ETV Bharat / state

Coal Smuggling Case: কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় পুলিশ ও আইএএস কর্তারা

কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় পুলিশ ও আইএএস-এর একাধিক কর্তা (Police and IAS officers under scanner of CBI)৷ ব্যবসায়ী রত্নেশ বর্মা আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে জেরা করে ও তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের ৷

CBI ETV Bharat
রত্নেশ বর্মা ও সিবিআই
author img

By

Published : Feb 8, 2023, 6:11 PM IST

কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন রত্নেশ বর্মা নামে এক ব্যবসায়ী । এরপর রত্নেশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে সিবিআই (Police and IAS officers under scanner of CBI) তাঁর অফিস ও বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র পাওয়া যায় ৷ সে সব ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে ।

নজরে একাধিক আমলা ও পুলিশকর্তা: কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা পেয়েছিলেন একাধিক আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তা । পুলিশকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিক, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অথবা আইসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকও সামিল রয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর । সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, 2021 সালের নভেম্বর মাসে রত্নেশ বর্মার অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করেছিল আয়কর দফতর ।

রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার: সূত্রের খবর, রত্নেশ বর্মার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আসানসোল, দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন পুলিশ কর্তা । এছাড়াও রত্নেশ বর্মার ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি পেনড্রাইভ এবং মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশকিছু রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । একাধিক সাংকেতিক ভাষায় বিভিন্ন হিসেব করা রয়েছে ।

উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে নানা তথ্য: তদন্তে নেমে আয়কর দফতরের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল ইতিমধ্যেই হাতে এসে পৌঁছেছে সিবিআই কর্তাদের । জানা গিয়েছে, রত্নেশ বর্মার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক ডায়েরি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সেই ডায়েরির প্রতিটি পাতায় কোন ব্যক্তিকে কত পরিমাণে টাকা কার মাধ্যমে দেওয়া হবে, তার একটি কাঁচা হিসাব তৈরি করেছিলেন রত্নেশ ।

আরও পড়ুন: 13 দিনের সিবিআই হেফাজতে রত্নেশ, বেরোবে রাঘব বোয়ালদের নাম ?

সন্দেহভাজন আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি: সূত্রের খবর, রত্নেশ বর্মার বার্নপুরের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি ধূসর রঙের ডায়েরি উদ্ধার হয়েছিল ৷ সেই ডায়েরির পাতায় জেলা ও নাম উল্লেখ করে কোন থানার আইসি কত টাকা পাবেন তারও একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল ৷ যদিও তদন্তের স্বার্থে সেই সব সন্দেহভাজন আধিকারিকদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তদন্তকারীরা ।

নজরে ইসিএল-এর কর্তারাও: শুধু পুলিশ কর্তা এবং আমলারাই নন, কয়লা পাচার কাণ্ডে এই রত্নেশ বর্মার থেকে মাসিক মোটা অংকের টাকা পেতেন ইসিএল-এর বেশ কয়েকজন কর্তা এবং সিআইএসএফ-এর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকও । সূত্রের খবর, অনুপ মাজি ওরফের লালা আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ ও বার্নপুরে যে কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার লভ্যাংশের হিসেব সামলাতেন এই রত্নেশ বর্মা ।

ফলে রত্নেশ বর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছিল সিবিআই কর্তারের কাছে ৷ যার দরুণ এক সময়ে রত্নেশ বর্মার নামে লুক আউট নোটিশ জারি করতে বাধ্য হয় সিবিআই । কিন্তু তার মধ্যেই গত 31 জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ বর্মা । এরপরই তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিবিআই । আর তাদের এই আবেদন মঞ্জুর করে রত্নেশ বর্মাকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।

কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন রত্নেশ বর্মা নামে এক ব্যবসায়ী । এরপর রত্নেশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে সিবিআই (Police and IAS officers under scanner of CBI) তাঁর অফিস ও বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র পাওয়া যায় ৷ সে সব ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে ।

নজরে একাধিক আমলা ও পুলিশকর্তা: কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা পেয়েছিলেন একাধিক আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তা । পুলিশকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিক, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অথবা আইসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকও সামিল রয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর । সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, 2021 সালের নভেম্বর মাসে রত্নেশ বর্মার অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করেছিল আয়কর দফতর ।

রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার: সূত্রের খবর, রত্নেশ বর্মার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আসানসোল, দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন পুলিশ কর্তা । এছাড়াও রত্নেশ বর্মার ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি পেনড্রাইভ এবং মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশকিছু রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । একাধিক সাংকেতিক ভাষায় বিভিন্ন হিসেব করা রয়েছে ।

উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে নানা তথ্য: তদন্তে নেমে আয়কর দফতরের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল ইতিমধ্যেই হাতে এসে পৌঁছেছে সিবিআই কর্তাদের । জানা গিয়েছে, রত্নেশ বর্মার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক ডায়েরি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সেই ডায়েরির প্রতিটি পাতায় কোন ব্যক্তিকে কত পরিমাণে টাকা কার মাধ্যমে দেওয়া হবে, তার একটি কাঁচা হিসাব তৈরি করেছিলেন রত্নেশ ।

আরও পড়ুন: 13 দিনের সিবিআই হেফাজতে রত্নেশ, বেরোবে রাঘব বোয়ালদের নাম ?

সন্দেহভাজন আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি: সূত্রের খবর, রত্নেশ বর্মার বার্নপুরের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি ধূসর রঙের ডায়েরি উদ্ধার হয়েছিল ৷ সেই ডায়েরির পাতায় জেলা ও নাম উল্লেখ করে কোন থানার আইসি কত টাকা পাবেন তারও একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল ৷ যদিও তদন্তের স্বার্থে সেই সব সন্দেহভাজন আধিকারিকদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না তদন্তকারীরা ।

নজরে ইসিএল-এর কর্তারাও: শুধু পুলিশ কর্তা এবং আমলারাই নন, কয়লা পাচার কাণ্ডে এই রত্নেশ বর্মার থেকে মাসিক মোটা অংকের টাকা পেতেন ইসিএল-এর বেশ কয়েকজন কর্তা এবং সিআইএসএফ-এর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকও । সূত্রের খবর, অনুপ মাজি ওরফের লালা আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ ও বার্নপুরে যে কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার লভ্যাংশের হিসেব সামলাতেন এই রত্নেশ বর্মা ।

ফলে রত্নেশ বর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছিল সিবিআই কর্তারের কাছে ৷ যার দরুণ এক সময়ে রত্নেশ বর্মার নামে লুক আউট নোটিশ জারি করতে বাধ্য হয় সিবিআই । কিন্তু তার মধ্যেই গত 31 জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ বর্মা । এরপরই তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিবিআই । আর তাদের এই আবেদন মঞ্জুর করে রত্নেশ বর্মাকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.