কলকাতা, 30 জুন: সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির সায়নী ঘোষ ৷ বেলা 11.22 নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী ৷ ইতিমধ্যেই সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এবং ভিতরে প্রচুর মহিলা পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে । সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্মীরা রয়েছেন ৷ পাশাপাশি রয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের মহিলা পুলিশ কর্মীরাও । এছাড়াও সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে রয়েছেন মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা । অন্যদিকে, সায়নী ঘোষকে প্রশ্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা ৷ দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করেছেন আধিকারিকরা ।
গতকাল থেকেই সায়নী ঘোষের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল দলীয় সূত্রে । দলের অভ্যন্তরীণ নেতা-নেত্রীরা আর সায়নী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বলে খবর প্রকাশ্যে আসে । ইতিমধ্যেই তদন্তকারী আধিকারিকরা সায়নী ঘোষকে তাঁর আইটি রিটার্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বলেছিলেন ।
পাশাপাশি, তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফ গ্রিন এলাকায় সায়নী ঘোষের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে । যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় 2 কোটি টাকা । সেই দু'কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট বুকিং করেছিলেন কুন্তল ঘোষ । 20 লক্ষ টাকা দিয়ে সেই ফ্ল্যাটটি বুকিং করা হয়েছিল । 20 লক্ষ টাকা দিয়ে কেন কুন্তল ঘোষ সায়নী ঘোষের জন্য একটি ফ্ল্যাট বুকিং করতে গেলেন ? ইডি সূত্রে খবর এরকমই একাধিক ধোঁয়াশা কাটাতেই তলব করা হয়েছে অভিনেত্রীকে । এছাড়াও সায়নী ঘোষের বিভিন্ন সিনেমায় কুন্তল ঘোষ কেন বিনিয়োগ করেছিলেন ? কুন্তল ঘোষ যে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সেই টাকার উৎস সম্পর্কিত নানা বিষয়ে প্রশ্নপর্বে উঠে আসতে পারে বলেই সূত্রের খবর ৷
আরও পড়ুন: ইডির নোটিশ পাওয়ার পরেই বেপাত্তা সায়নী ঘোষ!
প্রসঙ্গত, এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সায়নী । তিনি বলেন, "আমি দলের হয়ে প্রচারে ছিলাম । আমাকে 48 ঘণ্টার মধ্যে আসতে বলা হয়েছিল । তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব ।"