কলকাতা, 23 অক্টোবর : বহু আবেদন, আর্জি ও বৈঠক করা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না । অভিযোগ, পুজোর জন্য ট্র্যাফিক বিভাগ ও পুলিশের কাজে এবারও জোর করে তুলে নেওয়া হল বেসরকারি বাস ও মিনিবাস ।
প্রতিবারের মতো এবারও পুজোয় মাঝপথ থেকে যাত্রী নামিয়ে বাস ও মিনিবাস অধিগ্রহণ করেছে পুলিশ । এমনই অভিযোগ বেসরকারি বাস মালিকদের । চলতি মাসের 9 তারিখে বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলির সঙ্গে পুজোর সময় ট্র্যাফিকের পরিস্থিতি নিয়ে পরিবহন দপ্তর ও ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগের বৈঠক হয় । সেই বৈঠকে কম ভাড়া, একটানা বহু দিন কাজ করানো ও কোরোনা পরিস্থিতিতে যাতে জোর করে বাস অধিগ্রহণ না করা হয় তা নিয়েও আলোচনা হয় । অভিযোগ, আলোচনার পরও সবকিছুর উপর জল ঢেলে দিয়ে আগের মতোই টেনে নেওয়া হল বহু বাস ও মিনিবাস ।
এর আগে পুজোর সময়, নির্বাচনের সময় বা অন্য কোনও সময় পুলিশের তরফে রিকুইজ়িশনের মাধ্যমে গাড়ি অধগ্রহণ করা হয় । তবে জ্বালানি খরচ দেওয়া হয় না । তাই চলতি বছরের 7 জানুয়ারি পুলিশ ও পরিবহন আধিকারিকদের সঙ্গে বাস মালিকদের এই বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক হয় ৷ যেখানে মালিকরা বাস ভাড়া নেওয়ার বিষয় তাঁদের অভিযোগ ও দাবিগুলি জানায় । পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে তাঁদের দাবিগুলি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয় । তবে বাস্তবে সেসবের কিছুই তোয়াক্কা করা হল না । অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বৈঠকের সময় পুলিশের জয়েন্ট CP পদের আধিকারিক ও পুলিশের অন্য পদস্থ আধিকারিকদের সভাপতিত্বে বৈঠকের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে পুলিশের কর্মীরা যে অমানবিকভাবে জুলুম করে মাঝপথ থেকে বাস টেনে নিয়েছে । চালক, কন্ডাক্টর ও খালাসিদের এক কাপড়েই হুকুম-দখল করে সেই গাড়িগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় টেনে নিয়েছে । এর ফলে বিভিন্ন রুটে বাস অনেক কমে গেছে । নিত্য যাত্রীদের চরম হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে । আমাদের বারংবার আবেদন সত্ত্বেও বিভিন্ন রুট থেকে বাস টেনে নেওয়া হয়েছে জোর পূর্বক । এমনিতেই এখন রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম । অধিকাংশ বাস কর্মী কাজে আসতে পারছেন না । আবার অনেকেই যাঁরা লকডাউনের পর বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁরা এখনও আসেননি । পাশাপাশি যাঁরা কাজে আসছেন তাঁরা কেউ বাসে থেকে ডিউটি করতে চাইছেন না । যে বাসগুলিকে জোর করে অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেই বাসের কর্মীরা এই সংক্রমণ পরিস্তিতিতে কীভাবে এক বস্ত্রে বাসেই দিনরাত কাটাবে সেটা ভেবেই আমরা বিচলত হয়ে পড়ছি । "