ETV Bharat / state

Schools Reopen: ঝুঁকি নিতে নারাজ বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ, হাইব্রিড মোডে চলবে ক্লাস

দেশে করোনার টিকাকরণ জোর গতিতে চললেও, এখনও পর্যন্ত 2 থেকে 18 বছর বয়সিদের টিকায় ছাড়পত্র মেলেনি ৷ কিন্তু গত 19 মাস ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ ৷ তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য ৷

Private schools in agreement to run classes in hybrid mode as vaccines for children still not available
বেসরকারি স্কুলে হাইব্রিড মোডে চলবে ক্লাস ।
author img

By

Published : Nov 11, 2021, 10:13 PM IST

কলকাতা, 11 নভেম্বর: দীর্ঘ বিরতির অবসান । আগামী সপ্তাহ থেকেই খুলছে স্কুল । কিন্তু স্কুলে এসে পড়ুয়ারা করোনায় আক্রান্ত হলে, দায়িত্ব নেবে না তারা । স্কুলের পঠনপাঠন চালুর আগে অভিভাবকদের এমনই জানিয়ে দেওয়া হল লা মার্টিনিয়া-সহ শহরের নামী-দামি বেসরকারি স্কুলের তরফে ।

শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার স্কুলের পঠন-পাঠন চালুর অনুমতি দিলেও, পড়ুয়াদের কথা ভেবে আপাতত ‘হাইব্রিড মোড’-এ ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লা মার্টিনিয়ার কর্তৃপক্ষ ৷ অর্থাৎ অভিভাবকদের সম্মতিতে স্কুলে এসে পড়াশোনা করবে এক দল পড়ুয়া ৷ বাকিদের জন্য অনলাইন ক্লাসই চালু থাকবে ৷ আবার এক দিন স্কুলে এলে, পরের দিন বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করবে পড়ুয়ারা ৷

দেশে করোনার টিকাকরণ জোর গতিতে চললেও, এখনও পর্যন্ত 2 থেকে 18 বছর বয়সিদের টিকায় ছাড়পত্র মেলেনি ৷ কিন্তু গত 19 মাস ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ ৷ তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য ৷

কিন্তু রাজ্য নির্দেশ দিলেও,অভিভাবকদের অধিকাংশই এখনও স্কুলে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ইতস্তত করছেন ৷ অন্তত টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত যাতে সবরকমের জমায়েত এড়ানো যায়, তাই এমন মত তাঁদের ৷

তাই স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক অভিভাবকদের সই সংগ্রহ করেন লা মার্টিনিয়ার কর্তৃপক্ষ ৷ যাঁরা সম্মতিপত্রে সই করেছেন, তাঁদের সন্তানরা স্কুলে আসতে পারবে ৷ বাকিরা বাড়ি থেকেই অনলাইন ক্লাস করবে ৷ সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সমস্ত অভিভাবককে নোটিস ধরানো হয়েছে ৷

এ দিন লা মার্টিনিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "যে সমস্ত অভিভাবক সম্মতিপত্রে সই করেছেন, শুধুমাত্র তাঁদের সন্তানরাই স্কুলে এসে ক্লাস করবে । যাঁরা সম্মতি পত্রে সই করেননি, তাঁদের বাচ্চাদের জন্য অনলাইন ক্লাস চলবে । এই বয়সের পড়ুয়াদের এখনও টিকাকরণের প্রক্রিয়া চালু হয়নি । সংক্রমণের থাবা থেকেও এখনও পুরোপুরি মুক্ত হইনি আমরা । তাই শুধুমাত্র যাঁরা সম্মতি দিয়েছেন, তাঁদের বাচ্চারাই আসবে স্কুলে ।’’

একই মত গার্ডেন হাই স্কুল কর্তৃপক্ষেরও ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা এবং বিধিনিষেধ মেনেই শুরু হবে পঠন-পাঠন । তবুও ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে । স্কুল খোলার আগে প্রত্যেক অভিভাবকের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে তা নিয়ে কথা হয় ৷ চাওয়া হয় সম্মতিপত্র ৷ যাদের মত নেই, তাঁদের সন্তানরা অনলাইন ক্লাসই করবে ৷ শুধু স্কুলে এসে পরীক্ষাটুকু দিতে হবে ৷’’

গার্ডেন হাই স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘‘আমি সম্মতি পত্রে সই করিনি । কারণ আমি কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না । স্কুল যে সম্মতিপত্র সই করিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি । স্কুল যে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন, এতে সেটাই প্রকাশ পায় । যদি কোনও শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে হবে ৷ সেখানে স্কুলের ভূমিকা কোথায় ?’’

অন্য দিকে সুশীলা দেবী বিড়লা স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক দেবযানী দত্ত বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইন আলোচনা হয়েছে ৷ ওঁরা তো স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ কারণ এতগুলো মাস বাড়িতে অনলাইন ক্লাস করে স্কুল আসার অভ্যাসই চলে গিয়েছে । তাই আবার ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করা প্রয়োজন । টিকাকরণ শুরু হলে দ্রুত সেই টিকা সকলকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও স্কুলের তরফে আশ্বাস মিলেছে ৷’’

রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘আমরা এই ধরনের কোনও সম্মতিপত্রে সই করাইনি । অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন । যাঁরা স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে চাইবেন না, তাঁদের জন্য চলবে অনলাইন ক্লাস । তবে স্কুল চলবে হাইব্রিড মোডে । অর্থাৎ একদিন যে পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে, পরের দিন সে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করবে ।’’ মিডলটন রোডের লরেটো হাউজের প্রিন্সিপাল অরুণা গোমস জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি ৷

কলকাতা, 11 নভেম্বর: দীর্ঘ বিরতির অবসান । আগামী সপ্তাহ থেকেই খুলছে স্কুল । কিন্তু স্কুলে এসে পড়ুয়ারা করোনায় আক্রান্ত হলে, দায়িত্ব নেবে না তারা । স্কুলের পঠনপাঠন চালুর আগে অভিভাবকদের এমনই জানিয়ে দেওয়া হল লা মার্টিনিয়া-সহ শহরের নামী-দামি বেসরকারি স্কুলের তরফে ।

শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার স্কুলের পঠন-পাঠন চালুর অনুমতি দিলেও, পড়ুয়াদের কথা ভেবে আপাতত ‘হাইব্রিড মোড’-এ ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লা মার্টিনিয়ার কর্তৃপক্ষ ৷ অর্থাৎ অভিভাবকদের সম্মতিতে স্কুলে এসে পড়াশোনা করবে এক দল পড়ুয়া ৷ বাকিদের জন্য অনলাইন ক্লাসই চালু থাকবে ৷ আবার এক দিন স্কুলে এলে, পরের দিন বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করবে পড়ুয়ারা ৷

দেশে করোনার টিকাকরণ জোর গতিতে চললেও, এখনও পর্যন্ত 2 থেকে 18 বছর বয়সিদের টিকায় ছাড়পত্র মেলেনি ৷ কিন্তু গত 19 মাস ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ ৷ তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য ৷

কিন্তু রাজ্য নির্দেশ দিলেও,অভিভাবকদের অধিকাংশই এখনও স্কুলে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ইতস্তত করছেন ৷ অন্তত টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত যাতে সবরকমের জমায়েত এড়ানো যায়, তাই এমন মত তাঁদের ৷

তাই স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক অভিভাবকদের সই সংগ্রহ করেন লা মার্টিনিয়ার কর্তৃপক্ষ ৷ যাঁরা সম্মতিপত্রে সই করেছেন, তাঁদের সন্তানরা স্কুলে আসতে পারবে ৷ বাকিরা বাড়ি থেকেই অনলাইন ক্লাস করবে ৷ সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সমস্ত অভিভাবককে নোটিস ধরানো হয়েছে ৷

এ দিন লা মার্টিনিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "যে সমস্ত অভিভাবক সম্মতিপত্রে সই করেছেন, শুধুমাত্র তাঁদের সন্তানরাই স্কুলে এসে ক্লাস করবে । যাঁরা সম্মতি পত্রে সই করেননি, তাঁদের বাচ্চাদের জন্য অনলাইন ক্লাস চলবে । এই বয়সের পড়ুয়াদের এখনও টিকাকরণের প্রক্রিয়া চালু হয়নি । সংক্রমণের থাবা থেকেও এখনও পুরোপুরি মুক্ত হইনি আমরা । তাই শুধুমাত্র যাঁরা সম্মতি দিয়েছেন, তাঁদের বাচ্চারাই আসবে স্কুলে ।’’

একই মত গার্ডেন হাই স্কুল কর্তৃপক্ষেরও ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা এবং বিধিনিষেধ মেনেই শুরু হবে পঠন-পাঠন । তবুও ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে । স্কুল খোলার আগে প্রত্যেক অভিভাবকের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে তা নিয়ে কথা হয় ৷ চাওয়া হয় সম্মতিপত্র ৷ যাদের মত নেই, তাঁদের সন্তানরা অনলাইন ক্লাসই করবে ৷ শুধু স্কুলে এসে পরীক্ষাটুকু দিতে হবে ৷’’

গার্ডেন হাই স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘‘আমি সম্মতি পত্রে সই করিনি । কারণ আমি কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না । স্কুল যে সম্মতিপত্র সই করিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি । স্কুল যে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন, এতে সেটাই প্রকাশ পায় । যদি কোনও শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে হবে ৷ সেখানে স্কুলের ভূমিকা কোথায় ?’’

অন্য দিকে সুশীলা দেবী বিড়লা স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক দেবযানী দত্ত বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইন আলোচনা হয়েছে ৷ ওঁরা তো স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ কারণ এতগুলো মাস বাড়িতে অনলাইন ক্লাস করে স্কুল আসার অভ্যাসই চলে গিয়েছে । তাই আবার ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করা প্রয়োজন । টিকাকরণ শুরু হলে দ্রুত সেই টিকা সকলকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও স্কুলের তরফে আশ্বাস মিলেছে ৷’’

রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘আমরা এই ধরনের কোনও সম্মতিপত্রে সই করাইনি । অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন । যাঁরা স্কুলে সন্তানকে পাঠাতে চাইবেন না, তাঁদের জন্য চলবে অনলাইন ক্লাস । তবে স্কুল চলবে হাইব্রিড মোডে । অর্থাৎ একদিন যে পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে, পরের দিন সে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করবে ।’’ মিডলটন রোডের লরেটো হাউজের প্রিন্সিপাল অরুণা গোমস জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.