ETV Bharat / state

বিয়ে ও স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে

কর্মসূত্রে টালিগঞ্জের ট্রাফিক গার্ড কনস্টেবল অশোক কুমার মার্জিতের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবতির । অভিযোগ, এরপর ওই কনস্টেবল তাকে বিয়ে করার ও স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে ।

বিয়ে ও স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Jun 22, 2019, 8:56 PM IST

কলকাতা, 22 জুন : কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার । মহিলার অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করার ও স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় । বেহালার মহিলা থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

কর্মসূত্রে টালিগঞ্জের ট্রাফিক গার্ড কনস্টেবল অশোক কুমার মার্জিতের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবতির । অভিযোগ, এরপর ওই কনস্টেবল তাঁকে বিয়ের ও স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন । প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ।

ওই যুবতি বলেন, "চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি অশোক আমায় বলেছিল বিয়ে করবে । প্রথমে আমি না বলে দিই । পরে অনেক চাপাচাপির পর রাজি হই । এরপর আমাকে রাজারহাটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । পরে আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে জানায়, সে বিবাহিত । দুই মেয়ে আছে । তারপরেই আমি থানায় যাই । কিন্তু পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি । আমায় বেহালা মহিলা থানায় যেতে বলা হয় । তারপর আমি সেখানে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি ।"

কলকাতা, 22 জুন : কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার । মহিলার অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করার ও স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় । বেহালার মহিলা থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

কর্মসূত্রে টালিগঞ্জের ট্রাফিক গার্ড কনস্টেবল অশোক কুমার মার্জিতের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবতির । অভিযোগ, এরপর ওই কনস্টেবল তাঁকে বিয়ের ও স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন । প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ।

ওই যুবতি বলেন, "চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি অশোক আমায় বলেছিল বিয়ে করবে । প্রথমে আমি না বলে দিই । পরে অনেক চাপাচাপির পর রাজি হই । এরপর আমাকে রাজারহাটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । পরে আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে জানায়, সে বিবাহিত । দুই মেয়ে আছে । তারপরেই আমি থানায় যাই । কিন্তু পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি । আমায় বেহালা মহিলা থানায় যেতে বলা হয় । তারপর আমি সেখানে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি ।"

Intro:কলকাতা, ২২ জুন: আবারও রক্ষকের বিরুদ্ধেই ভক্ষক হয়ে ওঠার অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। অভিযোগ, তাকে কনস্টেবলের স্থায়ী চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে বারবার ধর্ষণ করা হয়। মাঝে দেওয়া হয় বিয়ের প্রতিশ্রুতিও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেহালার মহিলা থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের অন্দরমহলে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।Body:কর্মসূত্রে টালিগঞ্জের ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল আশোক কুমার মার্জিতের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযোগকারীর। এমনটাই জানিয়েছে তিনি। সেই সূত্রে অশোক তাকে কনস্টেবলের স্থায়ী চাকরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী। তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসা করায় একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেধ বলে অভিযোগ পত্রে লিখেছেন যুবতী। ওই যুবতী বলেন, “ চাকরি প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি আমায় হঠাৎই প্রেম নিবেদন করে অশোক। আমায় বলেছিল বিয়ে করেনি। আমাকে বিয়ে করে সংসার করতে চায়। প্রথমে আমি না বলে দিই। পরে অনেক চাপাচাপির পর আমি রাজি হই। তখন আমাকে নিয়ে অনেক জায়গায় বেড়াতে যায়। এমনকি রাজারহাটের সাপুরজি পালনজি এলাকায় কোয়ার্টারেও নিয়ে যায়। সেখানে মদ খেয়ে আমায় ধর্ষণ করে। আমার উপর অত্যাচার চালায়। পরে আমি বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে জানায়, সে বিবাহিত। তার দুই মেয়ে আছে। তারপরেই আমি থানায় যাই। কিন্তু প্রথমে অভিযোগ নিতে চাওয়া হয়নি। আমায় বেহালা মহিলা থানায় যেতে বলা হয়।"

অভিযোগ প্রথমে সরশুনা থানায় অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী। কিন্তু সেখানে তার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেহালা মহিলা থানায়। সেখানেও নাকি তার অভিযোগ নিতে চাওয়া হয়নি প্রাথমিকভাবে। যুবতীর অভিযোগ, “ বেহালা মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, আমার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে আমি বিভিন্ন জায়গায় চিঠি লিখি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে ডিভিশনাল ডিসি পর্যন্ত। তখন আমাকে বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। ডিসি আমায় বলেন, এই ঘটনা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে বা জানাজানি হলে কলকাতা পুলিশের বদনাম হবে।" Conclusion:অভিযোগকারিণীর আইনজীবী মিত গুহরায়ের দাবি, অভিযোগ নেওয়া হলেও তদন্তে গড়িমসি করছে পুলিশ। তার মক্কেলের মেডিকেল টেস্ট টুকু করা হয়নি। আইনজীবী বলেন, “ আমরা আলিপুর আদালতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাই। আদালত পুলিশের রিপোর্ট চায়। সেখানে বলা হয় অভিযুক্ত পলাতক। একজন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল কি করে পলাতক হতে পারেন? কেন মেডিকেল টেস্ট করা হচ্ছে না? আমরা বুঝতে পারি এই তদন্তে গাফিলতি হচ্ছে। তখন আমরা পুলিশি ইনঅ্যাকশনের বিষয়টি আদালতে জানাই। তার জেরে আদালত অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেছে।" এদিকে ওই সিভিক কনস্টেবলের বক্তব্য,” যে কাজ উনি আমার সঙ্গে করেছেন, তাতে আমি চাই ওনার শাস্তি হোক।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.