কলকাতা, 21 অগস্ট: কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষার বন্ধের দাবিতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ 2022 সালে এই পরীক্ষারর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ কিন্তু, নানান জটিলতায় পরীক্ষাটি হয়নি ৷ এরই মধ্যে বাংলা পক্ষের তরফে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ৷ সংগঠনটির অভিযোগ ছিল, এ রাজ্য থেকে আধাসামরিক বাহিনীতে যে 6 হাজার কন্সটেবল পদ রয়েছে ৷ সেখানে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বানিয়ে ভিন রাজ্যের ছেলেরা ঢুকছে ৷ আর বাংলার ছেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ সেই অভিযোগে পরীক্ষা বন্ধ করার দাবিতে মামলাদায়ের করে বাংলা পক্ষ ৷
মামলাকারীর সংগঠনের অভিযোগ এবং তাদের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এই ধরনের চাকরিতে কয়েক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী থাকায় প্রি -ভ্যারিফিকেশন সব সময় সম্ভব হয় না ৷ সিবিআই যেহেতু তদন্ত করছে, তাই আপাতত হস্তক্ষেপ করা হবে না ৷ মামলাকারী স্টাফ সিলেকশন কমিটির কাছে এ নিয়ে তথ্য জমা দিক ৷’’ আদালত রাজ্য সরকারকেও স্টাফ সিলেকশন কমিটির কাছে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে ৷
মোটের উপর কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র দু’জনেই ভুয়ো নথির বিষয়ে পদক্ষেপ নিক ৷’’ উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর কনস্টেবল নিয়োগে ভুয়োনথি ব্যবহারের অভিযোগে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে ৷ পাশাপাশি, ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পেতে রাজ্য আলাদা পোর্টাল করেছে ৷ উল্লেখ্য আগের মামলায় ৷ কেন্দ্রীয় সরকার, সিবিআই, সিআইডি সবাই যুক্ত রয়েছে ৷ সিআইডি জানিয়েছে বিষয়টি জাতীয় স্তরে গেছে ৷ তাই তারা এবিষয়ে তদন্ত করতে চায় না ৷ আর এই ইস্যুতে সিবিআই প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছে ৷
আরও পড়ুন: বেআইনি নিয়োগে সিআইডি তদন্তে হতাশ হাইকোর্টের বিচারপতি
বিষ্ণু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি এর আগে মামলা করেছিলেন সিঙ্গেল বেঞ্চে ৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশে সেই মামলার তদন্তভার গেছে সিবিআই-এর হাতে ৷ কারণ, বিচারপতির মত ছিল, বিষয়টির গোটা দেশব্যাপী প্রভাব রয়েছে ৷ ফলে বিষয়টি কতটা গুরুতর, তা সিবিআই খতিয়ে দেখুক বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷
এমনকি ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে আধাসেনায় পাকিস্তানি নাগরিকরা ঢুকে পড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল ৷ যদিও, এর আগে সিআইডি-কে প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব দিলে, তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের আধাসেনার চাকরিতে ঢোকানোর বিষয়টি খারিজ করে দেয় ৷ তবে, ভিন রাজ্য থেকে এসে এখানকার শংসাপত্র বানিয়ে চাকরিতে ঢুকছে কিনা, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানায় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ৷ তার পরেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করে অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দেন ৷