কলকাতা, 10 জুলাই: ভোটের ময়দানে লড়াই শেষ ৷ এবার অপেক্ষা ফলাফলের ৷ রাত পোহালেই মঙ্গলবার সকাল 8টা থেকে শুরু হবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনগুলির ভোট গণনা প্রথমে হবে ৷ তার পর গোনা হবে পঞ্চায়েত সমিতির আসনগুলির ভোট ৷ সব শেষে শুরু হবে জেলা পরিষদের ভোট গণনা ৷
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে 339টি ৷ প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ সেখানে 1 কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে ৷ এছাড়া মোতায়েন করা হবে রাজ্য পুলিশ ৷ তবে কীভাবে মোতায়েন করা হবে, সেই স্থানীয়স্তরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এছাড়া প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন ৷ আর প্রতি জেলায় রাখা হবে একজন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক ৷
কমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা 63 হাজার 229 ৷ পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা 9730 ৷ আর জেলা পরিষদে 928টি আসন রয়েছে ৷ সব আসনেই একদিনে গণনা শেষ করতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে কোনও বিরতি না দিয়েই গণনা চলতেই থাকবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৷
আরও পড়ুন: বাংলায় আসছে বিজেপি প্রতিনিধি দল, হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট নাড্ডাকে
কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে দুই রাউন্ড করে গণনা হবে ৷ সব মিলিয়ে গোনা হবে ছয় রাউন্ড ৷ তবে যদি কোথাও ভোটারের সংখ্যা বেশি থাকে, তাহলে গণনার রাউন্ড বাড়তে পারে ৷ ভোট গোনার টেবিলের সঙ্গে গণনাকেন্দ্রের আয়তনের উপর নির্ভর করছে ৷
কমিশন থেকে আরও জানা গিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা হচ্ছে ৷ তবে কোনও ওয়েবকাস্টিং হবে ৷ গণনার টেবলগুলিতে বিডিও অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার, কাউন্টিং অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কাউন্টিং অফিসার থাকবেন ৷ আর গণনাকেন্দ্রে জাল ঘেরা অংশের বাইরে থাকবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা ৷
ভোট গোনার ক্ষেত্রে আরও একটি নিয়ম চালু করেছে কমিশন, তা হল ব্যালট পেপারে যদি প্রিসাইডিং অফিসারের সাক্ষর না থাকে, তাহলে সেটাকে বৈধ বলে গণ্য করা হবে না ৷ তবে যদি প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারে সই করতে ভুলে যান ৷ তাহলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: 'শীত এসে গেলে বসন্ত কি দূরে থাকতে পারে?' শাহী-সাক্ষাতের পর মন্তব্য বোসের
আর গণনাকেন্দ্রের ভিতরের ছবিটা যেভাবে এগোবে, তার প্রভাব বাইরে পড়তে শুরু করবে ৷ কেউ জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন ৷ তো কাউকে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হবে গণনাকেন্দ্র থেকে ৷ কিন্তু ভোটের দিন যেভাবে মৃত্যুর মিছিল আর হিংসার ছবি সামনে এসেছে, তা কি গণনাতেও বজায় থাকবে ? হার-জিতের তরজা কি হয়ে উঠবে হিংসাত্মক ? সেই প্রশ্নের উত্তর মঙ্গলবার সকাল 8টার পর থেকে ক্রমশ স্পষ্ট হবে ৷
আর বোঝা যাবে 2018 সালের পর পঞ্চায়েতস্তরে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে কি এবার কোনও বদল এল ? নাকি এবার ঘাসফুলের একছত্র আধিপত্য রয়ে গেল গ্রামীণ বাংলায় ? উত্তরের অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গবাসী ৷
আরও পড়ুন: ভোট দিতে বাধা, আতঙ্কে কেঁদে ফেললেন সিপিএম প্রার্থী