কলকাতা, ১৯ মার্চ : বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের অন্যতম দোল। প্রতি বছরের মতো এবছরও বসন্ত উৎসব পালিত হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সেই উৎসবে সামিল হতে আসা মানুষের ঢল? সে এক দেখার দৃশ্য বটে। মেয়েরা শাড়ি ও ছেলেরা পাঞ্জাবি পরে গতকাল রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে সামিল হতে আসেন। আনন্দে মেতে ওঠেন একে অপরকে রং মাখানোর মধ্যে দিয়ে। রং মাখা, মাখানো, সেলফিতে মুহূর্তটাকে বন্দী করা, গানের তালে নাচের পর সবশেষে রাঙা মুখগুলিকে ফিরতে দেখা গেল একমুখ হাসি নিয়ে।
স্থানাভাবে গত বছর জোড়াসাঁকো থেকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের BT রোড ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করা হয় বসন্ত উৎসব। তবে, জায়গা বাড়লেও চিত্রে কোনও বদল ঘটেনি। রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে সামিল হতে আসা মানুষের ঢল একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছিল যানবাহন। ক্যাম্পাসের ভিতরেও ভরতি অগুনতি লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আবির মাখা মুখ। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য একে অপরকে রং মাখিয়ে আনন্দের মুহূর্তটাকে ভাগ করে নেওয়া। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে সেই চিরাচরিত রবীন্দ্র সংগীত যেন বিশ্বভারতীর সংস্কৃতিকেই ফুটিয়ে তোলে।
রবীন্দ্রভারতীর বসন্তে উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের মুখেই একটা কথা। "খুব মজা করছি"। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্মিতা সাহা বলেন, "আমি এখানকার নই। এখানে এই প্রথমবার আসছি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভেবেছিলাম পাস পেয়েছি যেহেতু ব্যাপারটা আরও ভালো হবে। সব মিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা।" যাদবপুর থেকে আসা সুপ্রীতি সরকার বলেন, "ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথমবার এসেছি। খুব ভালো লাগছে। আমরা সবাই মিলে এসেছি অনেক দূর থেকে। সকাল থেকে খুব মজা করছি। খুব ভালো লাগছে।" রবীন্দ্রভারতীর পাশে থেকেও প্রথমবার বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করা সৃজিতা বলেন, "খুব ভালো লাগছে। প্রথম এলাম আমি। আমার বাড়ি রবীন্দ্রভারতীর পিছনেই। কখনও আসিনি। ভীষণ উপভোগ করছি।"
সবমিলিয়ে যতই ভিড়ের চাপে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হোক, তেষ্টায় একটু জল না পাওয়া হোক, তার মধ্যেও পিঠে 'বসন্ত' লিখে বসন্ত উৎসবের মজা নিয়েছেন সকলেই।