ETV Bharat / state

বৃদ্ধার বাড়ির পাশে অসামাজিক কাজকর্মে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

2 বি গড়চা রোডে গতকাল খুন হন উর্মিলা কুমারী । খুনের পর থেকে তাঁর বাড়ির সামনে থাকা মদের দোকানটি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে অভিযোগ । ঘটনায় নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ।

author img

By

Published : Dec 14, 2019, 4:34 AM IST

গড়চা খুন
গড়চা খুন

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর : 2 বি গড়চা রোড । এই ঠিকানাতেই গতকাল খুন হন উর্মিলা কুমারী । তাঁর বাড়ির দরজার সামনেই রয়েছে একটি মদের দোকান । আর সেই দোকানটিকে কেন্দ্র করে নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছে । উর্মিলাদেবীর মত্যুর পর যা আরও জোরালো হয় । স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বহুবার জানানো হয়েছিল গড়িয়াহাট থানায় । ফল মেলেনি । তাদের অভিযোগ, ঘটনায় নিষ্ক্রিয় থেকেছে পুলিশ । সেই অভিযোগ কানে গেছে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের । সেই সূত্রে DC (সাউথ- ইস্ট) অজয় প্রসাদকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।

গতকাল সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ 2 বি গড়চা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা উর্মিলা কুমারীকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন । আসলে ওই সময় আসেন বাড়ির পরিচারিকা । তিনি ঘরে ঢুকেই দেখেন মাঝের ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছেন উর্মিলাদেবী । তাঁর গলা কাটা ও পেটে ছুরির কোপ । পেট আড়াআড়িভাবে কাটা । বেরিয়ে এসেছে লিভারসহ পাকস্থলী । শিউড়ে ওঠেন তিনি । চিৎকার করে ডাকেন প্রতিবেশী দেবলিনা দাসের পরিবারকে । দাস দম্পতি ঘরে ঢুকে দেখেন মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার । প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন গড়িয়াহাট থানায় । বোঝা যায় এটি একটি খুনের ঘটনা । সেই ঘটনার পরই তাঁর উর্মিলাদেবীর বাড়ির সামনে থাকা মদের দোকান নিয়ে আবারও ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা । তাদের বক্তব্য, এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সক্রিয় থাকলে হয়ত এই খুনও এড়ানো যেত ।

স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় দিনভর প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান । ইদানিং গজিয়ে উঠেছে গাঁজার ঠেকও । আবার রাতে মদ বেআইনিভাবে বিক্রি হয় ওই চত্বরে । ইন্দ্রনীল চন্দ্র নামে এক স্থানীয় যুবক উর্মিলাদেবীর পরিচারিকার ডাকে এসে প্রথমে গলা কাটা দেহটি দেখেন । তাঁর অভিযোগ, "বিভিন্ন ধরনের লোকজন এসে পাড়ায় ভিড় করে প্রতিদিন । প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান । গাঁজার আসরও বসছে এখন । নিজের পাড়াতেই প্রতিবাদ করতে পারি না । আমরা যারা এখানে থাকি আইন মেনেই চলি । এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলাম অনেকদিন আগেই । বলেছিলাম একটা অন্তত CCTV বসাতে । আমরা অভিযোগ জানালে একবার টহল দিয়ে যায় পুলিশ । ব্যস ওইটুকুই । এলাকার পরিবেশ উন্নত করতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে । যে অপরাধের ঘটনা ঘটে গেল CCTV থাকলে আরও সহজে আততায়ীকে ধরতে পারত পুলিশ ।"

দেবজয় নামের এক যুবকের কথায়, "আমার বাড়িতে অসুস্থ বাবা এবং তিন বছরের বাচ্চা আছে । যেভাবে অসামাজিক কাজকর্ম চলে তাতে আমি অত্যন্ত ভয়ে থাকি । আমরা পুলিশ, এক্সাইজ় ডিপার্টমেন্টকে বারবার জানিয়েছি । তারা সব সময় একে অপরকে দেখায় । মূল বিষয়টির কোনও নিস্পত্তি হয় না ।"

দেখুন ভিডিয়ো...

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর : 2 বি গড়চা রোড । এই ঠিকানাতেই গতকাল খুন হন উর্মিলা কুমারী । তাঁর বাড়ির দরজার সামনেই রয়েছে একটি মদের দোকান । আর সেই দোকানটিকে কেন্দ্র করে নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছে । উর্মিলাদেবীর মত্যুর পর যা আরও জোরালো হয় । স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বহুবার জানানো হয়েছিল গড়িয়াহাট থানায় । ফল মেলেনি । তাদের অভিযোগ, ঘটনায় নিষ্ক্রিয় থেকেছে পুলিশ । সেই অভিযোগ কানে গেছে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের । সেই সূত্রে DC (সাউথ- ইস্ট) অজয় প্রসাদকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।

গতকাল সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ 2 বি গড়চা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা উর্মিলা কুমারীকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন । আসলে ওই সময় আসেন বাড়ির পরিচারিকা । তিনি ঘরে ঢুকেই দেখেন মাঝের ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছেন উর্মিলাদেবী । তাঁর গলা কাটা ও পেটে ছুরির কোপ । পেট আড়াআড়িভাবে কাটা । বেরিয়ে এসেছে লিভারসহ পাকস্থলী । শিউড়ে ওঠেন তিনি । চিৎকার করে ডাকেন প্রতিবেশী দেবলিনা দাসের পরিবারকে । দাস দম্পতি ঘরে ঢুকে দেখেন মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার । প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন গড়িয়াহাট থানায় । বোঝা যায় এটি একটি খুনের ঘটনা । সেই ঘটনার পরই তাঁর উর্মিলাদেবীর বাড়ির সামনে থাকা মদের দোকান নিয়ে আবারও ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা । তাদের বক্তব্য, এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সক্রিয় থাকলে হয়ত এই খুনও এড়ানো যেত ।

স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় দিনভর প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান । ইদানিং গজিয়ে উঠেছে গাঁজার ঠেকও । আবার রাতে মদ বেআইনিভাবে বিক্রি হয় ওই চত্বরে । ইন্দ্রনীল চন্দ্র নামে এক স্থানীয় যুবক উর্মিলাদেবীর পরিচারিকার ডাকে এসে প্রথমে গলা কাটা দেহটি দেখেন । তাঁর অভিযোগ, "বিভিন্ন ধরনের লোকজন এসে পাড়ায় ভিড় করে প্রতিদিন । প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান । গাঁজার আসরও বসছে এখন । নিজের পাড়াতেই প্রতিবাদ করতে পারি না । আমরা যারা এখানে থাকি আইন মেনেই চলি । এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলাম অনেকদিন আগেই । বলেছিলাম একটা অন্তত CCTV বসাতে । আমরা অভিযোগ জানালে একবার টহল দিয়ে যায় পুলিশ । ব্যস ওইটুকুই । এলাকার পরিবেশ উন্নত করতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে । যে অপরাধের ঘটনা ঘটে গেল CCTV থাকলে আরও সহজে আততায়ীকে ধরতে পারত পুলিশ ।"

দেবজয় নামের এক যুবকের কথায়, "আমার বাড়িতে অসুস্থ বাবা এবং তিন বছরের বাচ্চা আছে । যেভাবে অসামাজিক কাজকর্ম চলে তাতে আমি অত্যন্ত ভয়ে থাকি । আমরা পুলিশ, এক্সাইজ় ডিপার্টমেন্টকে বারবার জানিয়েছি । তারা সব সময় একে অপরকে দেখায় । মূল বিষয়টির কোনও নিস্পত্তি হয় না ।"

দেখুন ভিডিয়ো...
Intro:কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: 2বি গড়চা রোড। এই ঠিকানাতেই গতকাল খুন হয়েছেন উর্মিলা কুমারী। তাঁর বাড়ির দড়জার সামনেই মদের দোকান। আর সেই দোকানটি কেন্দ্র করে নানা অসামাজিক কাজকর্মে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বহুবার জানানো হয়েছিল গড়িয়াহাট থানায়। ফল মেলেনি। অভিযোগ, নিষ্ক্রিয় থেকেছে পুলিশ। সেই অভিযোগ কানে গেছে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের। সেই সূত্রে DCকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।


Body:গতকাল সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ 2বি গরচা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা উর্মিলা কুমারীকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন। আসলে ওই সময় আসেন বাড়ির পরিচারিকা। তিনি ঘরে ঢুকেই দেখেন মাছের ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছেন উর্মিলা। তার গলা কাটা। সালোয়ার কামিজ অনেকটাই ওপরে তোলা। পেটে ছুরির কোপ। পেট আড়াআড়িভাবে কাটা। তাতে বেরিয়ে এসেছে লিভারসহ পাকস্থলী। শিউড়ে ওঠেন তিনি। চিৎকার করে ডাকেন প্রতিবেশী দেবলিনা দাসের পরিবারকে। দাস দম্পতি ঘরে ঢুকে দেখেন মৃত্যু হয়েছে উর্মিলার। প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন গড়িয়াহাট থানায়। আসে পুলিশ। বোঝা যায় এটি একটি খুনের ঘটনা। সেই ঘটনার পরেই আবারও ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সক্রিয় থাকলে হয়তো এড়ানো যেত এই খুন।


Conclusion:স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় দিনভর প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান। ইদানিং গজিয়ে উঠেছে গাঁজার ঠেকও। আবার রাতে মদ বেআইনিভাবে বিক্রি হয় ওই চত্বরে। ইন্দ্রনীল চন্দ্র নামে এক স্থানীয় যুবক উর্মিলা দেবীর পরিচারিকা ডাকে প্রথম এসে গলা কাটা অবস্থায় দেখেন বৃদ্ধাকে। তার অভিযোগ, “ নানা জায়গার বিভিন্ন ধরনের লোকজন এসে পাড়ায় ভিড় করে। প্রকাশ্যেই চলে মদ্যপান। গাঁজার আসরো বসছে এখন। নিজের পাড়াতেই প্রতিবাদ করতে পারি না। পুলিশকে জানিয়েছিলাম সবটাই। বলেছিলাম একটা অন্তত সিসিটিভি বসাতে। আমরা অভিযোগ জানালে একবার টহল দিয়ে যায় পুলিশ। ব্যস ওইটুকুই। এলাকার পরিবেশ উন্নত করতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে। যে অপরাধের ঘটনা ঘটে গেল সিসিটিভি থাকলে সহজেই আততায়ীকে ধরতে পারতো পুলিশ।" দেবজয় নামের এক যুবকের বক্তব্য, “ আমার বাড়িতে অসুস্থ বাবা এবং তিন বছরের বাচ্চা আছে। যেভাবে অসামাজিক কাজকর্ম চলে তাতে আমি অত্যন্ত ভয়ে থাকি। আমরা পুলিশ, এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টকে বারবার জানিয়েছি। তারা সব সময় একে অপরকে দেখায়।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.