কলকাতা, 21 জানুয়ারি : 16 জানুয়ারি, প্রথম দিন 75.9 শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্ভব হয়েছিল এ রাজ্যে । তবে ভ্যাকসিনেশনের এই হার ছাপিয়ে গেল চতুর্থ দিন । 20 জানুয়ারি ভ্যাকসিনেশনের এই হার পৌঁছায় 78 শতাংশে । এই হার এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে সর্বাধিক । যদিও রাজ্যের 207টি সেন্টারের মধ্যে মাত্র 31টি সেন্টারে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ।
প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে কোরোনার ভ্যাকসিন । এদেশে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন দুই ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে । এ রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড । স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, 16 জানুয়ারি ভ্যাকসিনেশনের প্রথম দিন রাজ্যের 207টি সেন্টার মিলিয়ে মোট 20,700 জন প্রাপকের মধ্যে 15,707 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছিল । ভ্যাকসিনেশনের হার ছিল 75.9 শতাংশ । এর পর 18 জানুয়ারি ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় দিন 14,110 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছিল । ভ্যাকসিনেশনের তৃতীয় দিনে 13,693 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ।
20 জানুয়ারি(বুধবার) ছিল ভ্যাকসিনেশনের চতুর্থ দিন । রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "চতুর্থ দিনে রাজ্যের 31টি সেন্টারে মোট 2,439 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । এ দিন ভ্যাকসিনেশনের হার ছিল 78 শতাংশ ।"
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, "সপ্তাহে চার দিন কোরোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে অন্যান্য ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য এই পরিকল্পনা ।" তিনি বলেন,"তবে সপ্তাহের কোন চার দিন কোরোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট সেন্টারের কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন ।" এই কারণে, বুধবার 31টি সেন্টারে দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন ।
আরও পড়ুন : আজ থেকে ছয় দেশে কোরোনার টিকা সরবরাহ করবে ভারত
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, নতুন করে আর কারও শরীরে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি । এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কারণে যে চার জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁরা ভালো আছেন । এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাজ্য স্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হয়েছে । নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি কারও ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা এই বৈঠকে জানানো হয়েছে ।
এদিকে বুধবার দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে কোভিশিল্ডের 6.99 লাখ ডোজ় এসে পৌঁছেছে ।