কলকাতা, 12 জুন: সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে BSF। ফের উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকার ফেনসিডিল এবং প্রচুর পরিমাণে গাঁজা। ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অপরদিকে আজ, দিনভর তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও 494 বোতল ফেনসিডিল এবং দুই কেজি 800 গ্রাম গাঁজা। সবমিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে 819 বোতল ফেনসিডিল। যার বাজার মূল্য 1 লাখ 35 হাজার 554 টাকা।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, গতরাতে কলকাতা সেক্টরের পিপলি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে নজরদারিতে ছিলেন 158 নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা। হঠাৎই বাংলাদেশ বর্ডারের দিকে কয়েকজন সন্দেহভাজনের সন্ধান মেলে। এরপরেই
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাদেরকে থামতে বলে। দ্রুত তাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানদের তৎপরতা দেখে সঙ্গে থাকা প্যাকেট ফেলে রেখেই পালায় তারা। ফেলে যাওয়া প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয় 300 বোতল ফেনসিডিল।
অপর ঘটনাটি মালদা সেক্টরের নওয়াদা আউট পোষ্টের। সেখানেও সন্দেহজনকভাবে কয়েকজন সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। মূলত চক মালিপুর গ্রামের দিক থেকে আসে তারা। অন্ধকার আর আমবাগানের সুযোগ নিয়ে পালায় পাচারকারীরা। ফেলে রেখে যায় 25 বোতল ফেনসিডিল এবং ছয় কেজি গাঁজা।
বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। ইন্টেলিজেন্সের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জাল নোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে গোটা। উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই রয়েছে স্মাগলিং চক্রের লোকজন। আসলে বাংলাদেশে এক এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে পাঁচ গুণ দামে বিক্রি হয়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলার রা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই।