কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: একদিকে তেলের ঊর্ধ্বগতি তো রয়েছেই । সঙ্গে বাড়ছে অন্য খরচও । এই অবস্থায় সরকারের খরচে গাড়ির সংস্থান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে গাড়ির মালিকদের (Car Owners) পক্ষে ।
এই মুহূর্তে প্রথম সারির আমলারা ছাড়া নীচু স্তরের আধিকারিক বা আমলারা অধিকাংশই ভাড়া করা গাড়ি ব্যবহার করেন । সব মিলিয়ে এই গাড়ির সংখ্যা নিতান্তই কম নয় । তথ্য বলছে প্রায় কুড়ি হাজার গাড়ি প্রতিদিন সরকারি বিভিন্ন দফতরে ব্যবহার হয় । কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সরকার যে অর্থ দিচ্ছে তাতে কোনওভাবেই গাড়ি রক্ষনাবেক্ষণের খরচও উঠছে না বলে অভিযোগ মালিকপক্ষের ।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের নিচুতলার আমলা ও সরকারি অফিসারদের জন্য নন এসি লাক্সারি গাড়ি ব্যবহার করা হয় । মালিকদের একাংশের দাবি, গত প্রায় 12 বছর ধরে ভাড়া বাড়েনি এমতাবস্থায় পুরনো ভাড়ায় গাড়ি দেওয়া কার্যত অসম্ভব । বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দৈনিক তেলের খরচ 465 টাকা দেওয়া হয় । আর এই অর্থে সরকারকে গাড়ি দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন গাড়ির মালিকেরা (Owners facing problems due to oil price hike while giving car to govt) ।
আরও পড়ুন: ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ? প্রশ্ন শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, আদালতের রায়ে এই মুহূর্তে ভারত স্টেজ টু এবং ভারত স্টেজ থ্রি গাড়ির মেয়াদ থাকবে দুই থেকে তিন বছর । বিএস2 এবংবিএস3 গাড়ির ক্ষেত্রে এই অর্থে যদিওবা কিছু গাড়ি পাওয়া যায়, কিন্তু নতুন গাড়ি নিতে চাইলে কোনওভাবেই তা পাওয়া যাবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকদের যে হিসেব তাতে প্রত্যেক দিন চালকদের ভাড়া দিতে হয় 500 টাকা, ব্যাংকের দৈনিক কিস্তি 500 টাকা, পথকর, বীমা, পারমিট-সহ অন্যান্য খরচ প্রায় 300 টাকা । সব মিলিয়ে একটা নতুন গাড়ির জন্য মালিকদের দৈনিক খরচ হয় 1300 থেকে 1500 টাকা । এই অবস্থায় কীভাবে সরকারকে 465 টাকায় গাড়ির সংস্থান করা সম্ভব ! এমনটাই প্রশ্ন গাড়ির মালিকদের ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটরস গিল্ডের (Online Cab Operators Guild) সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই মুহূর্তে সরকারি আমলাদের জন্য যে গাড়ি ব্যবহার হয় তাতে তেলের খরচ বাদ দিলেও প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দু'হাজার টাকা খরচ রয়েছে গাড়ির মালিকদের । সরকারের বরাদ্দ 465 টাকায় প্রশাসনিক কাজে গাড়ি দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে । আর তাই আমরা গোটা বিষয়টি সরকারের নজরে এনেছি । কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যদি শীঘ্রই বরাদ্দ বাড়ানো হয় তাহলে ওই খরচে গাড়ি দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে । "