কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি : 2 মে জানা যাবে নবান্নের চাবি কার হাতে । আগামী 5 বছরের জন্য নীলবাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না অন্য কেউ, তা জানা যাবে । কারণ সেদিনই 2021-এর বিধানসভা ভোটের ফলঘোষণা । আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তাই তাই করা হবে । স্পর্শকাতর বুথে থাকবে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ।
গতবার অর্থাৎ, 2016 সালে 7 দফায় বিধানসভা ভোট হয়েছিল । যদিও কমিশনের খাতায় তা 6 দফা বলেই উল্লেখিত । কারণ, একটি দফা এ এবং বি দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল । আবার 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল সাত দফায় । সেক্ষেত্রে এবার পশ্চিমবঙ্গে আটদফার নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে । যেখানে তামিলনাড়ু, কেরালার মতো রাজ্যে এক দফাতেই ভোটপর্ব সম্পন্ন হচ্ছে; সেখানে বাংলায় কেন আট দফা । কমিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত । যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধার মধ্যে না পড়ে, সেজন্য এক দফা থেকে আর এক দফার মধ্যেও সুনির্দিষ্ট ব্যবধান রাখা হয়েছে । একইসঙ্গে কমিশন এদিন জানিয়েছে, জঙ্গলমহল বা প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় যাতে সাধারণ মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় আট দফায় ভোট রাজ্যে, শুরু 27 মার্চ থেকে
কেন্দ্রীয় বাহিনী কতটা কোথায় থাকবে, সে সিদ্ধান্ত যে কমিশনই নেবে, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অরোরা । স্থানীয় / রাজ্য প্রশাসনকে উপেক্ষা করে যে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, সেকথাও জানিয়েছেন অরোরা । তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী সবসময় সহায়কের ভূমিকায় থাকবে । তাঁদের উপস্থিতি কখনোই সমস্যার সৃষ্টি করবে না ।