ETV Bharat / state

শুধুমাত্র মাল্যদান করেই রবীন্দ্রজয়ন্তী জোড়াসাঁকোয়

author img

By

Published : May 9, 2020, 12:08 AM IST

প্রতি বছরই বিশ্বকবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সাড়ম্বরে পালিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী । কিন্তু, এবছর কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পঁচিশে বৈশাখেও । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী তাই একেবারেই আড়ম্বরহীন ৷

Rabindra Jayanti is celebrated in Jorasanko only by garlandings
জোড়াসাঁকোয় শুধুমাত্র মাল্যদান করেই পালন হল রবীন্দ্রজয়ন্তি

কলকাতা, 8 মে : প্রতি বছরই কবিগুরুর জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সাড়ম্বরে পালিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী । কিন্তু, এবছর অন্যান্য বিশেষ দিনগুলির মতোই কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পঁচিশে বৈশাখেও । লকডাউনের মধ্যে অনুষ্ঠান করে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা অসম্ভব । তাই আগেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ঘরোয়াভাবে পালন করা হবে কবিগুরুর জন্মদিবস । সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ ফাঁকা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ।

COVID-19-কে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির বিচারে এখনও পর্যন্ত অনেক প্রথাই ভাঙতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে । তার মধ্যেই বাদ গেল না আজকের পঁচিশে বৈশাখ ৷ রাজ্যের যে জায়গাগুলিতে সাড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয় তার মধ্যে একটি হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । অন্যান্য বছর এই দিনটিতে ফুল-আলপনায় সেজে ওঠে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । নামে হাজারো মানুষের ঢল । কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশ থেকেও বহু মানুষ আসেন । ভোর 6 টায় শঙ্খ বাজিয়ে প্রভাতী অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয়ে সারাদিন নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্র আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি । সকাল থেকে সন্ধ্যা চলে একের পর এক অনুষ্ঠান । থাকে না তিল ধারণের জায়গা । এ বছর কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো একাধিক নিয়মের কারণে আজ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সেই চেনা চিত্রটি দেখা গেল না । আজ ফাঁকা ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । শুধু ঘরোয়াভাবে রবিঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ।

আজ সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর জন্মদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র ৷ দুটি ফ্যাকাল্টির দু'জন ডিন, ফিন্যান্স অফিসার ও মিউজিয়ামের কিউরেটর । সেখানে রীতি বা প্রথা অনুযায়ী, আগে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় । তারপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় । কবিগুরুর জন্মকক্ষ ও প্রয়াণকক্ষে পুষ্পদান করা হয় । এভাবেই কোনও সাড়ম্বর ছাড়াই জোড়াসাঁকোয় আজ পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী ।

উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, " আমরা একেবারেই ঘরোয়াভাবে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি । পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে তা করেছি । " এই প্রথম প্রথা ভেঙে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হল না জোড়াসাঁকোতে । সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, " এর আগে কখনও এই রকম ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই । এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক । পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথই আমাদের সবসময় উৎসাহ, উদ্দীপনা জুগিয়েছেন ৷ সব রকম সংকটের সময় । তিনিই লিখেছিলেন 1900 সালে, যে সময়টাতে প্লেগ, কলেরা, কালাজ্বরের মহামারী চলছিল কলকাতায় ৷ সেই সময়ই তিনি লেখেন, ' ভয় হতে তব অভয়মাঝে, নূতন জন্ম দাও হে ' । "

আজকের দিন অর্থাৎ, 8 মে অন্যান্য বছর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় । এবছর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়েছে কোরোনা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে । এছাড়া, লকডাউনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছে অধিকাংশ মহল । রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আজ অনলাইনেই কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে । ঘরে বসে গান ও নাচ করে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করে ভিডিয়ো তৈরি করেছেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপিকা ও ছাত্রীরা । এভাবেই অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালন করছেন রবীন্দ্রজয়ন্তী , জানাচ্ছেন কবি প্রণাম ।

কলকাতা, 8 মে : প্রতি বছরই কবিগুরুর জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সাড়ম্বরে পালিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী । কিন্তু, এবছর অন্যান্য বিশেষ দিনগুলির মতোই কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পঁচিশে বৈশাখেও । লকডাউনের মধ্যে অনুষ্ঠান করে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা অসম্ভব । তাই আগেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ঘরোয়াভাবে পালন করা হবে কবিগুরুর জন্মদিবস । সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ ফাঁকা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ।

COVID-19-কে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির বিচারে এখনও পর্যন্ত অনেক প্রথাই ভাঙতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে । তার মধ্যেই বাদ গেল না আজকের পঁচিশে বৈশাখ ৷ রাজ্যের যে জায়গাগুলিতে সাড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয় তার মধ্যে একটি হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । অন্যান্য বছর এই দিনটিতে ফুল-আলপনায় সেজে ওঠে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । নামে হাজারো মানুষের ঢল । কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশ থেকেও বহু মানুষ আসেন । ভোর 6 টায় শঙ্খ বাজিয়ে প্রভাতী অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয়ে সারাদিন নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্র আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি । সকাল থেকে সন্ধ্যা চলে একের পর এক অনুষ্ঠান । থাকে না তিল ধারণের জায়গা । এ বছর কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো একাধিক নিয়মের কারণে আজ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সেই চেনা চিত্রটি দেখা গেল না । আজ ফাঁকা ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি । শুধু ঘরোয়াভাবে রবিঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ।

আজ সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর জন্মদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র ৷ দুটি ফ্যাকাল্টির দু'জন ডিন, ফিন্যান্স অফিসার ও মিউজিয়ামের কিউরেটর । সেখানে রীতি বা প্রথা অনুযায়ী, আগে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় । তারপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় । কবিগুরুর জন্মকক্ষ ও প্রয়াণকক্ষে পুষ্পদান করা হয় । এভাবেই কোনও সাড়ম্বর ছাড়াই জোড়াসাঁকোয় আজ পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী ।

উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, " আমরা একেবারেই ঘরোয়াভাবে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি । পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে তা করেছি । " এই প্রথম প্রথা ভেঙে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হল না জোড়াসাঁকোতে । সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, " এর আগে কখনও এই রকম ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই । এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক । পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথই আমাদের সবসময় উৎসাহ, উদ্দীপনা জুগিয়েছেন ৷ সব রকম সংকটের সময় । তিনিই লিখেছিলেন 1900 সালে, যে সময়টাতে প্লেগ, কলেরা, কালাজ্বরের মহামারী চলছিল কলকাতায় ৷ সেই সময়ই তিনি লেখেন, ' ভয় হতে তব অভয়মাঝে, নূতন জন্ম দাও হে ' । "

আজকের দিন অর্থাৎ, 8 মে অন্যান্য বছর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় । এবছর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়েছে কোরোনা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে । এছাড়া, লকডাউনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছে অধিকাংশ মহল । রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আজ অনলাইনেই কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে । ঘরে বসে গান ও নাচ করে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করে ভিডিয়ো তৈরি করেছেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপিকা ও ছাত্রীরা । এভাবেই অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালন করছেন রবীন্দ্রজয়ন্তী , জানাচ্ছেন কবি প্রণাম ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.