কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি পেতে কাউন্সিলর নয়, প্রশাসনিক আধিকারিকের দেওয়া সার্টিফিকেটকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় ৷ তাহলে সম্পত্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন স্থানীয় পৌর প্রতিনিধিকে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট (Domicile Certificate) দিতে হবে ? বিএলআরও মিউটেশন (BLRO mutation) নিয়ে এমনই প্রশ্ন তুললেন বেহালার কাউন্সিলর রত্না সুর । অধিবেশনে তিনি প্রস্তাব আনেন যে, বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির দাবিদারদের অ্যাফিডেভিটের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক (Domicile Certificate in BLRO)। বিএলআরও মিউটেশনের ক্ষেত্রে এই জটিলতা দূর করে পদ্ধতি সহজ করা হোক । এই বিষয়ে মন্ত্রিসভায় (Bengal Cabinet) বিকল্প প্রস্তাব আনা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)৷
বুধবার অধিবেশনে রত্না সুর বলেন, কলকাতা পৌরনিগমের আওতাধীন বিভিন্ন সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় সরকারি দলিল, পৌরনিগমের করের বিল থাকার পরেও বিএলআরও মিউটেশনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পৌর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই সার্টিফিকেট দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ । তাঁর এই বক্তব্যের জবাব দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
আরও পড়ুন: কেরলের ধাঁচে কলকাতাতেও এবার অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে প্রিয় পোষ্যের
তিনি বলেন, বিএলআরও এই অধিবেশন বা পৌরনিগমের আওতাধীন বিষয় নয় । তবে কাজ যাতে সহজ হয় তাই অফিস তুলে আমদের পৌরনিগম আনা হয়েছে । ফিরহাদের কথায়, "এখন প্রচার হচ্ছে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে । যাঁর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, সে তো নাগরিকই ৷ আবার কেন নতুন কার্ড । এটাও অনেকটাই তেমন । কিন্তু কারও পরিবার বা তাঁদের সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয়ে কাউন্সিলরদের জানা সম্ভব নয় । তাঁদের কাছে করের বিল থাকলে আলাদা করে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের দরকার কেন হবে ? তার বদলে আধরের উপর ভিত্তি করে সেলফ ডিক্লেয়ারেশন দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি । সেটাই ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে অ্যাটেস্ট করাতে হবে । এই নিয়ম করার জন্য আমি আগামী ক্যাবিনেটে প্রস্তাব আনব ।"