কলকাতা, 3 জানুয়ারি: তৃণমূল আদতে ধর্না দিতেই গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায়নি। বুধবার কালীঘাট থেকে এহেন মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বি নিরঞ্জন জ্যোতি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার কোনও প্রকল্পের টাকা আটকাতে চায়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা নথি নিয়ে যাননি। তাঁরা আদতে রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন।"
এদিন কালীঘাটে পুজো দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বি নিরঞ্জন জ্যোতি। আর পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে জানান, তিনি তৃণমূলের মনের ইচ্ছে বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, "তৃণমূল আমার সঙ্গে দেখা করতে যায়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে দেখা করতে যাননি। ধর্না দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল না।"
নিরঞ্জন জ্যোতি আরও বলেন, "সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন । রাজ্যে এবং কেন্দ্রের নোডাল অফিসার ঠিক করা হয়েছে যারা কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখবেন এবং সমস্যার সমাধান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের জনতাও তো আমাদের জনতা। তাঁদের অধিকার যদি কোনও পরিবারতন্ত্র নষ্ঠ করতে চায় সেটা হতে দেব না। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এই সব কিছুরও তদন্ত হবে। রাজ্যেকে যদি আর্থিক বঞ্চনাই করতে হত, তাহলে সব ক্ষেত্রে টাকা আটকে দিতে পারত কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্র তা করবে না।"
রাজ্যকে বকেয়া টাকা না দিয়ে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। আর সেই টাকা আদায় করতেই সাংসদের নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দু'দিনের কর্মসূচিও ছিল তাঁদের । দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বি নিরঞ্জন জ্যোতি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর দফতরের সামনে বেশ কয়েক ঘণ্টা বসে থাকা সত্বেও প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ। তিনি পেছনের দরজা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। এরপর অবশ্য রাজ্যে এসে সল্টলেকের পার্টি অফিসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সাধ্বি নিরঞ্জন জ্যোতি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তৃণমূলের জন্য বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ছিলেন কিন্তু তারপরও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বার বার তাঁকে শর্ত দেওয়া হয়। অবশেষে তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করেই ওখান থেকে চলে যান।
আরও পড়ুন: