কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: ঢাকে পড়েছে কাঠি, চারিদিকে সাজো সাজো রব । আর মাত্র কয়েকটা দিন । তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । তবে আনন্দ শুধু ওই পুজোর পাঁচদিন নয় ৷ বাঙালির পুজো শুরু হয় কেনাকাটা দিয়ে । নতুন জামা, নতুন জুতো পরে এক মণ্ডপ থেকে অন্যটিতে । তবে শুধুই নতুন জামা-জুতো নয়, বাঙালির পুজোয় আরও এক সঙ্গী বই । একের পর এক শারদ সংখ্যা জায়গা করে নেয় ড্রইংরুমের টেবিলে ৷ সেই সব বইপ্রেমীদের কথা ভেবে নন্দনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল 'শারদ বই পার্বণ' । প্রতিবারের মতো পুজোর আগে সহজলভ্য ও দুষ্প্রাপ্য বই বইপ্রেমীদের হাতে তুলে দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য আয়োজক সংস্থার গিল্ডের ৷
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক সৈকত মুখোপাধ্যায়, জয়ন্ত দে, গিল্ডের সচিব শুধাংশু শেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়-সহ গিল্ডের প্রধান সদস্যরা । 28 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এই মেলা 6 অক্টোবর দুপুর 2টো থেকে রাত 8 টা পর্যন্ত বইপ্রেমীদের জন্য খোলা থাকবে এই মেলা ৷ এই বইমেলা প্রসঙ্গেই গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মধ্য কলকাতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নন্দন ৷ এখানে কমিশনের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই । প্রচুর অংশে ছাড় পাবেন ক্রেতারা । নতুন, পুরনো, দুষ্প্রাপ্য সব রকমের বই পাওয়া যাবে এখানে ।" প্রায় 75টি বইয়ের স্টল আছে এই শারদ বই পার্বণ উৎসবে ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই 'সনাতন' পদ্মশিবিরে
বইমেলা ঘিরে বই প্রেমীদের একরাশ অপেক্ষা। সেই অপেক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েই শুরু হল শারদ বই পার্বণ। তবে করোনা কালে জন্য এই বিরাট মেলা দু’বছরের জন্য বন্ধ ছিল । আবারও গত বছর থেকে পুরোনো ছন্দে ফিরেছে ৷ গতবছর থেকে একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় শারদ বই পার্বণ ।