কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ AIBOC-র (অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন) । গতকাল এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা । রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করা হয় । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া স্পষ্ট । সংযুক্তিকরণের নামে সরকার ব্যাঙ্কের শাখা কমিয়ে দিতে চাইছে । এর ফলে পরিচিত ব্যাঙ্কগুলি ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে যাবে । ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে ।"
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, 10টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে ৷ 10টি ব্যাঙ্ক মিলে তৈরি হবে চারটি নতুন ব্যাঙ্ক ৷ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক মিলিয়ে একটি ব্যাঙ্ক করা হবে । কানাড়া ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হয়ে একটি ব্যাঙ্ক হবে । ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে মিলে যাবে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক । এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হবে । এরপরই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশ ।
গতকাল কলকাতায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান AIBOC-র সদস্যরা । তাঁরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন । AIBOC-র রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "ব্যাঙ্ক সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের উপর সুদের হার ক্রমেই কমিয়ে দিচ্ছে । পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করছে । ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তরা সমস্যায় পড়ছেন । অথচ লাখ লাখ টাকা ঋণ মকুব করা হচ্ছে ।"
ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "কম ব্যাঙ্ক মানেই একচেটিয়া আধিপত্য । যার ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে । ছোটো ব্যাঙ্কগুলিকে যুক্ত করে বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারলে সরকারের লাভ, কারণ বেশি লোন দিতে সুবিধা হবে । ঋণ খেলাপিদের ঋণ উদ্ধারে কোনও সৎ প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না । উলটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে ।"