কলকাতা , 21 অগাস্ট : লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল উপার্জন । আনলক পর্বে বাস পরিষেবা চালু হলেও তেমনভাবে যাত্রী হচ্ছিল না । তার উপর তেলের দাম উর্ধ্বমুখী । সবমিলিয়ে , লাভ তো দূরের কথা , নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে বাস চালাতে হচ্ছিল । এমনটাই অভিযোগ ছিল বাস মালিকদের । এবার আরও এক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের । অভিযোগ , যাত্রীরা ভাড়ার টাকা দিলেও সংক্রমণের ভয়ে কেউ টিকিট নিতে চাইছেন না । ফলে , দিনের শেষে ভাড়ার সঠিক হিসেব মিলছে না মালিকদের ।
বাস মালিকদের কথায় , সারাদিনে ঠিক কত টাকা ভাড়া হল সেই হিসেব তাঁরা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না । কন্ডাক্টারের কাছে টিকিট রয়ে যাচ্ছে । যাত্রীরা ভাড়া মিটিয়ে দিলে কয়েকজন কন্ডাক্টর টিকিট ছিঁড়ে ফেললেও , অনেকেই আবার তা করছেন না । ফলে অনেক রুটে যাত্রী হলেও টাকার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না বাস মালিকরা ।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন , "এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা খুব কম । তার উপর যাঁরা বাসে উঠছেন , তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ টিকিট নিতে চাইছেন না । সংক্রমণের ভয়ে তাঁরা কন্ডাক্টারের হাত থেকে টিকিট নিতে চাইছেন না । টাকা দিয়ে কন্ডাক্টারদের বলছে টিকিট ফেলে দিতে । এমনকী , কম অঙ্কের খুচরো পয়সাও ফেরত নিচ্ছেন না । বেশিরভাগ কন্ডাক্টার টিকিট ফেলে দিচ্ছে না । তাই বিষয়টি যাচাই করতে একাধিক রুটের বাস মালিকরা একটি সমীক্ষা করে দেখেন । দেখা গেছে যে , সারাদিনে একটি গাড়ি চার থেকে পাঁচ ট্রিপে যায় । প্রতি ট্রিপে প্রায় 10 থেকে 15 জন টিকিট নিচ্ছেন না । অর্থাৎ সারাদিনে একটি বাসের প্রায় 80-100 জন টিকিট নিতে অস্বীকার করেছেন ।"
যাত্রীরা যাতে টিকিট নেয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি । বলেন , " বিভিন্ন রুট কমিটি থেকে বাসগুলিতে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে । যাত্রীদের উদ্দেশে টিকিট নিতে আবেদন করা হয়েছে । টিকিটগুলি স্যানিটাইজ় করে দেওয়া হচ্ছে । "
পাশাপাশি সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন , "যাত্রীরা যদি টিকিট সংগ্রহ না করেন , তাহলে ভাড়ার মূল অর্থ মালিকের কাছে এসে পৌঁছাবে না । ভাড়ার টাকার থেকেই জ্বালানি তেলের খরচ ও কর্মীদের বেতন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করা হয় । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কে যাত্রীরা কোনওমতেই টিকিট নিতে চাইছেন না । সেই টাকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে না । তাই আমরা প্রয়োজনীয় জ্বালানি কিনতে পারছি না ও শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছি না । অনেক গাড়ি বসে যাচ্ছে । যাত্রী সাধারণের কাছে আমাদের আবেদন , তাঁরা যেন যাত্রী পরিবহনের স্বার্থে অবশ্যই টিকিট সংগ্রহ করেন ।"
সংক্রমণের ভয়ে টিকিট নিতে অস্বীকার যাত্রীদের - কোরোনাভাইরাস সুরক্ষা
বাস মালিকদের কথায় , সারা দিনে ঠিক কত টাকা ভাড়া হল সেই হিসেব তাঁরা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না । কন্ডাক্টারের কাছে টিকিট রয়ে যাচ্ছে । যাত্রী ভাড়া মিটিয়ে দিলে কয়েকজন কন্ডাক্টর টিকিট ছিঁড়ে ফেললেও , অনেকেই আবার তা করছেন না । ফলে অনেক রুটে যাত্রী হলেও টাকার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না বাস মালিকরা ।
কলকাতা , 21 অগাস্ট : লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল উপার্জন । আনলক পর্বে বাস পরিষেবা চালু হলেও তেমনভাবে যাত্রী হচ্ছিল না । তার উপর তেলের দাম উর্ধ্বমুখী । সবমিলিয়ে , লাভ তো দূরের কথা , নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে বাস চালাতে হচ্ছিল । এমনটাই অভিযোগ ছিল বাস মালিকদের । এবার আরও এক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের । অভিযোগ , যাত্রীরা ভাড়ার টাকা দিলেও সংক্রমণের ভয়ে কেউ টিকিট নিতে চাইছেন না । ফলে , দিনের শেষে ভাড়ার সঠিক হিসেব মিলছে না মালিকদের ।
বাস মালিকদের কথায় , সারাদিনে ঠিক কত টাকা ভাড়া হল সেই হিসেব তাঁরা ঠিকঠাক পাচ্ছেন না । কন্ডাক্টারের কাছে টিকিট রয়ে যাচ্ছে । যাত্রীরা ভাড়া মিটিয়ে দিলে কয়েকজন কন্ডাক্টর টিকিট ছিঁড়ে ফেললেও , অনেকেই আবার তা করছেন না । ফলে অনেক রুটে যাত্রী হলেও টাকার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না বাস মালিকরা ।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন , "এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা খুব কম । তার উপর যাঁরা বাসে উঠছেন , তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ টিকিট নিতে চাইছেন না । সংক্রমণের ভয়ে তাঁরা কন্ডাক্টারের হাত থেকে টিকিট নিতে চাইছেন না । টাকা দিয়ে কন্ডাক্টারদের বলছে টিকিট ফেলে দিতে । এমনকী , কম অঙ্কের খুচরো পয়সাও ফেরত নিচ্ছেন না । বেশিরভাগ কন্ডাক্টার টিকিট ফেলে দিচ্ছে না । তাই বিষয়টি যাচাই করতে একাধিক রুটের বাস মালিকরা একটি সমীক্ষা করে দেখেন । দেখা গেছে যে , সারাদিনে একটি গাড়ি চার থেকে পাঁচ ট্রিপে যায় । প্রতি ট্রিপে প্রায় 10 থেকে 15 জন টিকিট নিচ্ছেন না । অর্থাৎ সারাদিনে একটি বাসের প্রায় 80-100 জন টিকিট নিতে অস্বীকার করেছেন ।"
যাত্রীরা যাতে টিকিট নেয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি । বলেন , " বিভিন্ন রুট কমিটি থেকে বাসগুলিতে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে । যাত্রীদের উদ্দেশে টিকিট নিতে আবেদন করা হয়েছে । টিকিটগুলি স্যানিটাইজ় করে দেওয়া হচ্ছে । "
পাশাপাশি সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন , "যাত্রীরা যদি টিকিট সংগ্রহ না করেন , তাহলে ভাড়ার মূল অর্থ মালিকের কাছে এসে পৌঁছাবে না । ভাড়ার টাকার থেকেই জ্বালানি তেলের খরচ ও কর্মীদের বেতন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করা হয় । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কে যাত্রীরা কোনওমতেই টিকিট নিতে চাইছেন না । সেই টাকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে না । তাই আমরা প্রয়োজনীয় জ্বালানি কিনতে পারছি না ও শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছি না । অনেক গাড়ি বসে যাচ্ছে । যাত্রী সাধারণের কাছে আমাদের আবেদন , তাঁরা যেন যাত্রী পরিবহনের স্বার্থে অবশ্যই টিকিট সংগ্রহ করেন ।"