কলকাতা, 13 এপ্রিল : পয়লা বৈশাখ ৷ বাংলার নতুন বছরের শুরু ৷ এইদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের হিসাব-নিকাশের জন্য নতুন খাতা খোলেন ৷ যাকে বলা হয় হালখাতা ৷ প্রত্যেক বছরই এই দিনটি বাঙালি উদযাপন করে ৷ কিন্তু এই বছর কোরোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ নববর্ষ উদযাপন ৷ তাই মন ভালো করতে অন্য হালখাতায় নববর্ষ পালন করলেন হরিঘোষ স্ট্রিটের রামকৃষ্ণ বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা ৷ নিজেদের মনের কথা লিখলেন তাঁরা সেই খাতায় ৷ চাইলেন বিশ্বজুড়ে জটিল ব্যাধি নিরাময় হোক ৷
এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা প্রতি বছর নববর্ষের দিন পুজো দিতে মন্দিরে যেতেন ৷ অনেকেই আবার বন্ধুবান্ধব,পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতেন । এ বছর পয়লা বৈশাখে সবকিছুই বন্ধ । বৈশাখি আড্ডা বন্ধ , প্রিয়জনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ বন্ধ । সব মিলিয়ে মন খারাপ ঘিরে ধরেছে তাঁদের । তাই মন ভালো করতে নিজেদের মনের কথা লিখলেন আবাসিকরা ৷ বৃদ্ধাশ্রমের এই আবাসিকদের মধ্যে অনেকেরই মনের খোঁজ কেউ রাখে না । তাই এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা তাঁদের মনের কথা লিখে রাখলেন ৷ একসময় বিখ্যাত অভিনেতা চপল ভাদুড়ি আজ এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক। প্রাক্তন DSP তুষার মুখোপাধ্যায়ও এই বৃদ্ধাশ্রমেই থাকেন । এই জরুরি সময় প্রশাসন কীভাবে কাজ করবে কীভাবে সহযোগিতা করা দরকার সেইসবই আজ খাতায় লিখে রাখলেন ৷
অধ্যাপিকা পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন , বন্ধ অন্নপূর্ণা পুজো , বন্ধ বাসন্তী পূজা । নববর্ষ পালনও বন্ধ । তবে কোরোনার বিপদ থেকে নিজের মুক্ত রাখতে হবে ।
শিক্ষিকা ইন্দিরা ঘটক লিখেছেন , একটা অসম্ভব কষ্ট মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । এবার কি নববর্ষ 25 শে বৈশাখ কিছুই উদযাপিত হবে না । নিরাময়ের বার্তা এখনও পাইনি । তবুও আশাবাদী আমাদের বসুন্ধরা আগের মতোই আনন্দধাম হয়ে উঠবে । এভাবেই অন্য হালখাতার পাতায় পাতায় নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা ।
এভাবেই অন্য হালখাতার পাতায় পাতায় নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করে মন ভালো রাখার অঙ্গীকার নিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা । রাস্তায় বেরিয়ে কোরোনার সংক্রমণ বাড়তে দেবেন না ৷ সেই অঙ্গীকার করেছেন এখানকার আবাসিকরা । বিশ্ব থেকে দূর হবে এই জটিল ব্যাধি সেই কামনা করে নতুন বছরের আগমন চান এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা ।