কলকাতা, 21 মার্চ: শিক্ষিকা বদলি সংক্রান্ত মামলায় রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহাকে কার্যত তুলোধোনা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (High Court Teacher Transfer case)। তিনি বলেন, "অন্য স্কুল থেকে বদলি হয়ে আসা একজন শিক্ষিকাকে এক বছরের বেশি সময় ধরে ঘোরানো হচ্ছে। আমি ছাড়ব না। জেনে রাখুন ভারতবর্ষে একটা বিচার ব্যবস্থা আছে। তাঁকে যদি অবিলম্বে ওই স্কুলে যোগদান করতে না দেওয়া হয় তাহলে আদালত কঠোর থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেবে ৷"
আরও পড়ুন : Road Block at Tehatta : বদলি করা যাবে না হাসপাতালের সুপারকে, পথ অবরোধ তেহট্টে
উত্তর দিনাজপুর গোয়ালপোখরের তুতিকাটা হরমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ছিলেন সংযুক্তা রায়। গত বছর পর্ষদ সংযুক্তা রায়ের বদলির আবেদন মঞ্জুর করে দেয়। পর্ষদের অনুমতি নিয়ে যোগদান করতে গেলে বাধা দেন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। স্কুলের তরফে জানানো হয় শূন্যপদ না থাকায় তাঁকে স্কুলে যোগদান করানো সম্ভব নয়। প্রায় 13 মাস শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়কে চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষিকার তরফে অভিযোগ, এক খুনের আসামি শিক্ষক জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় ওই স্কুলে যোগ দেবে তাই তাঁকে যোগদান করানো হচ্ছে না। মামলার আগের শুনানিতে করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। প্রধান শিক্ষককে এদিন সশরীরে তলব করেন বিচারপতি।
ভরা আদালত কক্ষে প্রধান শিক্ষককে তিনি বলেন, "অবিলম্বে ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে যোগদান করান, না হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "এক বছর ধরে উনি বেতন পাচ্ছেন না সেটা কে দেবে? পরশুদিনের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে যোগদান করাতে হবে। পরশু বেলা 2 টোর সময় ফের শুনানি এই মামলার।
এর পাশাপাশি এদিন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ স্বপন চক্রবর্তীকেও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ওই শিক্ষক যথাসময়ে জিন্স প্যান্ট ও টি শার্ট পড়ে আদালতে আসায় বিচারপতি তাঁকে ভর্ৎসনা করেন। সাধারণ কোনও পোশাক পরে আদালত কক্ষে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তিনি পোশাক পরিবর্তন করে এলে মামলার শুনানি শুরু হয়।