কলকাতা, 9 অক্টোবর: কার্নিভালের মধ্য দিয়েই ইতি পড়ল এবারের দুর্গাপুজোয় । তবে দীর্ঘ এক মাস যাবৎ মণ্ডপের নিচের অংশে জমে রয়েছে নানা আবর্জনা (Garbage in Puja Mandap) । পাশাপাশি যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছে ডেঙ্গি, তাতে মণ্ডপগুলোর নীচের অংশগুলোকে মশার আঁতুড়ঘর বললে অত্যুক্তি করা হয় না। তবে পুজোর মরশুমে সাফাই কাজে যেমন অনীহা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তেমনই ভেক্টর কন্ট্রোলের নজরদারির অভাবও ছিল লক্ষ্যণীয়। ডেঙ্গি ঠেকাতে পুজো উদ্যোক্তাদের মণ্ডপগুলো দ্রুত খুলে জঞ্জাল সাফাই করার নির্দেশ দেয় কি না স্বাস্থ্য বিভাগ, তাই এখন দেখার ।
এবার পুজোর বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই মণ্ডপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল কলকাতাজুড়ে। যার জেরে মণ্ডপের অংশে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি জঞ্জাল সাফাই বিভাগের । যেমন সাফাই হয়নি, তেমনই পাল্লা দিয়ে সেই সমস্ত জায়গায় জমেছে আবর্জনা । পুজোর আগে ও পুজোর দিনকয়েক বেশ বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে জল আবর্জনাময় পরিবেশে মশার উৎপত্তি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় নাগরিকরা ।
পুজোর শুরুর আগেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ হয় শহরে ৷ যার ফলে মেয়র বিশেষ অধিবেশন ডেকে সমস্ত কাউন্সিলরকে বলেছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামতে। সেই বৈঠকে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছিলেন, ভেক্টর কন্ট্রোল টিম বাড়ি বা এলাকায় নজর দিলেও কোনও জায়গার মণ্ডপে নজরদারি করছে না । সেই আবেদন মেনেই মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ জানিয়েছিলেন, একটি বিশেষ দল তৈরির কথা । জারি হয় নির্দেশিকাও।
তবে পুজোর দিনগুলিতে নিয়মিত নজরদারি কার্যত শিঁকেয় উঠেছিল । হাতে গোনা দু-একটি জায়গায় এক দু'বার নজরদারির জন্য ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা এলেও অধিকাংশ জায়গায় দেখা মেলেনি তাদের বলে অভিযোগ উঠেছে । এদিকে শহরের ডেঙ্গি চিত্র ঘুম ছুটিয়েছে নাগরিকদের (Residents near Durga puja mandap fear spread of dengue) ।
আরও পড়ুন: উৎসব কাটতেই না কাটতেই শহরে ডেঙ্গির বলি 1
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত 24 হাজার 798 জন । পুজোর সপ্তাহে পরীক্ষা তুলনামূলক কম হয়েছিল । কিন্তু পুজো মিটতেই পরীক্ষা হতেই, দেখা গিয়েছে গোটা রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন 4 হাজার 678 জন । যেখানে দেখা যাচ্ছে, জেলাভিত্তিক হিসেবে কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন 654 জন । যার ফলে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 2 হাজার 800 জন । যদি বেসরকারি সূত্রে এই সংখ্যা অনেকটাই বেশি । তবে এই পরিস্থিতি নজরদারির অভাবে চিন্তায় রয়েছেন মণ্ডপের আশপাশের অংশে বসবাসকারী বাসিন্দারা ।