কলকাতা, 6 জুলাই: বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু । তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে গ্রুপ ডি পদে তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। বুধবার আরটিআই করে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার এহেন বক্তব্যের পর এর পালটা জবাব দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha and Biman Attack on Suvendu)৷
এদিন ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি অভিযোগ করে বলেন, "2011 সাল থেকে বিধানসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। আমাদের হাতে কিছু প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে তুলে ধরব।"
মূলত গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে এই দুর্নীতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, "বিধানসভায় যাঁরা গ্রুপ ডি পদে বহাল হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগ দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, এমন বহু লোক বিধানসভায় বহাল হয়েছেন যাঁরা ভুয়ো মার্কশিট দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। অষ্টম ও দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগেরই ভুয়ো বা জাল মার্কশিট দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগেরই মার্কশিট বাইরের রাজ্য থেকে আনা হয়েছে।"
আরও পড়ুন : মহুয়ার বিরুদ্ধে ভোপালে অভিযোগ দায়ের, গ্রেফতারের দাবিতে এককাট্টা সুকান্ত-শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতার এহেন বক্তব্যের পর এর পাল্টা জবাব দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা যে কথা বলছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। বিধানসভাতে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া কোনও চাকরি হয় না। যে কোনও চাকরি হওয়ার আগে চাকরি প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় তারপর মেডিকেল হয়। তবেই চাকরি পান। বিধানসভাতে কখনোই কোনও নিয়োগ পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া হয় না।"
এখানেই শেষ নয় অধ্যক্ষ আরও বলেন, "সমস্ত অভিযোগ আসলে বাজে কথা এর কী গুরুত্ব দেব। উনি বিধানসভার কথা বলছেন, কেন রাজভবনের কথা বলছেন না? উনি রাজভবনের খবর নিন। ওখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন? তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী ?"
আরও পড়ুন : 'আরও জোরালো হোক ওর কণ্ঠ', 'কালী' বিতর্কে মহুয়াকে সমর্থন স্বরার
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "এ অভিযোগ তুলে বিধানসভার কর্মচারী ভাইদের অপমান করেছেন শুভেন্দু। অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। সব নিয়োগ আইন মেনেই হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়েছে। আমরা শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি। 2011 সালের পর থেকে 2021 পর্যন্ত 90 শতাংশ সময় তিনি যে সরকারে ছিলেন তখন তো কিছু বলেননি। স্পিকারের প্রতি উপর ব্যক্তিগত রাগ থেকে এ সব বলছেন উনি। তিনি যে হতাশাগ্রস্ত রয়েছেন তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ৷"