ETV Bharat / state

TET-এ সফল মামলাকারীদের নথিপত্র যাচাই 7 নভেম্বর, কিন্ত শূন্যপদ কোথায় ?

2018 সালের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন 2014-র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী 2015 সালে যে TET পরীক্ষা হয়েছিল তাতে 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে । তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে । এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তিন মাসের মধ্যে । এরপর অনেক প্রার্থীকে নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণ করা হয় । যারা উত্তীর্ণ হন তাঁদের আবার অনলাইন আবেদন করতে বলা হয় । এবার এই আবেদনের পর 7 তারিখ তাঁদের নথি যাচাই করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে । কিন্তু শূন্যপদের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, ST ক্যাটেগরি ছাড়া কোনও জেলাতেই শূন্যপদ সেভাবে নেই । এখন তাহলে যারা অন্যান্য ক্যাটেগরিতে পাশ করেছে তাঁদের কী হবে? এই প্রশ্ন তুলেই অনেক চাকরিপ্রার্থী ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছে ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Nov 5, 2019, 5:02 AM IST

Updated : Nov 5, 2019, 6:54 AM IST

কলকাতা, 5 নভেম্বর : 2014 সালের TET পরীক্ষায় প্রশ্নভুল মামলায় সম্প্রতি নতুন করে 130 জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । হাইকোর্টের নির্দেশ মত ওই প্রার্থীদেরকে পর্ষদ অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার নির্দেশ দিয়েছিল । যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী 7 নভেম্বর তাঁদের ডাকা হয়েছে নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য । কিন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক শুন্যপদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে জেনেরাল, OBC ও SC ক্যাটেগরিতে গোটা রাজ্যের কোনও জেলাতেই প্রায় শুন্যপদ নেই । শুধুমাত্র ST-দের জন্যই শুন্যপদ রয়েছে । অথচ মামলাকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যারা নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাঁরা বেশিরভাগই জেনেরাল ও OBC ক্যাটেগরির প্রার্থী ।

এই ব্যাপারে প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর জানালেন, "অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে প্রার্থীরা । কারন এই পরিস্থিতি হলে চাকরি পাবে না তাঁরা । অথচ মামলা চলাকালীন বোর্ড কিন্ত কখনওই একবারও বলেনি যে শুন্যপদ নেই । এমন কি আবেদনের সময়ও পর্ষদ জানায়নি শুন্যপদ নেই । এখন সবকিছুর পর দেখা যাচ্ছে আদতে কোনও শুন্যপদই নেই (জেনেরাল ও OBC) । এই অবস্থায় পর্ষদ কী করে সেই দিকে তাকিয়ে আছি আমরা । প্রয়োজনে আবার কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে ।"

2018 সালের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন 2014-র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী 2015 সালে যে TET পরীক্ষা হয়েছিল তাতে 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে । তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে । এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তিন মাসের মধ্যে । কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্ট । আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য । হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না । খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি । এরপর একাধিক প্রার্থী সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁর নির্দেশ মানছে না । যাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন । স্বশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিবকে 19 সেপ্টেম্বর তলব করেন তিনি । সচিব হাইকোর্টে এসে জানান উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে । তারপরও মামলার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি । কারন প্রার্থীদের তরফে দাবি ছিল, "হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল লেখার চেষ্টা করলেই নম্বর দিতে হবে । কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সেটা করেনি । এর জন্য অনেকেই অনুত্তীর্ণ হয়েছেন । এই জায়গাটাতে গলদ রয়েছে । কোর্টকে সেটা জানানো হয়েছে ।" বিচারপতি এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন । আগামী 15 নভেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানিও রয়েছে ।

কলকাতা, 5 নভেম্বর : 2014 সালের TET পরীক্ষায় প্রশ্নভুল মামলায় সম্প্রতি নতুন করে 130 জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । হাইকোর্টের নির্দেশ মত ওই প্রার্থীদেরকে পর্ষদ অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার নির্দেশ দিয়েছিল । যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী 7 নভেম্বর তাঁদের ডাকা হয়েছে নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য । কিন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক শুন্যপদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে জেনেরাল, OBC ও SC ক্যাটেগরিতে গোটা রাজ্যের কোনও জেলাতেই প্রায় শুন্যপদ নেই । শুধুমাত্র ST-দের জন্যই শুন্যপদ রয়েছে । অথচ মামলাকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যারা নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাঁরা বেশিরভাগই জেনেরাল ও OBC ক্যাটেগরির প্রার্থী ।

এই ব্যাপারে প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর জানালেন, "অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে প্রার্থীরা । কারন এই পরিস্থিতি হলে চাকরি পাবে না তাঁরা । অথচ মামলা চলাকালীন বোর্ড কিন্ত কখনওই একবারও বলেনি যে শুন্যপদ নেই । এমন কি আবেদনের সময়ও পর্ষদ জানায়নি শুন্যপদ নেই । এখন সবকিছুর পর দেখা যাচ্ছে আদতে কোনও শুন্যপদই নেই (জেনেরাল ও OBC) । এই অবস্থায় পর্ষদ কী করে সেই দিকে তাকিয়ে আছি আমরা । প্রয়োজনে আবার কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে ।"

2018 সালের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন 2014-র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী 2015 সালে যে TET পরীক্ষা হয়েছিল তাতে 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে । তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে । এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তিন মাসের মধ্যে । কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্ট । আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য । হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না । খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি । এরপর একাধিক প্রার্থী সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁর নির্দেশ মানছে না । যাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন । স্বশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিবকে 19 সেপ্টেম্বর তলব করেন তিনি । সচিব হাইকোর্টে এসে জানান উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে । তারপরও মামলার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি । কারন প্রার্থীদের তরফে দাবি ছিল, "হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল লেখার চেষ্টা করলেই নম্বর দিতে হবে । কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সেটা করেনি । এর জন্য অনেকেই অনুত্তীর্ণ হয়েছেন । এই জায়গাটাতে গলদ রয়েছে । কোর্টকে সেটা জানানো হয়েছে ।" বিচারপতি এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন । আগামী 15 নভেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানিও রয়েছে ।

Intro:নথিপত্র যাচাই আগামী ৭ নভেম্বর, কিন্ত শুন্যপদ কোথায়? Body:
মানস নস্কর

প্রাইমারির প্রশ্নভুল মামলা ঃ৭ নভেম্বর নথিপত্র যাচাই, কিন্ত শুন্যপদ কই!
প্রয়োজনে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে প্রার্থীরা

কলকাতা ৪ নভেম্বর ঃ
২০১৪ সালেরপ্রাইমারিতে প্রশ্নভুল মামলায় সম্প্রতি নতুনকরে ১৩০ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ। হাইকোর্টের নির্দেশ মত ঐ প্রার্থীদেরকে পর্ষদ অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর তাদের ডাকা হয়েছে নথিপত্র যাচায়ের জন্য।কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ কতৃক বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক শুন্যপদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে জেনারেল, ওবিসি ও এস সি ক্যাটেগরিতে গোটা রাজ্যের কোনো জেলাতেই প্রায় শুন্যপদ নেই।শুধুমাত্র এস টি দের জন্যই শুন্যপদ রয়েছে দেখানো হয়েছে। অথচ মামলাকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যারা নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা বেশিরভাগই জেনারেল ও ওবিসি ক্যাটেগরির প্রার্থী।
এই ব্যাপারে প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর জানালেন, "অত্যন্ত উদবেগের মধ্যে রয়েছে প্রার্থীরা।কারন এই পরিস্থিতি হলে চাকরি পাবেনা প্রার্থীরা।অথচ মামলা চলাকালীন বোর্ড কিন্ত কখনোই একবারও বলেনি যে শুন্যপদ নেই।এমন কি আপিলের সময়ও পর্ষদ জানায়নি শুন্যপদ নেই।কিন্ত এখন কার্জক্ষেত্রে দেখানো হচ্ছে কোনো শুন্যপদ নেই। পর্ষদ কি করে সেই দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।প্রয়োজনে আবার কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।"

মুল বিষয়টি ছিল,২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ২০১৪ র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী ২০১৫ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে। এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়োম মেনে নিয়োগ দিতে হবে এদের তিন মাসের মধ্যে ।কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্ট। আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিংগল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটার উপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি।এরপর একাধিক প্রার্থী সিংগল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ তার নির্দেশ মানছে বলে।তাতেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের
সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
স্বশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব কে
19 সেপ্টেম্বর তলব করেন তিনি।সচিব হাইকোর্টে এসে জানান উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।তারপরও মামলার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি।কারন প্রার্থীদের তরফে দাবি ছিল,
"হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল লেখার চেষ্টা করলেই নম্বর দিতে হবে। কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সেটা করেনি।এর জন্য অনেকেই অনুত্তীর্ণ হয়েছে। এই জায়গাটাতে গলদ রয়েছে। কোর্টকে সেটা জানানো হয়েছে।বিচারপতি এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন। আগামী ১৫ই নভেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানি ও রয়েছে। Conclusion:
Last Updated : Nov 5, 2019, 6:54 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.