কলকাতা, 5 জানুয়ারি : এবার থেকে সরকার পোষিত ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও পাবেন 'কোয়ারান্টিন লিভ' (Quarantine Leave) ৷ শুধুমাত্র সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা এতদিন এই সুবিধা পাচ্ছিলেন ৷ অবশেষে দু বছরের লাগাতার আবেদনের পর সরকারি পোষিত ও সরকারি অনুমোদিত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরাও পেতে চলেছেন এই সুবিধা (Quarantine Leave for Teachers)৷
দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো বাংলাতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা 9 হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে । বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ সবদিক বিবেচনা করে রাজ্যে ফের জারি হয়েছে করোনাবিধি ৷ বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ । তবে পড়ুয়াদের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও 50 শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে হবে । মূলত স্কুল-কলেজের প্রশাসনিক কাজের জন্যেই আসতে হবে শিক্ষকদের । সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ।
প্রথম লকডাউনের পর থেকেই সরকারি কর্মী হিসেবে সরকার পোষিত ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা কোয়ারান্টিন লিভের দাবি জানিয়ে আসছেন ৷ এবার তারই মান্যতা মিলল (quarantine leave for teachers of government aided and government sponsored schools and colleges) ।
আরও পড়ুন : Covid Scare among Kolkata Police : করোনায় কাবু কলকাতা পুলিশ, আক্রান্ত 121 জন কর্মী
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "বহুবার দাবি জানানোর পর সমস্ত স্তরের শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের জন্য কোয়ারান্টিন লিভ চালু হল । অনেক আগেই এটি চালু করার প্রয়োজন ছিল । দেরিতে হলেও দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শিক্ষা দফতরকে ।"
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছি । অবশেষে কোয়ারান্টিন লিভ মেলায় আমরা খুশি । এই পরিস্থিতিতে কোয়ারান্টিন লিভ দেওয়াটা খুবই যুক্তিযুক্ত ও যথাযথ । তবে রাজ্য সরকার যেভাবে খেলা-মেলা চালু রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দিলেন তাতে শিক্ষার মেরুদণ্ডটাই ভেঙে যাচ্ছে ।"