ETV Bharat / state

লকডাউন-আমফানে বিধ্বস্ত কলেজ স্ট্রিট, বইপাড়া বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ গিল্ড - wb_kol_01_college street devastated due to amphan_copy_7206406

কলেজ স্ট্রিটের সর্বত্র নিদারুণ ছবি ৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি লাগোয়া ছোটো দোকানগুলি । ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হিন্দু স্কুল লাগোয়া দোকান, বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটের দোকান ও শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের বইয়ের দোকানগুলি ।

First Lockdown, then Amphan, college street book sellers guild to ask for help to Chief Minister
প্রথমে লকডাউন তারপর আমফান, ঘুরে দাঁড়াতে বইপাড়া গিল্ড এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ
author img

By

Published : May 23, 2020, 7:39 PM IST

কলকাতা, 23 মে : দীর্ঘ সময় লকডাউন, তবে ধীরে ধীরে বইয়ের হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বই পাড়ায় যখন প্রাণ সঞ্চার ঘটেছিল ৷ তখনই ভাঙনের পথে ধেয়ে এল সাইক্লোন আমফান । সর্বহারা কলেজ স্ট্রিটের বই ব্যবসায়ীরা । লোকসান হয়েছে কয়েক কোটি টাকার । তাই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

যেদিকেই চোখ যায় শুধুই জল আর জল । আর তারই মধ্যেই ভাসছে অসংখ্য বই । পুরোনো জমজমাট বইপাড়া কলেজ স্ট্রিটে থৈ থৈ করছে জমা জল । ঝড় থেমে যাওয়ার পরের ধ্বংসাবশেষ । ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করেছে কলেজস্ট্রিটকে । সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সর্বত্রই ছেয়ে গেছে করুণ ছবি । গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন , " ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল । কয়েক কোটি টাকা । তবে এখন তার হিসেব করে ওঠা যায়নি । ছাপার কাগজ থেকে শুরু করে হাজার হাজার বই জলের তলায় । ভিজে কাদা । এইগুলিকে আর কোনওভাবেই রক্ষা করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় । বিশেষ করে যাঁরা রাস্তার উপর ছোটো দোকানে বিক্রি করতেন তাঁদের স্টলের সমস্ত বই শেষ হয়ে গেছে । লকডাউনের কারণে সবাই প্রায় বাড়ি চলে গেছে । তাই বহু দোকান এখনও বন্ধই রয়েছে । সেই দোকানের ভিতরে কী অবস্থা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । 'পত্রভারতী' এক তলায় জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় 3 থেকে 4 লাখ টাকার বই । "

তিনি আরও বলেন, " ছোটো হকার ও পুস্তক বিক্রেতারা যাতে কিছুটা হলেও চাঙ্গা হতে পারে তাই আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হবে গিল্ড । " পাশাপাশি গিল্ডের অন্য সাধারণ সম্পাদক ( সম্মানীয় ) সুধাংশু শেখর দে বলেন, "লকডাউনের ফলে বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে পড়েছে বই বাজার । যেটুকু ঘুরে দাঁড়াবার সম্ভাবনা ছিল তাও শেষ করে দিল এই ঘূর্ণিঝড় । রাস্তার উপর যে ছোটো দোকানগুলি ছিল সেই দোকানের ভিতরে প্রায় তিন থেকে চার ফুটের মধ্যে থাকা সমস্ত বই ধ্বংস হয়ে গেছে । আবার কোনও দোকানের টিনের চাল উড়ে গিয়ে ভেসে গেছে দোকান । এছাড়াও ছাপাখানাগুলির ভেতরে জল ঢুকে গেছে । মেশিনগুলি জলে ডুবে গেছে । মেশিনগুলিও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । প্রথমে লকডাউন তারপর এই বিধ্বংসী ঝড় । বই শিল্পের উপর নির্ভর করছে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা । "

কলেজ স্ট্রিটের সর্বত্র এই নিদারুণ ছবি ৷ তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি লাগোয়া ছোটো দোকানগুলি । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিন্দু স্কুল লাগোয়া দোকান, বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটের দোকান ও শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের বইয়ের দোকানগুলি । ছোটবড় পুস্তকবিক্রেতা ও প্রকাশক মিলিয়ে কলেজ স্ট্রিট অঞ্চলে রয়েছে কম করে হলেও প্রায় 700 থেকে 730 বই ব্যবসায়ী রয়েছে ।

ইন্দ্রানী বুক স্টলের কর্ণধার স্বপন দত্ত বলেন , " ঝড়ের পর যখন গোডাউন খুললাম তখন আমার মাথায় হাত । গোডাউনে বুক সমান জল । কোন বই বাঁচাব আর কোন বই ফেলব আমার মাথাতেই ঢুকছিল না । প্রতিবছর বর্ষায় 50-60 হাজার টাকার বই নষ্ট হয়। সেবিষয়ে আমরা প্রস্তুত থাকি । তবে আমফান আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে যাবে সেটা কখনই ভাবতে পারিনি । এখানে এখন চারদিকে জল ৷ আর ভাসছে শুধুই বই আর বইয়ের পাতা । "

কলকাতা, 23 মে : দীর্ঘ সময় লকডাউন, তবে ধীরে ধীরে বইয়ের হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বই পাড়ায় যখন প্রাণ সঞ্চার ঘটেছিল ৷ তখনই ভাঙনের পথে ধেয়ে এল সাইক্লোন আমফান । সর্বহারা কলেজ স্ট্রিটের বই ব্যবসায়ীরা । লোকসান হয়েছে কয়েক কোটি টাকার । তাই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

যেদিকেই চোখ যায় শুধুই জল আর জল । আর তারই মধ্যেই ভাসছে অসংখ্য বই । পুরোনো জমজমাট বইপাড়া কলেজ স্ট্রিটে থৈ থৈ করছে জমা জল । ঝড় থেমে যাওয়ার পরের ধ্বংসাবশেষ । ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করেছে কলেজস্ট্রিটকে । সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সর্বত্রই ছেয়ে গেছে করুণ ছবি । গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন , " ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল । কয়েক কোটি টাকা । তবে এখন তার হিসেব করে ওঠা যায়নি । ছাপার কাগজ থেকে শুরু করে হাজার হাজার বই জলের তলায় । ভিজে কাদা । এইগুলিকে আর কোনওভাবেই রক্ষা করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় । বিশেষ করে যাঁরা রাস্তার উপর ছোটো দোকানে বিক্রি করতেন তাঁদের স্টলের সমস্ত বই শেষ হয়ে গেছে । লকডাউনের কারণে সবাই প্রায় বাড়ি চলে গেছে । তাই বহু দোকান এখনও বন্ধই রয়েছে । সেই দোকানের ভিতরে কী অবস্থা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । 'পত্রভারতী' এক তলায় জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় 3 থেকে 4 লাখ টাকার বই । "

তিনি আরও বলেন, " ছোটো হকার ও পুস্তক বিক্রেতারা যাতে কিছুটা হলেও চাঙ্গা হতে পারে তাই আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হবে গিল্ড । " পাশাপাশি গিল্ডের অন্য সাধারণ সম্পাদক ( সম্মানীয় ) সুধাংশু শেখর দে বলেন, "লকডাউনের ফলে বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে পড়েছে বই বাজার । যেটুকু ঘুরে দাঁড়াবার সম্ভাবনা ছিল তাও শেষ করে দিল এই ঘূর্ণিঝড় । রাস্তার উপর যে ছোটো দোকানগুলি ছিল সেই দোকানের ভিতরে প্রায় তিন থেকে চার ফুটের মধ্যে থাকা সমস্ত বই ধ্বংস হয়ে গেছে । আবার কোনও দোকানের টিনের চাল উড়ে গিয়ে ভেসে গেছে দোকান । এছাড়াও ছাপাখানাগুলির ভেতরে জল ঢুকে গেছে । মেশিনগুলি জলে ডুবে গেছে । মেশিনগুলিও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । প্রথমে লকডাউন তারপর এই বিধ্বংসী ঝড় । বই শিল্পের উপর নির্ভর করছে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা । "

কলেজ স্ট্রিটের সর্বত্র এই নিদারুণ ছবি ৷ তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি লাগোয়া ছোটো দোকানগুলি । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিন্দু স্কুল লাগোয়া দোকান, বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটের দোকান ও শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের বইয়ের দোকানগুলি । ছোটবড় পুস্তকবিক্রেতা ও প্রকাশক মিলিয়ে কলেজ স্ট্রিট অঞ্চলে রয়েছে কম করে হলেও প্রায় 700 থেকে 730 বই ব্যবসায়ী রয়েছে ।

ইন্দ্রানী বুক স্টলের কর্ণধার স্বপন দত্ত বলেন , " ঝড়ের পর যখন গোডাউন খুললাম তখন আমার মাথায় হাত । গোডাউনে বুক সমান জল । কোন বই বাঁচাব আর কোন বই ফেলব আমার মাথাতেই ঢুকছিল না । প্রতিবছর বর্ষায় 50-60 হাজার টাকার বই নষ্ট হয়। সেবিষয়ে আমরা প্রস্তুত থাকি । তবে আমফান আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে যাবে সেটা কখনই ভাবতে পারিনি । এখানে এখন চারদিকে জল ৷ আর ভাসছে শুধুই বই আর বইয়ের পাতা । "

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.