কলকাতা, 29 জানুয়ারি : জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই । কিছুদিন আগে মমতার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন । এবার বিধায়ক পদ ছাড়তে চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আজ দুপুর 12 টা 45 মিনিট নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছান সদ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । মন্ত্রিসভা থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন, আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি । ইস্তফা দিয়েই বিধানসভায় নিজের ঘরে গেলেন রাজীব । সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।
জানিয়ে গেলেন মানুষের সঙ্গেই তিনি থাকবেন । মানুষের জন্য কাজ করবেন । কোন একটি রাজনৈতিক দলে থেকেই তিনি কাজ করবেন, এমন বার্তাও দিলেন । মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি যে তিনি কৃতজ্ঞ তা জানিয়ে দিলেন রাজীব । বললেন, "মাননীয়া নেত্রীর প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ । তাঁর ছবি আমার মাথার পিছনে থাকে । তাই সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছি ।"
পাশাপাশি, 31 জানুয়ারি অমিত শাহর সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনাও জিইয়ে রাখলেন তিনি। বললেন, "আমি এখনও একটি দলের সদস্য । মানুষের হয়ে কাজ করতে গেলে একটি দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে । সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্দল হয়ে কাজ করা যায় না । আগামীকাল আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব ।"
আরও পড়ুন : ইস্তফা দিয়ে "মাদার ফিগার" মমতার ছবি হাতে বিধানসভা ছাড়লেন রাজীব
নিজের ইস্তফা প্রসঙ্গে বলেন, "অধ্যক্ষ কিছু প্রশ্ন করছিলেন । তিনি আইনানুগ বিষয়টি পরীক্ষা করবেন । পরীক্ষা করে জানাবেন । আমি নিয়ম মেনে অধ্যক্ষের কাছে বিধায়ক পদে ইস্তফা জমা দিয়েছি ।" একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানান ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষদের । আগামীদিনেও ডোমজুড়ের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আশা রেখে গেলেন ।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল তৃণমূলের । সূত্রের খবর, হাওড়ায় অরূপ রায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের কারণেই তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন রাজীব । তারপর বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা । সেই থেকেই জল্পনা চলছিল । এরপর আজ বিধানসভায় অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।
রাজীব-অরূপ বরফ গলানোর জন্য দলের তরফে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল । রাজীবের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব । তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও বৈঠক হয় । বৈঠকে ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও । কিন্তু কোনওকিছুতেই মন ভোলানো গেল না রাজীবের । সূত্রের খবর, 31 জানুয়ারি ডুমুরজোলায় অমিত শাহর সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি । বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন রাজীব ঘনিষ্ঠ বৈশালি ডালমিয়াও ।