কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে বসানো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবর হয়েছেন ৷ কোনও কোনও অধ্যাপককে কটাক্ষও করতে দেখা গিয়েছে ৷ তাঁরা বলছেন, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে এবার অধ্যাপকদের থানার ওসি করে পাঠানো হবে। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তারপরই সরব হয়েছে দুই শতাব্দী পেরিয়ে আসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএফআই ইউনিট ৷ ঘটনায় তারা ধিক্কারও জানিয়েছে ৷
এসএফআইয়ের ইউনিট সভাপতি আনন্দরূপা ধর ও সম্পাদক রিষভ সাহা এক বিবৃতিতে জানান, রাজ্যপাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছেন ৷ তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরও বর্তমান উপাচার্য। রাজ্য সরকারের সার্চ কমিটির অনুমোদন ছাড়া এই নিয়োগ কতটা যথোপযুক্ত সে বিষয় সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই ৷ আর এই নিয়োগ সরাসরি রাজ্যপালের ক্ষমতার চূড়ান্ত অপপ্রয়োগ ৷
তাঁদের আরও দাবি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ, দায়িত্বশীল তত্ত্বাবধায়কের পদে একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগ আরএসএস, বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারের ভবিষ্যৎ স্বার্থ সিদ্ধির পূর্ব পরিকল্পনার ইঙ্গিত। একইসঙ্গে দু‘টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া নিয়ে ইউজিসি নিয়মাবলীর পালন এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিচারপতির কাঁধেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বভার দিলেন রাজ্যপাল
রাজ্যপালের এই আচরণকে স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবেই দেখছে এসএফআই। তাদের দাবি, রাজ্য ও কেন্দ্রের এই ক্ষমতার লড়াইয়ের নেপথ্যে অন্য বিষয় কাজ করছে। এই বাইনারী দেখানোর মাধ্যমে আরএসএস নয়া শিক্ষানীতি লাগু করতে চায় বলে মনে করে বামেদের এই ছাত্র সংগঠন। এভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির পরিবেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।