কলকাতা, 26 মে : ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল থাকলে তা হাতেনাতে ধরতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জকে দেওয়া হবে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবছরই প্রথম এই সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ড । কিন্তু পরিকল্পনা মতো বাস্তবায়িত হল না রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের (WBJEEB) এই পরিকল্পনা ।
রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে পৌঁছায়নি রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে চাননি । পরে অবশ্য জানান, দু -চার জায়গায় হয়তো তাঁরা যন্ত্রটি পৌঁছাতে পারেননি ।
আজ ছিল রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা (WBJEE) । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন 1 লাখ 13 হাজার 912 জন পরীক্ষার্থী । তাদের মধ্যে 59 শতাংশ রাজ্যের ও বাকি 41 শতাংশ অন্য রাজ্যের পরীক্ষার্থী ছিল । আগেও জয়েন্ট পরীক্ষায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র ব্যবহার হত । তবে, তা থাকত শুধু ভ্রাম্যমণ পর্যবেক্ষকদের কাছে । একজন ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষককে বিভিন্ন সেন্টার পরিদর্শন করতে হয় । যার ফলে কোনও সেন্টারে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল আছে কি না তা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না । সেই কারণে এই বছর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে যন্ত্রটি রাখার পরিকল্পনা করেছিল জয়েন্ট বোর্ড । কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর পৌঁছালেও তা সেন্টার ইনচার্জদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে ।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, "রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর এত দিন রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে থাকত । এবার তা সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছেও থাকার কথা ছিল । কিন্তু সব সেন্টারের জন্য যন্ত্রগুলি অর্ডার দেওয়া হলেও তা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়নি । তাই সব সেন্টার ইনচার্জদের কাছে যন্ত্রটি ছিল না । তবে, রোমিং অবজ়ারভারদের কাছে ছিল ।"
রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, "আমরা মোটামুটি সব জায়গায় পৌঁছাবার চেষ্টা করেছি । দু-চার জায়গায় হয়ত আমরা ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারিনি । কিন্তু সমস্ত রোমিং অবজ়ারভারদের হাতে ছিল । তাঁরা খুব ভালো রিপোর্ট দিয়েছেন । একদম নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে । কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।"
এই বছর রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা ছিল 302টি পরীক্ষাকেন্দ্র । তার মধ্যে 299টি রাজ্যে, 2টো ত্রিপুরায় ও একটি অসমে ছিল । এর মধ্যে কতগুলো সেন্টারে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র পৌঁছাতে পারেনি সেবিষয়ে জানতে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । বলেন, "প্রাথমিকভাবে বলা যাবে না । এইভাবে আমরা এখনও অনুসন্ধান করে দেখিনি । সব জায়গায় মোটামুটি চেষ্টা করা হয়েছে । এটা নিয়ে পরে আমরা দেখব । তারপরে যদি কিছু হয় সেটা জানাব । সব জায়গায় নির্বিঘ্নে পরীক্ষা করা হয়েছে । এটাই আমাদের বড় সাফল্য ।"