কলকাতা, 14 জুলাই : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন । এবার অধীর চৌধুরীকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র । তবে পদ ছাড়লেও দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি ।
নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পরও দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । মূলত, এই নিস্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র । আর সে কারণেই প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এই যুবনেতা । যদিও তিনি মনে করেন, ব্যক্তি হিসাবে অধীর চৌধুরীর সংগঠনের পুনরুজ্জীবন ও সংগঠনের ঢেলে সাজানোর বিষয়ে যথেষ্ঠ দক্ষতা ছিল । তিনি চাইলেই এই কাজ দক্ষতার সঙ্গে করতে পারতেন ৷ তা না করে তিনি স্বজনপোষণ করছেন । আর তাতেই বীতশ্রদ্ধ রোহন এদিন প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ।
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদ ও রাজশাহীর মধ্যে চেক পোস্টের দাবিতে মোদিকে চিঠি অধীরের
রোহনের অভিযোগ, এই মুহূর্তে যারা প্রদেশের মাথা তারা যখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না ৷ তখন পদ আঁকড়ে বসে থেকে কী লাভ । তাই পদ ছাড়ছি । তবে পদ ছাড়লেও দল ছাড়ার অভিপ্রায় তাঁর নেই জানিয়ে দিয়েছেন রোহন । তিনি বলেন, আজ প্রদেশ সভাপতি একটা বৈঠক ডেকেছেন ৷ সেখানে তিনি আর যাচ্ছেন না ।
তিন পাতার ইস্তফাপত্রে অধীর চৌধুরীর প্রদেশ কংগ্রেস পরিচালনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন রোহন । অধীরের জমানায় যে বারবার তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন । বাবা সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকা সত্ত্বেও যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে কীভাবে হারানো হয়েছিল, তাও ক্ষোভের সঙ্গে সবিস্তারে লিখেছেন । ‘অধীরের ইগোই দলের বিপর্যয়ের কারণ’ দাবি করে ভবিষ্যতেও তাঁর ডাকা কোনও বৈঠকে তিনি যাবেন না বলে জানিয়েছেন সোমেন-পুত্র ।
আরও পড়ুন, "বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর নামও উল্লেখ থাকত সুদীপ্তর চিঠিতে", বললেন সোমেনপুত্র
তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য অধীরই যে যোগ্য, তাও স্পষ্ট জানিয়েছেন ইস্তফাপত্রে । চিঠিতে রোহনের দাবি, ‘অধীর চৌধুরী যোগ্য নেতা । কিন্তু যাঁদের নিয়ে চলছেন বা সংগঠন পরিচালনা করছেন, তাঁদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই । সেই কারণেই কংগ্রেসের এই হাল । একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরও কংগ্রেসকে নতুন করে সাজানোরও কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না ৷"