কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ অভিযোগ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রভাবশালীদের সরকারি খরচে আশ্রয় দিচ্ছে এসএসকেএম ৷ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মামলাকারীর তরফে ৷ আর এই পুরো বিষয়টিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ জনস্বার্থ মামলাটি আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার নিজে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন ৷ তিনি আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ‘‘চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ প্রভাবশালীরা ওই হাসপাতালের বেড দখল করে রেখেছেন ৷ সেখানে তাঁদের চিকিৎসার নামে ভণ্ডামি চলছে ৷ আর সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করাতে এসে বেড পাচ্ছে না ৷ আশঙ্কাজনক রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না ৷’’ তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দুর্নীতি-কাণ্ডে যে সকল অভিযুক্ত এসএসকেএ হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন, তাঁদের সকলের মেডিক্যাল রিপোর্ট আলাদত চেয়ে পাঠাক ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রের কোনও হাসপাতালকে দিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করানোরও আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার ৷
শুধু মেডিক্যাল রিপোর্ট নয় ৷ যে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়োগ দুর্নীতি-সহ অন্যান্য মামলার তদন্ত করছে, তাদের নির্দেশ দেওয়া হোক, হাসপাতালে ভরতি থাকা অভিযুক্তদের কেস রেকর্ড আদালতে জমা করার জন্য ৷ তাঁর এই জনস্বার্থ মামলার উদ্দেশ্য হিসেবে এদিন আদালতে রমাপ্রসাদ সরকার বলেন, ‘‘জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে এই মামলা করা হয়েছে ৷ এসএসকেএম হাসপাতালে সকলের জন্য সমান চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক ৷ প্রভাবশালীদের অতিরিক্ত গুরুত্ব যেন না-দেওয়া হয় ৷’’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অন্তর্বর্তী জামিন মামলায় এসএসকেএম হাসপাতালের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইডি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, ‘‘প্রয়োজন না-থাকা সত্ত্বেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ সামান্য মানসিক চাপ ছাড়া, আর কোনও সমস্যা তাঁর নেই ৷ সেখানে তিনি আরামে রয়েছেন ৷ ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গল্প করছেন ৷ বাইরে থেকে ভালো খাবার আনিয়ে খাচ্ছেন ৷’’ এই মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: