কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : রাজ্যের কলেজগুলির চুক্তিভিত্তিক, আংশিক সময়ের ও অতিথি অধ্যাপকদের একত্রে স্টেট এডেড কলেজ টিচার (SACT) পদে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী। 2019 সালে SACT-র ঘোষণার পর থেকে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বাংলার ছাত্র সমাজ । প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে । কলেজের তিন পদের অধ্যাপকদের SACT-এ রূপান্তরিত করার কাজ এখনও চলছে । এমনই সময়ে ফের SACT বাতিলের দাবিতে সরব হল ছাত্র সমাজ । আজ এই দাবি সহ গবেষকদের জন্য ফেলোশিপ ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের দাবি নিয়ে এদিন প্রায় 15 মিনিট কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্যরা ।
সম্প্রতি কলেজ সার্ভিস কমিশন রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে । আর তারপরেই SACT বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ । প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । অবরোধ করা হয় কলেজ স্ট্রিটও । তাঁদের প্রধান দাবি, অযোগ্য SACT বাতিল চাই । আজ SACT-র বিজ্ঞপ্তিও পোড়ানো হয় বিক্ষোভের কর্মসূচি হিসেবে । এর পাশাপাশি শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে আরও একাধিক দাবি তোলা হয় প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তরফে দেবনীল পাল বলেন, "বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষা এবং কাজের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বাংলার ছাত্র-যুব সমাজ । বিশেষ করে মহামারীর কারণে আর্থিক অনটনে ভুগছে অধিকাংশ মানুষ । তাই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর জন্য স্কলারশিপ ও গবেষকদের জন্য ফেলোশিপের দাবি । তার সঙ্গে রাজ্যের কলেজে যত শূন্যপদ রয়েছে তাতে নিয়োগের দাবি। পাশাপাশি, ভোটের খেলাতে রাজ্য সরকার নতুন করে অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। অথচ, আগের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে কোনও নিয়োগ হয়নি। SACT-এর মাধ্যমে যে অযোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে সেটা বন্ধ করে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ, প্যানেল করে নিয়োগ করা হোক। সিভিক পুলিশের মতো সিভিক টিচার করে শূন্যপদগুলি আটকে রাখা হচ্ছে। টেম্পোরারি কয়েক মাসের জন্য মেনে নেওয়া যায়, বছর বছর নয়। এই দাবিগুলি নিয়েই আমরা আজ পথে নেমেছিলাম।"