ETV Bharat / state

WBJEE : সব সেন্টার ইনচার্জের কাছে পৌঁছাল না রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর - centre incharges

সব পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জদের জন্যই অর্ডার দেওয়া হয়েছিল রেড়িয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । কিন্তু সবার কাছে পৌঁছাল না সেই যন্ত্র ।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ
author img

By

Published : May 26, 2019, 11:11 PM IST

কলকাতা, 26 মে : ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল থাকলে তা হাতেনাতে ধরতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জকে দেওয়া হবে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবছরই প্রথম এই সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ড । কিন্তু পরিকল্পনা মতো বাস্তবায়িত হল না রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের (WBJEEB) এই পরিকল্পনা ।

রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে পৌঁছায়নি রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম‍্যান মলয়েন্দু সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে চাননি । পরে অবশ্য জানান, দু -চার জায়গায় হয়তো তাঁরা যন্ত্রটি পৌঁছাতে পারেননি ।


আজ ছিল রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা (WBJEE) । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন 1 লাখ 13 হাজার 912 জন পরীক্ষার্থী । তাদের মধ্যে 59 শতাংশ রাজ‍্যের ও বাকি 41 শতাংশ অন‍্য রাজ‍্যের পরীক্ষার্থী ছিল । আগেও জয়েন্ট পরীক্ষায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র ব্যবহার হত । তবে, তা থাকত শুধু ভ্রাম্যমণ পর্যবেক্ষকদের কাছে । একজন ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষককে বিভিন্ন সেন্টার পরিদর্শন করতে হয় । যার ফলে কোনও সেন্টারে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল আছে কি না তা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না । সেই কারণে এই বছর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে যন্ত্রটি রাখার পরিকল্পনা করেছিল জয়েন্ট বোর্ড । কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর পৌঁছালেও তা সেন্টার ইনচার্জদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে ।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, "রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর এত দিন রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে থাকত । এবার তা সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছেও থাকার কথা ছিল । কিন্তু সব সেন্টারের জন্য যন্ত্রগুলি অর্ডার দেওয়া হলেও তা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়নি । তাই সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছে যন্ত্রটি ছিল না । তবে, রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে ছিল ।"

রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, "আমরা মোটামুটি সব জায়গায় পৌঁছাবার চেষ্টা করেছি । দু-চার জায়গায় হয়ত আমরা ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারিনি । কিন্তু সমস্ত রোমিং অবজ়ারভারদের হাতে ছিল । তাঁরা খুব ভালো রিপোর্ট দিয়েছেন । একদম নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে । কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।"


এই বছর রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা ছিল 302টি পরীক্ষাকেন্দ্র । তার মধ্যে 299টি রাজ‍্যে, 2টো ত্রিপুরায় ও একটি অসমে ছিল । এর মধ্যে কতগুলো সেন্টারে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র পৌঁছাতে পারেনি সেবিষয়ে জানতে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব‍্যেন্দু করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । বলেন, "প্রাথমিকভাবে বলা যাবে না । এইভাবে আমরা এখনও অনুসন্ধান করে দেখিনি । সব জায়গায় মোটামুটি চেষ্টা করা হয়েছে । এটা নিয়ে পরে আমরা দেখব । তারপরে যদি কিছু হয় সেটা জানাব । সব জায়গায় নির্বিঘ্নে পরীক্ষা করা হয়েছে । এটাই আমাদের বড় সাফল্য ।"

কলকাতা, 26 মে : ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল থাকলে তা হাতেনাতে ধরতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জকে দেওয়া হবে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবছরই প্রথম এই সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ড । কিন্তু পরিকল্পনা মতো বাস্তবায়িত হল না রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের (WBJEEB) এই পরিকল্পনা ।

রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে পৌঁছায়নি রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম‍্যান মলয়েন্দু সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে চাননি । পরে অবশ্য জানান, দু -চার জায়গায় হয়তো তাঁরা যন্ত্রটি পৌঁছাতে পারেননি ।


আজ ছিল রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা (WBJEE) । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন 1 লাখ 13 হাজার 912 জন পরীক্ষার্থী । তাদের মধ্যে 59 শতাংশ রাজ‍্যের ও বাকি 41 শতাংশ অন‍্য রাজ‍্যের পরীক্ষার্থী ছিল । আগেও জয়েন্ট পরীক্ষায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র ব্যবহার হত । তবে, তা থাকত শুধু ভ্রাম্যমণ পর্যবেক্ষকদের কাছে । একজন ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষককে বিভিন্ন সেন্টার পরিদর্শন করতে হয় । যার ফলে কোনও সেন্টারে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল আছে কি না তা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না । সেই কারণে এই বছর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে যন্ত্রটি রাখার পরিকল্পনা করেছিল জয়েন্ট বোর্ড । কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর পৌঁছালেও তা সেন্টার ইনচার্জদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে ।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, "রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর এত দিন রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে থাকত । এবার তা সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছেও থাকার কথা ছিল । কিন্তু সব সেন্টারের জন্য যন্ত্রগুলি অর্ডার দেওয়া হলেও তা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়নি । তাই সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছে যন্ত্রটি ছিল না । তবে, রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে ছিল ।"

রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, "আমরা মোটামুটি সব জায়গায় পৌঁছাবার চেষ্টা করেছি । দু-চার জায়গায় হয়ত আমরা ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারিনি । কিন্তু সমস্ত রোমিং অবজ়ারভারদের হাতে ছিল । তাঁরা খুব ভালো রিপোর্ট দিয়েছেন । একদম নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে । কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।"


এই বছর রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা ছিল 302টি পরীক্ষাকেন্দ্র । তার মধ্যে 299টি রাজ‍্যে, 2টো ত্রিপুরায় ও একটি অসমে ছিল । এর মধ্যে কতগুলো সেন্টারে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র পৌঁছাতে পারেনি সেবিষয়ে জানতে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব‍্যেন্দু করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । বলেন, "প্রাথমিকভাবে বলা যাবে না । এইভাবে আমরা এখনও অনুসন্ধান করে দেখিনি । সব জায়গায় মোটামুটি চেষ্টা করা হয়েছে । এটা নিয়ে পরে আমরা দেখব । তারপরে যদি কিছু হয় সেটা জানাব । সব জায়গায় নির্বিঘ্নে পরীক্ষা করা হয়েছে । এটাই আমাদের বড় সাফল্য ।"

Intro:কলকাতা, 26 মে: এই বছরই প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ড যে, ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি মোবাইল ধরতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জের কাছে দেওয়া হবে একটি করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র। কিন্তু পরিকল্পনা করা হলেও তা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করতে পারল না রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড (WBJEEB)। রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে পৌঁছায়নি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম‍্যান মলয়েন্দু সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে চাননি। পরে অবশ্য তিনি জানান, দু -চার জায়গায় হয়তো তাঁরা যন্ত্রটি পৌছে দিতে পারেনি।


Body:আজ ছিল রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা (WBJEE)। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন 1 লক্ষ 13 হাজার 912 জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে 59 শতাংশ রাজ‍্যের ও বাকি 41 শতাংশ অন‍্য রাজ‍্যের পরীক্ষার্থী ছিল। এই বছরই প্রথম মোবাইল ধরতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জের কাছে একটি করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ড। আগেও এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র ব্যবহার হত জয়েন্ট পরীক্ষায়। তবে তা থাকতো শুধু ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষকদের কাছে। একজন ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষকে অনেকগুলো সেন্টার ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করতে হয়। যার ফলে প্রতিটি সেন্টারে মোবাইল রয়েছে কিনা তা খুটিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে এই বছর প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রটি রাখার পরিকল্পনা করেছিল জয়েন্ট বোর্ড। কিন্তু পরিকল্পনা করলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। কারণ, বেশিরভাগ জায়গায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর পৌঁছালেও, অনেক জায়গাতেই এই যন্ত্র সেন্টার ইনচার্জদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গিয়েছে।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, " রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর রোমিং অবজার্ভারদের কাছে ছিল। সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছে এবার থাকার কথা ছিল। কিন্তু, সেটা সাপ্লাই দিতে পারেনি। মানে যতগুলো সেন্টার ততগুলো অর্ডার করা হয়েছিল। তবে, সেটা সাপ্লাই দিতে পারেনি। তাই সেন্টার ইনচার্জদের সবার কাছে কিন্তু এটা নেই। কিছু সেন্টার ইনচার্জের কাছে পৌঁছেছে, কিছু সেন্টার ইনচার্জের কাছে পৌঁছতে পারেনি। রোমিং অবজার্ভারদের কাছে ছিল।"

যদিও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিকেক্টর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে না পৌঁছানোর বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে চাননি রাজ‍্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। তিনি বলেন, "আমরা মোটামুটি সব জায়গায় পৌঁছাবার চেষ্টা করেছি। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ হয়েছে।" তারপরে তিনি বলেন, "কিছু বলার নেই। দু-চার জায়গায় হয়তো আমরা পৌঁছাতে পারিনি ঠিক সময়ে এইটা। কিন্তু, এটা সমস্ত রোমিং অবজার্ভারদের হাতে ছিল। তাঁরা খুব ভালো রিপোর্ট দিয়েছেন। একদম নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে। কোথাও কোনও ইম্পার্সোনেটের ঘটনা ঘটেনি।"

এই বছর রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষায় ছিল 302টি পরীক্ষাকেন্দ্র। তার মধ্যে 299টি রাজ‍্যে, 2টো ত্রিপুরায় ও একটি অসমে ছিল। এর মধ্যে কতগুলো সেন্টারে পৌঁছায়নি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র? জানতে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রারদিব‍্যেন্দু করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "প্রাথমিক ভাবে বলা যাবে না। এইভাবে আমরা এখনও অনুসন্ধান করে দেখিনি। সব জায়গায় মোটামুটি চেষ্টা করা হয়েছে। এটা নিয়ে পরে আমরা দেখব। তারপরে যদি কিছু হয় সেটা জানাব। সব জায়গায় স্মুথলি পরীক্ষা করা হয়েছে। এটাই আমাদের বড় সাফল্য।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.