কলকাতা, 3 অক্টোবর: নিউজক্লিককাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ ৷ এই সংবাদমাধ্যমে চিনা লগ্নির অভিযোগে এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাসভবনেও ৷ এই বিষয়টি নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরূদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বামদলগুলি । এজেন্সি লাগিয়ে বিরোধী স্বর বন্ধ করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে বিরোধীদের তরফে ৷ বিরোধী জোটকে ভয় পেয়েই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে এই কাজ করছে বলে অভিযোগ সিপিএমের ৷
সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন,"একদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার, দিল্লী পুলিশের অতিতৎপরতা, আবার অপরদিকে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিই বাংলার চোরেদের প্রতি উদাসীন ৷ এভাবে তদন্তকারীসংস্থাগুলিকে রাজজনৈতিক কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার ৷ ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরকে দমন করা আর অপরাধীদের সমর্থন করে চোরদের মদত দেওয়া হচ্ছে । এটাই এখন দুই শহরের গল্প ।"
এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা মিডিয়া ইনচার্জ সৌম্য আইচ রায় বলেন,"কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার বিরুদ্ধ আওয়াজ শুনতে চায় না । এই জমানায় মনে করা হয় বিরোধিতা করা মানে, শত্রুতা করা । তাই কখনও কাউকে অর্বান নকশাল বা টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সদস্য বলা হচ্ছে ৷ কখনও আবার বলা হচ্ছে চিনের দালাল । ইত্যাদি বলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে । নরেন্দ্র মোদি সরকার ভয় পেয়েছে । তাই 2024 এর আগে যারা বিজেপির কথামতো সংবাদ পরিবেশন করবে না তাদের বাড়িতে এবং বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই, দিল্লি পুলিশ অভিযান চালাবে। দিল্লি পুলিশের মুরোদ কিন্তু আমাদের সকলের জানা আছে । তারা টুকরে টুকরে গ্যাং নাম দিয়ে প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করতে পারে । অথচ দিল্লিতে যখন দাঙ্গা লাগে, যারা প্রকাশ্যে গুলি চালায় । তাদের গ্রেফতার করতে পারে না। যাদের হাতে মহিলা কুস্তিগিররা লাঞ্চিত হয়ে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করে তাদের ধরে না পুলিশ ৷ মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্ত সংসদের ভিতর ঘুরে বেড়ায় ৷ এই তো দিল্লি পুলিশ! নরেন্দ্র মোদি সরকার ভয় পেয়েছে । 2024 সালে ওদের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: নিউজক্লিকে চিনা অর্থের ব্যবহার নিয়ে তদন্তে সীতারাম ইয়েচুরির বাসভবনে দিল্লি পুলিশ
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রেরা । বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া তারা এখনই কিছু বলতে চান না তাঁরা । তৃণমূল মুখপত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু দলের সঙ্গে কথা না বলে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।"