কলকাতা, 3 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল তাই দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, বাকি 485 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও আসছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বাহিনী সংক্রান্ত অনুমোদন এসেছে বলেও এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী।
শনিবার রাজ্যে একদফায় অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত ভোট ৷ তার আগে অবশেষে বাহিনী জট কাটল এদিন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফে তা পাঠাতে অবশেষে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র ৷ মোট 822 কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে ৷ কিন্তু প্রথমে 22 এবং পরে 315 কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রে সম্মতি দেয় কেন্দ্র ৷ কিন্তু তার সঙ্গেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে, বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কী ভাবছে কমিশন, তার সম্পূর্ণ তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ৷ এরপর অবশ্য আদালতের শুনানিতেও বেশ কয়েকবার বাহিনী নিয়ে কমিশন এবং কেন্দ্রের মধ্য়ে সওয়াল-জবাব চলেছে ৷ এদিন অবশ্য হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছে, বাকি কোম্পানি বাহিনীও পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র ৷
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা জমা দিয়েছে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, সিএপিএফ বাহিনীকে বুথে নয় বরং এরিয়া ডমিনেশন, রুট মার্চ, কনফিডেন্স বিল্ডিং-এর কাজে ব্যাবহার করা হবে ৷ রাজ্যে মোট 61 হাজার 636টি পোলিং বুথ রয়েছে। তার মধ্যে 44 হাজার 842টি পোলিং প্রিমাইসেস রয়েছে। এক্ষেত্রে সব জায়গায় একজন করেও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দেওয়া হয় সেই সংখ্যক বাহিনী কমিশনের হাতে নেই বলেও ফের আদালতে সওয়াল করে তারা। আর সেকারণেই সম্পূর্ণ বুথে না থেকে, মোবাইল ইউনিট হিসাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে যেতে পারে বলে জানায় কমিশন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টে
কমিশনের দাবি, পাঁচ থেকে ছয় জনের ইউনিট প্রতি চার-পাঁচটি করে বুথের উপর নজর রাখবে। পাশাপাশি বাকি 485 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র ৷ রাজ্য বাহিনী সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দু'জন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের তরফের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সময়াভাবে যদিও এই মামলার শুনানি হয়নি আদালতে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা-সহ আরও একাধিক দাবিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই সমস্ত মামলায় এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে আদালতের নির্দেশ পালনের ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।