ।

আরও পড়ুন: চিকিৎসক হলেন আবিষ্কর্তা ! চিকিৎসায় নয়া দিশা দেখাচ্ছে সুদীপ দাসের 'স্মুথ ফরেনবডি পুলার'

চিকিৎসক সুদীপ দাস এ বিষয়ে বলেন, "আমরা ভয় পাচ্ছিলাম সেফটিপিনটা যদি শ্বাসনালীর ভিতরে ঢুকে যায় । তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় বেশ বেগ পেতে হত । তবে তা হয়নি, আমরা ঠিকঠাকভাবেই ওই ছোটো ছেলেটির শ্বাসনালী থেকে সেফটিপিনটা বার করতে পেরেছি ৷" শিশুটির শ্বাসনালী থেকে অস্ত্রোপচার করে সফলভাবে সেফটিপিন বের করতে চিকিৎসক সুদীপ দাসকে সহযোগিতা করেছেন চিকিৎসক মৈনাক দত্ত এবং চিকিৎসক তনয়া পাঁজা, সার্জেন চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি নস্কর এবং অ্যানেসথেটিস্ট চিকিৎসক মৃদুছন্দা দাশ ।

কলকাতা, 14 অক্টোবর: আবারও অসাধ্য সাধন করল কলকাতার সরকারি হাসপাতাল । পাঁচ মাসের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া সেফটিপিন বের করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা । মাত্র 40 মিনিটের অস্ত্রোপচারের জেরে প্রাণে রক্ষা পেল হুগলির পাঁচ মাসের শিশুর ।

Calcutta Medical College
পাঁচ মাসের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে ছিল সেফটিপিন

জানা গিয়েছে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা এই খুঁদে । দিন পাঁচেক আগে খাটে শুয়েছিল সে । তার পাশেই খেলায় মেতেছিল অন্যান্য ভাইবোনেরা । তখন অসতর্কভাবে পাঁচ মাসের ওই ছেলে গিলে ফেলে এক ইঞ্চির একটি সেফটিপিন । এরপর আচকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার ৷ তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী এক চিকিৎসকের কাছে । তার ঠান্ডা লেগেছে বলে প্রথমে অনুমান করেন ওই চিকিৎসক । শুরু হয় চিকিৎসা । কিন্তু অনবরত মুখ দিয়ে লালাক্ষরণ হতে থাকে শিশুটির ৷ খেতে অনীহা বোধ করে সে ৷ এর ফলে পরিবারের চিন্তা বেড়ে চলে।

তারপরেই বৃহস্পতিবার প্রায় বিকেলে পাঁচ মাস বয়সিকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজে । সেখানে ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ দাসের অধীনে ভরতি করা হয় শিশুটিকে । চিকিৎসক এক্সরে করে দেখেন শিশুটির শ্বাসনালীর মুখে আটকে রয়েছে একটি লম্বা সেফটিপিন, যার আবার মুখ খোলা । শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার । টানা 40 মিনিটের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে সফলভাবে বের করা হয় সেফটিপিনটি । বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে ওই খুঁদে ।

আরও পড়ুন: চিকিৎসক হলেন আবিষ্কর্তা ! চিকিৎসায় নয়া দিশা দেখাচ্ছে সুদীপ দাসের 'স্মুথ ফরেনবডি পুলার'

চিকিৎসক সুদীপ দাস এ বিষয়ে বলেন, "আমরা ভয় পাচ্ছিলাম সেফটিপিনটা যদি শ্বাসনালীর ভিতরে ঢুকে যায় । তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় বেশ বেগ পেতে হত । তবে তা হয়নি, আমরা ঠিকঠাকভাবেই ওই ছোটো ছেলেটির শ্বাসনালী থেকে সেফটিপিনটা বার করতে পেরেছি ৷" শিশুটির শ্বাসনালী থেকে অস্ত্রোপচার করে সফলভাবে সেফটিপিন বের করতে চিকিৎসক সুদীপ দাসকে সহযোগিতা করেছেন চিকিৎসক মৈনাক দত্ত এবং চিকিৎসক তনয়া পাঁজা, সার্জেন চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি নস্কর এবং অ্যানেসথেটিস্ট চিকিৎসক মৃদুছন্দা দাশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.