ETV Bharat / state

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদ AIBOC-র, রাজ্যপালকে স্মারকলিপি

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের । রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করা হয় ।

রাজ্যভবন
author img

By

Published : Sep 17, 2019, 8:55 AM IST

Updated : Sep 17, 2019, 11:05 AM IST

কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ AIBOC-র (অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন) । গতকাল এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা । রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করা হয় । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া স্পষ্ট । সংযুক্তিকরণের নামে সরকার ব্যাঙ্কের শাখা কমিয়ে দিতে চাইছে । এর ফলে পরিচিত ব্যাঙ্কগুলি ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে যাবে । ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে ।"

দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, 10টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে ৷ 10টি ব্যাঙ্ক মিলে তৈরি হবে চারটি নতুন ব্যাঙ্ক ৷ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক মিলিয়ে একটি ব্যাঙ্ক করা হবে । কানাড়া ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হয়ে একটি ব্যাঙ্ক হবে । ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে মিলে যাবে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক । এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে । এরপরই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশ ।

সঞ্জয় দাসের বক্তব্য

গতকাল কলকাতায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান AIBOC-র সদস্যরা । তাঁরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "ব্যাঙ্ক সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের উপর সুদের হার ক্রমেই কমিয়ে দিচ্ছে । পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করছে । ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তরা সমস্যায় পড়ছেন । অথচ লাখ লাখ টাকা ঋণ মকুব করা হচ্ছে ।"

ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "কম ব্যাঙ্ক মানেই একচেটিয়া আধিপত্য । যার ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে । ছোটো ব্যাঙ্কগুলিকে যুক্ত করে বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারলে সরকারের লাভ, কারণ বেশি লোন দিতে সুবিধা হবে । ঋণ খেলাপিদের ঋণ উদ্ধারে কোনও সৎ প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না । উলটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে ।"

কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ AIBOC-র (অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন) । গতকাল এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা । রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করা হয় । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া স্পষ্ট । সংযুক্তিকরণের নামে সরকার ব্যাঙ্কের শাখা কমিয়ে দিতে চাইছে । এর ফলে পরিচিত ব্যাঙ্কগুলি ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে যাবে । ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে ।"

দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, 10টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে ৷ 10টি ব্যাঙ্ক মিলে তৈরি হবে চারটি নতুন ব্যাঙ্ক ৷ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক মিলিয়ে একটি ব্যাঙ্ক করা হবে । কানাড়া ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হয়ে একটি ব্যাঙ্ক হবে । ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে মিলে যাবে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক । এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে । এরপরই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশ ।

সঞ্জয় দাসের বক্তব্য

গতকাল কলকাতায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান AIBOC-র সদস্যরা । তাঁরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "ব্যাঙ্ক সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের উপর সুদের হার ক্রমেই কমিয়ে দিচ্ছে । পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করছে । ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তরা সমস্যায় পড়ছেন । অথচ লাখ লাখ টাকা ঋণ মকুব করা হচ্ছে ।"

ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "কম ব্যাঙ্ক মানেই একচেটিয়া আধিপত্য । যার ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে । ছোটো ব্যাঙ্কগুলিকে যুক্ত করে বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারলে সরকারের লাভ, কারণ বেশি লোন দিতে সুবিধা হবে । ঋণ খেলাপিদের ঋণ উদ্ধারে কোনও সৎ প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না । উলটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে ।"

Intro:Body:ব্যাংক সংযুক্তিকরনের প্রতিবাদে আজ সারাদিন এলাহাবাদ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ধর্না বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশনের অফিসাররা। আজ রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি পেশ করেন তারা। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, অর্থনীতিতে মন্দার স্পষ্ট ছায়া। চাহিদা কমায় পণ্যের বিক্রি কমেছে। উৎপাদন কমেছে।কারখানায় ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের মুখে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী।
এই অবস্থায় যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশের বিভিন্ন গ্রামে এবং প্রত্যন্ত জায়গায় সরকারি ব্যাংকের শাখাখোলার দরকার ছিল, ঠিক সেই সময়ে সংযুক্তি করণের নামে সরকার ব্যাংকের সংখ্যা তথা শাখা কমিয়ে দিতে চাইছে। পরিচিত ব্যাংকগুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে দ্রুত। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।
এই সর্বনাশা প্রক্রিয়ার ফল মানুষের জীবনে আসতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন ব্যাংক সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার ক্রমে ক্রমে কমিয়ে দিচ্ছে এবং পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে চলেছে। অথচ সাধারণ গ্রাহকের ওপর পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে ব্যাঙ্ক গুলি। সুদের হার কমেই যাচ্ছে। পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছিল ব্যাংকের শ্রমিক সংগঠন গুলি। কমসংখ্যক বড় ব্যাংক মানে কম প্রতিযোগিতা মানে একচেটিয়া আধিপত্য। গ্রাহকদের ব্যাংক গুলোর একচেটিয়া আধিপত্যের কুফল ভুগতে হবে।সরকার সেই সময় কোনো বক্তব্যে কর্ণপাত করেননি। তাদের উদ্দেশ্য ব্যাংক গুলো যুক্ত করে বড় ব্যাংক বানিয়ে দিতে পারলে আরো বড় বড় লোন দিতে সুবিধা হবে।
প্রায় 10 লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ উদ্ধার করার কোনো সৎ প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। কোনো কঠিন আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয় নি ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে। ব্যাংক সংযুক্তিকরণের নামে বড় বড় ঋণ খেলাপিদের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনার এক অভিনব কৌশল চলছে বলে জানান তিনি।
ব্যাংক সংযুক্তিকরণ, ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি করে দেওয়ার আগের পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম বঙ্গে 3 টির মধ্যে দুটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যশালী ব্যাংক। যাদের সঙ্গে বাংলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এবং শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে যাদের শাখা রয়েছে। এলাহাবাদ ব্যাংক এবং ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়ে প্রধান কার্যালয় কলকাতা থেকে সরানো হচ্ছে। এছাড়াও আরো 10 টি ব্যাংক এক করে 4 টি বড় ব্যাংক তৈরি হচ্ছে। উদ্দেশ্য বহির্বিশ্বে প্রতিযোগিতায় নামা। দেশের মানুষকে ভুগিয়ে,বেকারত্ব বাড়িয়ে, ছোট ও মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী, গ্রাহক কে বঞ্চিত করে এ কোন সর্বনাশা প্রতিযোগিতা? দেশের সরকারি ব্যাংক গুলোকে বড় বড় পুঁজিপতি দের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে আজ রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এলেন অফিসাররা।
Conclusion:
Last Updated : Sep 17, 2019, 11:05 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.