ETV Bharat / state

তথ্য যাচাইয়ে গিয়ে নাজেহাল ভোটাররা, কাজ কবে শেষ হবে তা নিয়েই প্রশ্ন

author img

By

Published : Sep 25, 2019, 8:36 PM IST

নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি বা EVP বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন । কিন্তু NVSP তে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষজন । সময়ের মধ্যে নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ করা যাবে কি না তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷

ছবি

কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : চলছে ঢালাও প্রচার অভিযান । নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি বা EVP বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন । এর জন্য ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের (NVSP) মাধ্যমে অনলাইনে চলছে কর্মসূচি । সাধারণ ভোটাররা NRC জুজুর ভয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে লাইন দিয়েছেন সাইবার ক্যাফেতে । কিন্তু কমিশনের অনলাইন পোর্টালে গলদের অভিযোগ উঠেছে । NVSP তে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষজন । ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ করা যাবে কি না তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷

www.nvsp.in। এই ওয়েবসাইটেই নিজের এবং পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা তা যাচাই করতে পারছেন সাধারণ মানুষ । কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাইয়ের পর একটি সরকারি নথির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে ওই পোর্টালে । নথির তালিকাটা বেশ লম্বা । ভারতীয় পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার, রেশন কার্ড, সরকারি কর্মীদের সচিত্র পরিচয় পত্র, ব্যাংকের পাস বই, কৃষকদের সচিত্র পরিচয় পত্র সহ আরও বেশ কয়েকটি নথি আছে এই তালিকায় । এই ওয়েবসাইটে প্রথমে করতে হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন । এ জন্য দিতে হচ্ছে ফোন নম্বর । বলা হচ্ছে, সেই ফোন নম্বরে পাঠানো হবে OTP। সেই OTP ব্যবহার করেই করতে হবে রেজিস্ট্রেশন । আর সমস্যা এখানেই । অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও আসছে না সেই OTP। ফলে একটা সময় বিরক্ত হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ভোটাররা । আবার অনেক ক্ষেত্রে OTP এলে সেটি কাজ করছে না । তথ্য বলছে, 1 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে এখনও তেমন সাফল্য আসেনি । এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ‌50 শতাংশ ভোটারও নির্বাচক তথ্য যাচাই করেননি । রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এমনই তথ্য ৷

image
নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি

অনলাইনে জমা দেওয়া নথি বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (BLO)। ভোটারদের দেওয়া তথ্য হাতে পাওয়ার জন্য তাদের জন্য বানানো হয়েছে একটি অ্যাপ । অভিযোগ, সেই অ্যাপটিও ঠিকমতো কাজ করছে না । বুথ লেভেল অফিসাররা বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে DEO দের কাছে । সেই খবর পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরেও ।

ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের এই জটিলতার মধ্যেই সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ করতে । এ নিয়ে রাজ্যের কোনও কোনও এলাকায় আমজনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছ ৷ ভোটার-তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগের সঙ্গে নাগরিক পঞ্জি (NRC) এবং ডি-ভোটারের জুজু দেখছেন অনেকে । বিষয়টিকে ইন্ধন যোগাচ্ছে সোশাল মিডিয়ার নানা পোস্ট । আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেক জায়গায় । সেই সুযোগে মোটা টাকা হাঁকছে সাইবার ক্যাফেগুলি । যদিও নির্বাচন কমিশন সাফ জানাচ্ছে, নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচির সঙ্গে নাগরিক পঞ্জি বা ডি-ভোটারের কোনও সম্পর্ক নেই । ভোটার তালিকা যথাসম্ভব নির্ভুল করাই কমিশনের লক্ষ্য ।

কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : চলছে ঢালাও প্রচার অভিযান । নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি বা EVP বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন । এর জন্য ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের (NVSP) মাধ্যমে অনলাইনে চলছে কর্মসূচি । সাধারণ ভোটাররা NRC জুজুর ভয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে লাইন দিয়েছেন সাইবার ক্যাফেতে । কিন্তু কমিশনের অনলাইন পোর্টালে গলদের অভিযোগ উঠেছে । NVSP তে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষজন । ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ করা যাবে কি না তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷

www.nvsp.in। এই ওয়েবসাইটেই নিজের এবং পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা তা যাচাই করতে পারছেন সাধারণ মানুষ । কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাইয়ের পর একটি সরকারি নথির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে ওই পোর্টালে । নথির তালিকাটা বেশ লম্বা । ভারতীয় পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার, রেশন কার্ড, সরকারি কর্মীদের সচিত্র পরিচয় পত্র, ব্যাংকের পাস বই, কৃষকদের সচিত্র পরিচয় পত্র সহ আরও বেশ কয়েকটি নথি আছে এই তালিকায় । এই ওয়েবসাইটে প্রথমে করতে হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন । এ জন্য দিতে হচ্ছে ফোন নম্বর । বলা হচ্ছে, সেই ফোন নম্বরে পাঠানো হবে OTP। সেই OTP ব্যবহার করেই করতে হবে রেজিস্ট্রেশন । আর সমস্যা এখানেই । অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও আসছে না সেই OTP। ফলে একটা সময় বিরক্ত হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ভোটাররা । আবার অনেক ক্ষেত্রে OTP এলে সেটি কাজ করছে না । তথ্য বলছে, 1 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে এখনও তেমন সাফল্য আসেনি । এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ‌50 শতাংশ ভোটারও নির্বাচক তথ্য যাচাই করেননি । রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এমনই তথ্য ৷

image
নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি

অনলাইনে জমা দেওয়া নথি বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (BLO)। ভোটারদের দেওয়া তথ্য হাতে পাওয়ার জন্য তাদের জন্য বানানো হয়েছে একটি অ্যাপ । অভিযোগ, সেই অ্যাপটিও ঠিকমতো কাজ করছে না । বুথ লেভেল অফিসাররা বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে DEO দের কাছে । সেই খবর পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরেও ।

ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের এই জটিলতার মধ্যেই সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ করতে । এ নিয়ে রাজ্যের কোনও কোনও এলাকায় আমজনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছ ৷ ভোটার-তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগের সঙ্গে নাগরিক পঞ্জি (NRC) এবং ডি-ভোটারের জুজু দেখছেন অনেকে । বিষয়টিকে ইন্ধন যোগাচ্ছে সোশাল মিডিয়ার নানা পোস্ট । আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেক জায়গায় । সেই সুযোগে মোটা টাকা হাঁকছে সাইবার ক্যাফেগুলি । যদিও নির্বাচন কমিশন সাফ জানাচ্ছে, নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচির সঙ্গে নাগরিক পঞ্জি বা ডি-ভোটারের কোনও সম্পর্ক নেই । ভোটার তালিকা যথাসম্ভব নির্ভুল করাই কমিশনের লক্ষ্য ।

Intro:কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর: চলছে ঢালাও প্রচার অভিযান। নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি বা EVP বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের (NVSP) মাধ্যমে অনলাইনে চলছে কর্মসূচি। সাধারণ ভোটাররা NRC জুজুর ভয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে লাইন দিয়ে পড়ে রয়েছেন সাইবার ক্যাফেতে। কিন্তু কমিশনের অনলাইন পোর্টালে গলদের অভিযোগ উঠেছে। NVSP তে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষজন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়েই উঠে কাছে প্রশ্ন চিহ্ন।Body:www.nvsp.in। এই ওয়েবসাইটেই নিজের এবং পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা তা যাচাই করতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাইয়ের পর একটি সরকারি নথির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে ওই পোর্টালে। নথির তালিকাটা বেশ লম্বা। ভারতীয় পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার, রেশন কার্ড, সরকারি কর্মীদের সচিত্র পরিচয় পত্র, ব্যাংকের পাস বই, কৃষকদের সচিত্র পরিচয় পত্র সহ আরো বেশ কয়েকটি নথি আছে এই তালিকায়। এই ওয়েবসাইটে প্রথমে করতে হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য দিতে হচ্ছে ফোন নম্বর। বলা হচ্ছে, সেই ফোন নম্বরে পাঠানো হবে OTP। সেই OTP ব্যবহার করেই করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। আর সমস্যা এখানেই। অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও আসছে না সেই OTP। ফলে একটা সময় বিরক্ত হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ভোটাররা। আবার অনেক ক্ষেত্রে OTP এলে সেটি কাজ করছে না। তথ্য বলছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে এখনো তেমন সাফল্য আসেনি। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ‌৫০ শতাংশ ভোটারও নির্বাচক তথ্য যাচাই করেননি। রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এমনই তথ্য। Conclusion:অনলাইনে জমা দেওয়া প্রামাণ্য নথি বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (BLO)। ভোটারদের দেওয়া তথ্য হাতে পাওয়ার জন্য তাদের জন্য বানানো হয়েছে একটি অ্যাপ। অভিযোগ, সেই অ্যাপটি ও ঠিকমতো কাজ করছে না। বুথ লেভেল অফিসাররা বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে DEO দের কাছে। সেই খবর পৌঁছে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরেও।

ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিসেস পোর্টালের এই জটিলতার মধ্যেই সীমান্তবর্তী জেলা গুলির মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ করতে। এনিয়ে আমজনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যের কোনও কোনও এলাকায়। ভোটার-তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগের সঙ্গে নাগরিক পঞ্জি (NRC) এবং ডি-ভোটারের জুজু দেখছেন অনেকে। বিষয়টিকে ইন্ধন যোগাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্ট। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেক জায়গায়। সেই সুযোগে মোটা টাকা হাঁকছে সাইবার ক্যাফেগুলি। যদিও নির্বাচন কমিশন সাফ জানাচ্ছে, নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচির সঙ্গে নাগরিকপঞ্জি বা ডি-ভোটারের কোনো সম্পর্ক নেই। ভোটার তালিকা যথাসম্ভব নির্ভুল করাই কমিশনের লক্ষ্য। 

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.