কলকাতা, 23 অক্টোবর : ছাত্র ভোট নিয়ে একাধিক দাবিতে অবস্থানে বসল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন IC । গতকাল দুপুরে মিছিল করে ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে গিয়ে একটি ডেপুটেশন দিয়ে আসেন তাঁরা । তারপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অবস্থানে বসেন । তাঁদের বক্তব্য, "কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে কেউ নমিনেশন জমা করতে পারবেন না । এক্ষেত্রে, অমানবিকভাবে কোনও মেডিকেল গ্রাউন্ড বা অন্য কোনও কারণকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না কর্তৃপক্ষ ।" এর বিরুদ্ধে ও অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন নমিনেশন দেওয়ার পদ্ধতি চালুর দাবিতেই তাঁরা অবস্থান করছেন ।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন IC-র তরফে জানানো হয়েছে, "প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে 21 অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় । তার আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক ডাকেন, যেখানে উপস্থিত ছিল ইনডিপেনডেন্টস কনসোলিডেশন সহ আরও কয়েকটি ছাত্রছাত্রীদের বডি । সেই বৈঠকে কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেন ।"
ছাত্র-ছাত্রীদের বিরোধিতার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পিছু হটলেও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি । যার মধ্যে রয়েছে, মেডিকেল গ্রাউন্ড সহ কোনও ছাত্রছাত্রীর 75 শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও তিনি ছাত্র নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না । দ্বিতীয়ত, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনের নমিনেশন অনলাইন মাধ্যম ছাড়া অফলাইনে জমা করা যাবে না । যাদের পক্ষে অনলাইন নমিনেশন জমা করা সম্ভব না, তাঁদের যদি কোনও সমস্যা থাকে তা কর্তৃপক্ষ মানতে নারাজ । এই পরিস্থিতিতে ডিন অফ স্টুডেন্টসের অফিসে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি গ্রহণ করে IC-র সদস্য তথা প্রেসিডেন্সি পড়ুয়াদের একাংশ ।
IC-র সদস্য সায়ন চক্রবর্তী বলেন, "আমরা অবস্থানে বসে আছি । কারণ, নজিরবিহীনভাবে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র ভোট ঘোষণা করা হয়েছে কোনও ছাত্র সংগঠন বা মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা না করেই । দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনের জন্য যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার, সেটার জায়গা না রেখে এক তরফা নানারকম সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন । এর মধ্যে সংযোজন যেটা তা হল, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন 75 শতাংশ উপস্থিতি না হলে কেউ প্রেসিডেন্সির নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না । এমনকি, মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়েও যদি কারও 75 শতাংশ উপস্থিতি হয় তাহলেও তাঁরা দাঁড়াতে পারবে না । এই সিদ্ধান্তটা অনেক ছাত্রছাত্রীকেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়ে দেবে । আমাদের দাবি, আমরা সব ছাত্রছাত্রীর জন্য নির্বাচন চাই । সব ছাত্রছাত্রীর অধিকার ইউনিয়ন । সেটা সুনিশ্চিত করতে আমরা এখানে নির্বাচন চাই । সেইজন্যেই আমরা গতকাল থেকে অবস্থানে বসেছি ।" দাবি না মানা পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেই জানান তাঁরা ।