কলকাতা, 7 নভেম্বর: বেহালায় ফের পথ দুর্ঘটনা ৷ মৃত্যু হয়েছে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর ৷ আর এই ঘটনার পরেই আরও একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ৷ মৃত নির্মলকুমার দাসের(69) পরিবারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই । তাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময় কোনও পুলিশকর্মীকে রাস্তায় দেখা যায়নি । যদি পুলিশকর্মীরা রাস্তায় থাকতেন তাহলে হয়তো বেপরোয়া গতির বলি হতে হত না পরিবারের প্রবীণ এই সদস্যকে ।
কয়েক মাস আগেও এই একই অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ যখন এক নাবালক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বেহালায় ৷ বাবার সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গাড়ির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ছাত্রটির ৷ এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল বেহালা চত্ত্বর ৷ এলাকায় পুলিশ আউটপোস্ট থেকে শুরু করে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়িকে ধরে ধরে ভাঙচুর চালিয়ে তাতে অগ্নিসংযোগ করে দেয় স্থানীয়রা । তাদের অভিযোগ ছিল, দিনের ব্যস্ত সময়ে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মীর দেখা মেলে না । ফলে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে ।
অবশ্য সেই ঘটনার পর লালবাজারের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷ সিভিক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায় ৷ কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার ফের দুর্ঘটনা ঘটল বেহালায় ৷ এবার ঘটনাস্থল ঠাকুরপুকুর ৷ দুটি বাসের রেষারেষির কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর ৷ তিনি গতকাল স্ত্রীর সঙ্গে ঠাকুরপুকুর 3-এ বাসস্ট্যান্ডের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন বুরুল যাবেন বলে । অভিযোগ, তখন বাস এসে ধাক্কা মারে । ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন নির্মলকুমার দাস ।
আরও পড়ুন: বেহালায় জনরোষ থামাতে কেন ব্যর্থ পুলিশ ? লালবাজারে জমা পড়ল প্রাথমিক রিপোর্ট
মৃত্যু নিয়ে পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় ৷ কিন্তু লালবাজারের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি । তবে ঘটনার 24 ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট জায়গায় আজ দেখা যায় প্রচুর পুলিশ কর্মীকে । কিন্তু মৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশকর্মী ছিলেন না সেখানে ৷ তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না ।