কলকাতা, 13 জুন : এবার নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে পুলিশ যোগ প্রমাণিত হল । ইতিমধ্যেই ওই পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশের অরগানাইজ ক্রাইম কন্ট্রল ইউনিট । জানা গিয়েছে, ভরত কুমারকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে বুধবার গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিশের ওসিসিইউয়ের সদস্যরা । সেদিন গোয়ালিয়রের একটি টোল প্লাজা থেকে কালো রঙের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দারা । সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরনাথ সিং-এর আইডি কার্ড । জানা গিয়েছে, জয়পাল সিং ভুল্লার ও জসপ্রিত দুজনেরই বন্ধু ছিল ওই কনস্টেবল । প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে পঞ্জাব পুলিশের ওই কনস্টেবলের আইডি কার্ড পাওয়া গেল ?
তদন্তে পঞ্জাব পুলিশের অরগানাইজ়ড ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই কনস্টেবলের আইডি কার্ড ব্যবহার করে অনায়াসে একাধিক টোল প্লাজ়া পার হয়ে যেত । পাশাপাশি গাড়ি চেকিংও হত না । ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিশের ওই কনস্টেবলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে ম্যারাথন জেরা করতে চায় গোয়েন্দারা । পাশাপাশি ধৃত ভরত কুমার ও এই কনস্টেবলকেও জেরা করতে চায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে শুট আউটের ঘটনায় ফরেনসিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে । রিপোর্টে বলা হয়েছে সেখানে দুই গ্যাংস্টার ছাড়াও তৃতীয় এক ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলেছে । এই রিপোর্ট সরাসরি রাজ্য পুলিশের এসটিএফের কাছে পেশ করা হয়েছে । রিপোর্ট দেখে এসটিএফের গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, ওই ফ্ল্যাটে গ্যাংস্টারদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে আসত তৃতীয় কোনও ব্যক্তি । তবে কে এই তৃতীয় ব্যক্তি ? তার খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন : Newtown Shoot-out : ভুয়ো নামে সিম কিনে জাল তৈরি করছিল ভরত
তাছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনাসহ একাধিক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে এসটিএফের গোয়েন্দারা এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা । ফরেনসিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, দুতরফা গুলি চলেছে । অর্থাৎ গ্যাংস্টারদের তরফেও গুলি করা হয়েছে এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফের তরফ থেকেও গুলি করা হয়েছে । এক্ষেত্রে মোট কত রাউন্ড গুলি চালিয়েছে? কারা প্রথমে গুলি চালিয়েছে এবং কত দূর থেকে তারা গুলি চালিয়েছে? কি ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তারা ব্যবহার করেছিল এবং সেগুলি কোথায় তৈরি হয়? সেগুলি কবে বানানো হয়েছিল? সমস্ত কিছু এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের সময় মৃতদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে । পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মৃতদের শরীরে একাধিক বুলেট এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ।