কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : কথা ছিল এক বছরেই তৈরি হয়ে যাবে মাঝেরহাট ব্রিজ । কিন্তু তা হয়নি । জটে আটকে রয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ হয়েছে চেতলা লকগেট ব্রিজ । মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পরার পর বহু গাড়ি এই ব্রিজ ধরে বেহালার দিকে যেত । গত বছর দুর্গাপুজোয় ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়েছে এই ব্রিজ । তারপরেও যানজট পিছু ছাড়েনি । পাশাপাশি বেহালার পুজো উদ্যোক্তাদের অভিযোগ ছিল, তুলনায় গত বছর বেহালা- ঠাকুরপুকুরের পুজোয় ভিড় হয়েছে অনেক কম । বহু দর্শনার্থী যানজটের ভয়ে বেহালার দিকে যাননি । সেই চিন্তা এবারও পেয়ে বসেছে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশনের পুজো কমিটিগুলোকে । আজ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পুজো কমিটির সমন্বয় বৈঠকে সেই কথা জানায় পুজো কমিটিগুলি । তবে কলকাতা পুলিশের আশ্বাস, এবছরও সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা হবে । যাতে ওই চত্ত্বরে যানজট তৈরি না হয় তা দেখা হবে ।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর আজ ফের কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আয়োজন করা হয় সমন্বয় বৈঠক । সেখানে নির্বাচিত 18টি পুজো কমিটি বক্তব্য পেশ করেন । বক্তব্যে উঠে আসে নানা বিষয় । দিন কয়েক আগে কলকাতার রাস্তাঘাট নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দেখতে বলা হয়েছিল কলকাতা পৌরনিগম এবং KMDA-কে । আজকের বৈঠকেও খারাপ রাস্তার প্রসঙ্গ আসে । যদিও কলকাতা কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, মহালয়ার আগেই কলকাতার রাস্তাঘাট ঠিক হয়ে যাবে । বৈঠকে ওঠে সেলফির প্রসঙ্গ । নাকতলা উদয়ন সংঘ সহ বেশকিছু পুজো কমিটির তরফে দাবি করা হয়, দর্শনার্থীদের সেলফির বিষয়টিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে । এই বিষয়ে মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে । পুজো কমিটিগুলির বক্তব্য যখন, অতিরিক্ত ভিড় হয় তখন সেলফি কিংবা মোবাইল ফোটোগ্রাফির কারণে ভিড় চলমান থাকে না । থমকে যায় মানুষের পা । ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হয় । বিষয়টি নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেন, "সেলফি বন্ধ করা যেতে পারে না । তবে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে । আমরা বিষয়টি দেখব ।"
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এবছরও পুজোর পারমিশনের জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু থাকছে । পাশাপাশি থাকছে "আসান ।" এটি একটি ওয়েব বেসড অ্যাপ্লিকেশন । কলকাতা পুলিশের দাবি 30 মিনিটের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন তাতে পূরণ করা যাবে । ওই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমেই চূড়ান্ত অনুমতি পত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুজো কমিটির বৈঠকের দিন ঘোষণা হয়েছিল, এবছর কলকাতা কর্পোরেশন এবং দমকল বিভাগে কোনওরকম ফি দিতে হবে না । সেটি বলবৎ হচ্ছে ।