ETV Bharat / state

পাওয়ারের বাড়ির বৈঠককে এখনই বড় ব্রেক থ্রু হিসেবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা - non-congress-non bjp-alliance

সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠক করে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোটের প্রধানরা । তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, কংগ্রেসকে ছাড়া অ-বিজেপি জোট বাস্তবসম্মত নয় ।

SHARAD
SHARAD
author img

By

Published : Jun 25, 2021, 2:24 AM IST

কলকাতা, 25 জুন : জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তৃণমূল । জোড়াফুল শিবিরের লক্ষ্যও 2024-এর লোকসভা নির্বাচন । সম্প্রতি দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন করে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি ফ্রন্ট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি জোট কতটা প্রভাব তৈরি করতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশা তৈরি রয়েছে ।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ শক্তি বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় । প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাস্তবে কংগ্রেসকে বাইরে রেখে মহাজোট সম্ভব নয় । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তথা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়ের মতে, "24-এর লোকসভা নির্বাচন অনেক দূরে । এখন থেকেই জোট জল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের ভাবনা বাস্তবসম্মত নয় । আঞ্চলিক দলগুলোর নিজস্ব বাধ্যবাধকতা রয়েছে । সেই বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করে সর্বভারতীয় স্তরে ঐক্যবদ্ধ লড়াই বাস্তবে কতটা সম্ভব সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে ।"

অমল মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "এ রাজ্যের সিপিআই(এম), তৃণমূলের মতো দলগুলি নিজেদের আদর্শগত ব্যবধান সরিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করতে পারে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন । সবচেয়ে বড় কথা, আঞ্চলিক দলের অনেক নেতা-নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন । সে ক্ষেত্রে কোনও একটি আঞ্চলিক দলকে সামনে রেখে জোট কীভাবে সম্ভব ? আমরা অতীতে যে সমস্ত জোট দেখেছি তার বেশিরভাগ হয় জনসংঘ, নয় কংগ্রেসের মতো বৃহৎশক্তিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে । এই দুই শক্তির বাইরে গিয়ে কোনও জোট সফল নয় ।"

আরেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার রাজা গোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, "প্রশান্ত কিশোর সঙ্গত কথাই বলেছেন ৷ যতই প্রাসঙ্গিকতা হারাক, আঞ্চলিক দলগুলিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যকরী লড়াই দিতে হলে কংগ্রেসের সহযোগিতা দরকার । তা না হলে গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দানা বাঁধবে না । সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস চাইলেও গোটা দেশে তাদের পক্ষে এককভাবে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয় । সবচেয়ে বড় কথা, এরা নির্বাচনের আগে যে অবস্থান নিচ্ছে, নির্বাচনের পরেও যে একই অবস্থান নেবে সে কথা জোর দিয়ে বলা যায় না । তাই এখানে কংগ্রেসের মতো একটি বৃহৎশক্তিকে প্রয়োজন ।"

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : মমতাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে কি উপনির্বাচন পিছিয়ে যাবে ?

এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী প্রতিক্রিয়া, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বর্তমানে যে জোট প্রক্রিয়ার কথা বলছে, তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে আগ্রহী নন । তবে তাঁর মতে, প্রশান্ত কিশোর তাঁর দলের ভাগ্যবিধাতা নয় । কাজেই এই বিষয়ে তিনি এর বেশি বলতে চান না । যদিও জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব এই জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি । তাদের মতে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনওভাবেই কোনও বিরোধী জোট কার্যকরী হতে পারে না । কাজেই রাজ্যের শাসক দল যতই অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি শক্তিগুলিকে নিয়ে দিল্লি জয়ের স্বপ্ন দেখুক, আসলে তা বাস্তবায়িত হতে গেলে এখনও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ।

কলকাতা, 25 জুন : জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তৃণমূল । জোড়াফুল শিবিরের লক্ষ্যও 2024-এর লোকসভা নির্বাচন । সম্প্রতি দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন করে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি ফ্রন্ট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি জোট কতটা প্রভাব তৈরি করতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশা তৈরি রয়েছে ।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ শক্তি বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় । প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাস্তবে কংগ্রেসকে বাইরে রেখে মহাজোট সম্ভব নয় । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তথা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়ের মতে, "24-এর লোকসভা নির্বাচন অনেক দূরে । এখন থেকেই জোট জল্পনা যাঁরা করছেন তাঁদের ভাবনা বাস্তবসম্মত নয় । আঞ্চলিক দলগুলোর নিজস্ব বাধ্যবাধকতা রয়েছে । সেই বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করে সর্বভারতীয় স্তরে ঐক্যবদ্ধ লড়াই বাস্তবে কতটা সম্ভব সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে ।"

অমল মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "এ রাজ্যের সিপিআই(এম), তৃণমূলের মতো দলগুলি নিজেদের আদর্শগত ব্যবধান সরিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করতে পারে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন । সবচেয়ে বড় কথা, আঞ্চলিক দলের অনেক নেতা-নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন । সে ক্ষেত্রে কোনও একটি আঞ্চলিক দলকে সামনে রেখে জোট কীভাবে সম্ভব ? আমরা অতীতে যে সমস্ত জোট দেখেছি তার বেশিরভাগ হয় জনসংঘ, নয় কংগ্রেসের মতো বৃহৎশক্তিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে । এই দুই শক্তির বাইরে গিয়ে কোনও জোট সফল নয় ।"

আরেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার রাজা গোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, "প্রশান্ত কিশোর সঙ্গত কথাই বলেছেন ৷ যতই প্রাসঙ্গিকতা হারাক, আঞ্চলিক দলগুলিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যকরী লড়াই দিতে হলে কংগ্রেসের সহযোগিতা দরকার । তা না হলে গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দানা বাঁধবে না । সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস চাইলেও গোটা দেশে তাদের পক্ষে এককভাবে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয় । সবচেয়ে বড় কথা, এরা নির্বাচনের আগে যে অবস্থান নিচ্ছে, নির্বাচনের পরেও যে একই অবস্থান নেবে সে কথা জোর দিয়ে বলা যায় না । তাই এখানে কংগ্রেসের মতো একটি বৃহৎশক্তিকে প্রয়োজন ।"

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : মমতাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে কি উপনির্বাচন পিছিয়ে যাবে ?

এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী প্রতিক্রিয়া, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বর্তমানে যে জোট প্রক্রিয়ার কথা বলছে, তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে আগ্রহী নন । তবে তাঁর মতে, প্রশান্ত কিশোর তাঁর দলের ভাগ্যবিধাতা নয় । কাজেই এই বিষয়ে তিনি এর বেশি বলতে চান না । যদিও জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব এই জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি । তাদের মতে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনওভাবেই কোনও বিরোধী জোট কার্যকরী হতে পারে না । কাজেই রাজ্যের শাসক দল যতই অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি শক্তিগুলিকে নিয়ে দিল্লি জয়ের স্বপ্ন দেখুক, আসলে তা বাস্তবায়িত হতে গেলে এখনও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.