কলকাতা, 25 অক্টোবর : আতশবাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা পুলিশ । কালীপুজোর রাতে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে বাজি । কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল । সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাইছে লালবাজার । সেই সূত্রে আজ থেকেই শুরু হবে প্রচার । তৈরি করা হয়েছে লিফলেট-পোস্টার । শহরজুড়ে সেই লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।
বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি এই তিন ভাষাতেই কয়েক লাখ পোস্টার এবং লিফলেট ছেপেছে কলকাতা পুলিশ । সেখানে বলা হয়েছে, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে বাজি । নিয়ম না মানলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ ।" পাশাপাশি ওই লিফলেটে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম । অর্থাৎ 90 ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় শব্দবাজি ফাটানো যাবে না । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যে বাজিগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার নাম লেখা একটি লিফলেট ছড়ানো হবে আজ থেকে । সেখানে 126টি বাজিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে । সঙ্গে থাকছে কলকাতা পুলিশের আবেদন, শব্দবাজির অত্যাচার নয়, আলোর উৎসবে পরিণত হোক দীপাবলি ও কালীপুজো ।"
বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরের শব্দবাজি নিষিদ্ধ । শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে 90 ডেসিবেলের সময়সীমা । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশ কিছু বাজিও । সেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ । সেগুলির মধ্যে রয়েছে ভুঁই পটকা, ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকোলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী বাজি । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আর্সেনিক সালফেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি যেকোনও বাজি নিষিদ্ধ ।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এবারও কালীপুজোর দিন চালানো হবে বিশেষ নজরদারি । প্রত্যেকটি বহুতল আবাসনের ছাদ থেকে চালানো হবে বিশেষ নজরদারি । নেওয়া হবে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য । কলকাতার পুলিশকর্মীরা ছড়িয়ে থাকবেন শহরের অলি-গলিতে । যেখানেই শব্দবাজির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাবে, সেখানেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা । অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ আবাসনগুলিতে শব্দবাজি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে । পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার আবাসনগুলিতেও রাখা হবে নজর । কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে তাঁকেও রেয়াত করা হবে না ।