দমদম, 5 এপ্রিল : দিনে দিনে মারণ ভাইরাস কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে । বহু সংখ্যক মানুষকে কোয়ারানটাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে পৌরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে তাদের অঞ্চলে একটি করে কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয় । ব্যারাকপুরজুড়ে সেই কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল তেমনই একটি কোয়ারানটাইন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয় দমদমের প্রমোদনগরে। পাশাপাশি ব্যারাকপুরে একটি কোয়ারানটাইন সেন্টার প্রদর্শন করেন মহকুমা শাসক আবদুল করিম আজ়াদ ইসলাম।পানিহাটিতেও একটি কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
ব্যারাকপুরে মহকুমায় 16টি পৌরসভা ও দুটি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রতিটি পৌরসভায় কোয়ারানটাইন সেন্টার করার কথা জানানো হয়। মহকুমার তরফে প্রতিটি পৌরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিকে একটি কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরির কথা জানানো হয়। সেইমতো পৌরসভাগুলি কোয়ারানটাইন সেন্টার করছে। প্রমোদনগরে একটি 30টি বেডের কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরি করা হয়। আরবান মিশনের সহায়তায় প্রাথমিক এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে দক্ষিণ দমদমের কোয়ারানটাইন সেন্টার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
পৌরসভার স্বাস্থ্য পারিষদ গোপা পাণ্ডে জানান, সরকারের নির্দেশ মেনেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে কোয়ারানটাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে । একইভাবে পানিহাটি পৌরসভার ভোম্বলা মোড়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই তা চালু করা হবে বলে জানান স্থানীয় পৌর প্রতিনিধি সোমনাথ দে। এদিকে, নৈহাটি পৌরসভা একটি কোয়ারানটাইন সেন্টার চালু করেছে। সেখানে 16 জন ইতিমধ্যেই থাকছেন। ব্যারাকপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সেন্টারে 10 জন থাকতে পারবেন। যারা হোম কোয়ারানটাইনে থাকতে পারছেন না তাঁরাও এখানে থাকতে পারবেন। ব্যারাকপুরের পৌরপ্রধান উত্তম দাস জানান, তিনি আরও চারটে অনুষ্ঠান বাড়িকে কোয়ারানটাইন সেন্টার গড়ে তোলার কাজ চালাচ্ছেন।
মহকুমা শাসক জানান, মানুষ সচেতন রয়েছেন করোনা সম্বন্ধে। তাঁরা আপৎকালীন ব্যবস্থার জন্য কোয়ারানটাইন সেন্টারগুলি তৈরি করে রাখছেন।